কৃষিবিদদের অধিকার রক্ষায় ৬ দাবিতে বাকৃবিতে বিক্ষোভ
Published: 30th, April 2025 GMT
স্নাতক ডিগ্রিধারী কৃষিবিদদের অধিকার রক্ষা এবং পেশাগত বৈষম্য নিরসনের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) কৃষি অনুষদের শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (৩০ এপ্রিল) সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন চত্বরে কৃষিবিদ ঐক্য পরিষদের ব্যানারে কৃষি অনুষদের শিক্ষার্থীরা এ বিক্ষোভ সমাবেশ করেন।
এ সময় তারা ৬ দফা দাবি উত্থাপন করেন। দাবিগুলো না মানা হলে দেশের সকল কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করে ‘মার্চ ফর ঢাকা’ কর্মসূচি ঘোষণার হুঁশিয়ারি দেন তারা।
বিক্ষোভ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা বলেন, ডিপ্লোমা কৃষিবিদরা আমাদের রুটিরুজিতে আঘাত করছে, যা আমরা কখনোই মেনে নেব না। কৃষি বিষয়ে জ্ঞান ও দক্ষতা তাদের তুলনায় আমাদের বেশি। দেশের কৃষিখাতকে সমৃদ্ধ করতে হলে দক্ষ কৃষিবিদদের বিকল্প নেই। বৈষম্যমুক্ত দেশে কৃষির সব বিভাগে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে নিয়োগ দেওয়া হোক। তারা যদি প্রতিযোগিতায় টেকে, তাহলে তো কোনো সমস্যা নেই।
এরপর শিক্ষার্থীরা ছয় দফা দাবি উত্থাপন করেন। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই), বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) ও অন্যান্য গবেষণা প্রতিষ্ঠানে দশম গ্রেড কৃষিবিদদের জন্য উন্মুক্ত করতে হবে; ডিএই ও অন্যান্য কৃষি সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে নবম গ্রেডসহ অন্যান্য গ্রেডে নিয়মিত পদোন্নতি ও পদবৃদ্ধি করতে হবে; নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া ব্যতীত নবম গ্রেডে পদোন্নতির কোনো সুযোগ রাখা যাবে না, এ ক্ষেত্রে দশম গ্রেডের পদগুলো গেজেটের আওতার বাইরে স্বতন্ত্র কাঠামোয় রাখতে হবে।
বাকি দাবিগুলো হলো- কৃষিবিষয়ক ডিপ্লোমাধারীদের জন্য কোনো নতুন বিশেষায়িত কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা যাবে না; কৃষি সংশ্লিষ্ট বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রিধারীদের ব্যতীত অন্য কেউ নামের আগে ‘কৃষিবিদ’ উপাধি ব্যবহার করতে পারবে না—এ বিষয়ে সরকারি প্রজ্ঞাপন জারি করতে হবে; কৃষিবিষয়ক ডিপ্লোমা বা কারিগরি শিক্ষাকে কৃষি বিষয়ক প্রতিষ্ঠানের (ডিএই) অধীনেই রাখতে হবে।
ঢাকা/লিখন/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
নবায়নযোগ্য শক্তির দাবিতে সোনারগাঁয়ে মানববন্ধন
বাংলাদেশে শতভাগ নবায়নযোগ্য শক্তির লক্ষ্য অর্জনে নীতিমালা সংস্কারের দাবিতে অনুষ্ঠিত হলো এক জোরালো মানববন্ধন। এ সময় নীতিমালা সংস্কার, স্মার্ট গ্রিড বাস্তবায়ন ও “বিদ্যুৎ নেই, বিল নেই” নীতি কার্যকরের আহ্বান জানানো হয়।
বুধবার (৩০ এপ্রিল) নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের মোগরাপাড়ায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে আয়োজিত এ কর্মসূচির নেতৃত্ব দেয় পরিবেশ রক্ষা ও উন্নয়ন সোসাইটি (ESADS)। সহযোগিতায় ছিলো কোস্টাল লাইভলিহুড অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল অ্যাকশন নেটওয়ার্ক (CLEAN) এবং বাংলাদেশ ওয়ার্কিং গ্রুপ অন ইকোলজি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (BWGED)।
এদিনের কর্মসূচিতে পরিবেশকর্মী, সচেতন নাগরিক ও নীতিনির্ধারকদের অংশগ্রহণে গঠিত মানববন্ধনে ব্যানার ও বিভিন্ন স্লোগানের মাধ্যমে তুলে ধরা হয় নবায়নযোগ্য শক্তির পথে বিদ্যমান চ্যালেঞ্জগুলো। বক্তারা বলেন, “পুরনো অবকাঠামো, অনুমোদনের জটিলতা, বিনিয়োগ ঝুঁকি এবং নীতির দুর্বল বাস্তবায়ন নবায়নযোগ্য খাতের অগ্রগতিকে বাধাগ্রস্ত করছে।”
এসময় বক্তারা ৬দফা দাবি পেশ করেন ১। একক সেবা কেন্দ্র (One Stop Service) চালু করে দ্রুত প্রকল্প অনুমোদনের ব্যবস্থা। ২। স্মার্ট গ্রিড ও নেট এনার্জি মিটারিং (NEM) বাস্তবায়নের মাধ্যমে গ্রিড আধুনিকীকরণ। ৩। বিদ্যুৎ বাজেটের ২০% নবায়নযোগ্য শক্তিতে বরাদ্দ। ৪। ব্যাংকিং খাতের ২৫% জ্বালানি অর্থায়ন নবায়নযোগ্য প্রকল্পে নির্ধারণ। ৫। আমদানি শুল্ক হ্রাস ও ট্যারিফ শর্ত বাতিল। ৬। “বিদ্যুৎ নেই, বিল নেই” নীতির কার্যকর বাস্তবায়ন।
পরিবেশ রক্ষা ও উন্নয়ন সোসাইটি (ESADS) এর চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেন বলেন, “এই আন্দোলন নারায়ণগঞ্জের সবুজ ও ন্যায়ভিত্তিক ভবিষ্যতের প্রতীক। এটি কেবল প্রযুক্তিগত নয়, বরং জীবনমান, জলবায়ু সহনশীলতা এবং অর্থনৈতিক স্বার্থের প্রশ্ন।”
ফোরাম অন ইকোলজি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট-এর প্রতিনিধি বলেন, “আমাদের মতো জলবায়ু-ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোর জন্য নবায়নযোগ্য শক্তি শুধু বিকল্প নয়—এটি টিকে থাকার হাতিয়ার।”
মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ রক্ষা ও উন্নয়ন সোসাইটি (ESADS) এর মহাসচিব মীযানুর রহমান, সোনারগাঁ কমিটির সিনিয়র সহসভাপতি মোঃ ফজলুল হক ভূইয়া, মনির হোসেন, সাংবাদিক মিমরাজ, মোক্তার হোসেন, জহিরুল ইসলাম জহির, ইমরান, মোঃ হামীম, মোঃ সিফাতসহ অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।