৩০তম ওভারে জিম্বাবুয়ের শিবিরে জোড়া আঘাত হানেন মিরাজ। ওভারের প্রথম বলে আরভিনের (২৫) পর শেষ বলে মাধেভেরেকে (০) লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন টাইগার এই স্পিনার। তাতে ৩ উইকেটে ৬৯ থেকে ৬ বলের মধ্যে ৬৯/৫ হয়ে গেছে জিম্বাবুয়ে। জিম্বাবুইয়ানরা পিছিয়ে ১৪৮ রানে। ৩০ ওভার শেষে জিম্বাবুয়ের রান ৬৯। কারেন ৩১ ও নতুন ব্যাটার টিসিগা।

শান্তর ক্যাচ মিসে নতুন জীবন আরভিনের

মিরাজের বল ঠেকাতে চেয়েছিলেন ক্রেইগ আরভিন। কিন্তু ব্যাটের কানায় লেগে বল চলে যায় স্লিপে দাঁড়ানো নাজমুল হোসেন শান্তর দিকে। কিন্তু সেটি কাজে লাগাতে পারেননি বাংলাদেশ অধিনায়ক। আরভিনের রান তখন ১৬। ২৪ ওভার শেষে জিম্বাবুয়ের রান ৬৪। কারেন ২৯ ও আরভিন আছেন ২৩ রানে। জিম্বাবুয়ে পিছিয়ে আছে ১৫৩ রানে।

উইলিয়ামসকে ফেরালেন নাঈম

চা বিরতির পর নেমে ২২ রানে তৃতীয় উইকেট হারাল জিম্বাবুয়ে। নাঈম হাসানের বলে সাদমানের দুর্দান্ত ক্যাচে ফিরেন উইলিয়ামস (৭)। এখনো বাংলাদেশের চেয়ে ১৯৫ রানে পিছিয়ে জিম্বাবুয়ে। ৩ উইকেট হারিয়ে জিম্বাবুয়ের রান ২২। কারেনের নতুন সঙ্গী আরভিন।

তিন বলের ব্যবধানে দুই উইকেট তাইজুলের

লিডের পাহাড়ে চাপা পড়েছে জিম্বাবুয়ে। ৪৪৪ অলআউট হয়ে বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে ২১৭ রানের লিড নেয়। এরই মধ্যে সপ্তম ওভারে তিন বলের ব্যবধানে জিম্বাবুয়ের দুই উইকেট শিকার করেন তাইজুল। প্রথমে বেনেটকে সাদমানের ক্যাচ বানিয়ে ফেরান। 

এরপর ক্রিজে নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে আসেন নিক ওয়েলচ। এক বল পরই তাকে এলবিডব্লুর ফাঁদে ফেলেন আউট করলেন তাইজুল। মাঠের আম্পায়ার আউট না দিলেও রিভিউ নিয়ে এই লঙ্কানের সিদ্ধান্তকে ভুল প্রমাণ করেন বাংলাদেশ অধিনায়ক শান্ত। ৮ ওভারে জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ ২ উইকেটে ১০ রান। ২৩ বলে ২ রানে বেন কারেন ও ৭ বলে ২ রানে আছেন উইলিয়ামস। জিম্বাবুয়ে প্রথম ইনিংসে থেমেছিল ২২৭ রানে।

মিরাজের আউটে বাংলাদেশের লিড ২১৭

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: প রথম আরভ ন উইক ট

এছাড়াও পড়ুন:

সিকৃবির ক্যাফেটেরিয়া: খাবারের দাম বেশি, মান খারাপ

সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিকৃবি) কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়ায় খাবারের উচ্চমূল্য এবং মান নিয়ে অভিযোগ তুলেছেন শিক্ষার্থীরা। প্রতিদিনের খাবারের জন্য অতিরিক্ত টাকা গুণতে হলেও খাবারের স্বাদ, গুণগত মান এবং স্বাস্থ্যকর পরিবেশ নিয়ে অসন্তুষ্ট তারা।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ক্যাফেটেরিয়ায় রান্নার জন্য গ্যাস, বিদ্যুৎসহ প্রয়োজনীয় সব সুযোগ-সুবিধা থাকা সত্ত্বেও বিভিন্ন খাবারের দাম মাত্রাতিরিক্ত। অথচ ক্যাম্পাসের বাইরের দোকানগুলোত একই দামে ভালো মানের খাবার পাওয়া যায়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তর থেকে দেওয়া খাবারের মূল্য তালিকায় দেখা গেছে, ভাতের প্যাকেজ মাছ/মুরগি ও সবজিসহ ৫৫ টাকা, সেখানে সবজি হিসেবে সামান্য আলু ছাড়া কিছুই দেওয়া হয় না। এছাড়াও মাছ মাংসের সাইজ যথেষ্ট ছোট। তালিকায় ডিম মামলেটের দাম ধরা হয়েছে ২০ টাকা, যা ডিমের বাজার মূল্যের দ্বিগুণ।

এছাড়াও গরুর মাংসের কথা উল্লেখ থাকলেও কখনো এগুলো রান্না কিংবা পরিবেশন করতে দেখেননি শিক্ষার্থীরা। এমনকি পরোটা, সিঙ্গারা, সমুচা,জিলাপির দাম আকার অনুযায়ী বেশি। 

ক্যাফের পরিবেশ নিয়েও রয়েছে শিক্ষার্থীদের বিস্তর অভিযোগ। শিক্ষার্থীরা জানান, আগে থেকে কয়েকবার প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলেও এখনো কোনো স্থায়ী সমাধান আসেনি। অনেকেই বলছেন, নিয়মিত তদারকি এবং কঠোর ব্যবস্থাপনা ছাড়া এ সমস্যা কাটবে না।

এছাড়া শিক্ষার্থীরা ক্যাফেটেরিয়া নিয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে বেশকিছু দাবি তুলে ধরেন। এর মধ্যে রয়েছে, নিরাপদ খাবার পানি এবং পানির গ্লাস পরিষ্কার রাখা, সর্বোচ্চ পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করা,  খাবারের মাঝে অপ্রত্যাশিত কোনো কিছু যেন না থাকে, খাবারের গুণগত মান বাড়ানো, খাদ্য তালিকায় উল্লেখিত খাবারের পর্যাপ্ততা, গরুর মাংস, রোস্ট, অন্যান্য সবজি, বিভিন্ন ভর্তার ব্যবস্থা করা, ওয়াশরুম পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার ব্যবস্থা এবং ক্যান্টিনের বেসিনে হ্যান্ডওয়াশের ব্যাবস্থা করা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভেটেরিনারি অনুষদের এক শিক্ষার্থী বলেন, “একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাফেটেরিয়া হিসেবে আমাদেরটা মানসম্মত নয়। আমাদের ক্যাফেতে বসার পরিবেশ মোটামুটি ঠিক থাকলেও খাবার মান খুবই নিম্নমানের । বিশেষ করে বেকারি থেকে যে খাবারগুলো আনা হয়, সেগুলো ভালোভাবে দেখে আনা হয় না। খাবারে অনেক সময় পিপঁড়া পাওয়া যায়। এছাড়া আমাদের ক্যাফেতে কোনো বহুমাত্রিকতা নাই । সকাল ও বিকেলে খাবারের মেনুতে নুডুলস, চটপটিসহ বহুমাত্রিক চার্ট যুক্ত করা প্রয়োজন।”

শিক্ষার্থী মো. মুরাদ আলম বলেন, “আমার অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধুদের ক্যাফেটেরিয়ার গল্প শুনে মনে হয়েছে, সিকৃবির ক্যাফেটেরিয়া বাইরের অন্য দুই-একটা হোটেলের মত। আমি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে অনুরোধ করব, যেন খাবারের মান ও পরিমাণ বৃদ্ধি করার দিকে নজর দেওয়া হয়।”

অভিযোগের বিষয়ে ক্যাফেটেরিয়া পরিচালক নুরে আলম শাহিন বলেন, “খাবারের মূল্য ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তর থেকে নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। আগে মুরগিসহ ভাতের প্যাকেজ ৬০ টাকা ছিল, সেটা কমিয়ে ৫৫ টাকা করা হয়েছে। এছাড়া খাবারের তালিকায় মুরগির রোস্ট যুক্ত করা হয়েছে। এ দামে ভালো খাবার দেওয়ার চেষ্টা করছি।”

খাবারের মান ও ক্যান্টিনের পরিছন্নতা নিয়ে তিনি বলেন, “আমি নিজেই প্রতিদিন রাতে ক্যাফেটেরিয়া পরিষ্কার করি। আমরা হলের ডাইনিং থেকেও ভালো চাল ব্যাবহার করি। সবজি হিসেবে আলু ভাজা, বেগুন ভাজা দিচ্ছি। অন্যান্য সবজির দাম নাগালের মধ্যে থাকলে সেগুলো দেওয়ার চেষ্টা করব।”

সিকৃবির ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সামিউল আহসান তালুকদার বলেন, “গত সপ্তাহে ক্যাফেটেরিয়া ব্যবস্থাপনা কমিটির সঙ্গে আমরা মিটিং করে খাবারের মূল্যের একটি তালিকা দিয়েছি, যা পূর্বে ছিল না। এখানে যে দাম নির্ধারণ করা হয়েছে তা নির্দিষ্ট না। শিক্ষার্থীদের চাহিদা ও বাজারের মূল্যের ওপর নির্ভর করে এই তালিকা আমরা পরিবর্তন করব।”

ক্যাফেটেরিয়ার পরিচ্ছন্নতা নিয়ে তিনি বলেন, “আমরা কঠোরভাবে নির্দেশনা দিয়েছি, যেন খাবার পরিবেশনের জায়গাসহ সম্পূর্ণ ক্যাফে পরিষ্কার রাখা হয়। এতে কোনো ব্যত্যয় হলে আমরা যথাযথ ব্যবস্থা নেব।”

ঢাকা/আইনুল/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ