গুলশানে নসরুল হামিদের ২০০ কোটি টাকা মূল্যের জমি জব্দের আদেশ
Published: 30th, April 2025 GMT
সাবেক বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের গুলশানে থাকা ২০০ কোটি টাকা মূল্যের জমি জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন আজ বুধবার এ আদেশ দেন।
দুদকের তথ্য অনুযায়ী, নসরুল হামিদের গুলশানে ৩৭ দশমিক ৯৫ শতাংশ জমি রয়েছে। জমিটি হামিদ রিয়েল এস্টেট কনস্ট্রাকশন লিমিটেডের নামে নামজারি করা হয়েছে। আদালত শুনানি নিয়ে ওই জমি জব্দের আদেশ দিয়েছেন।
এর আগে গত ২০ এপ্রিল নসরুল হামিদের তিনটি অ্যাপার্টমেন্ট ও একটি ফ্ল্যাট জব্দের আদেশ দেন আদালত। এ ছাড়া তাঁর তিনটি ল্যান্ড ক্রুজার গাড়িও জব্দ ও ৭০টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার আদেশ দেন আদালত।
এর আগে গত ২৭ জানুয়ারি নসরুল হামিদের ছেলে জারিফ হামিদের নামে থাকা একটি ফ্ল্যাট জব্দ এবং তাঁর ১৭টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার আদেশ দেন আদালত। জারিফের বিদেশযাত্রায়ও নিষেধাজ্ঞা দেন আদালত।
গত ১৬ জানুয়ারি নসরুল হামিদ ও তাঁর স্ত্রীর বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। দুদকের পক্ষ থেকে আদালতকে জানানো হয়, প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে নসরুল হামিদ ক্ষমতার অপব্যবহার করে স্ত্রী সীমা হামিদের নামে জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে ৬ কোটি ৯৮ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনে সহায়তা করেন।
এর আগে অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং ৯৮টি ব্যাংক হিসাবে অস্বাভাবিক লেনদেনের অভিযোগে নসরুল হামিদের বিরুদ্ধে গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর মামলা করে দুদক। এ ছাড়া জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে তাঁর স্ত্রী সীমা হামিদ ও ছেলে জারিফ হামিদের নামেও পৃথক মামলা করে সংস্থাটি। এসব মামলায় নসরুল হামিদকেও আসামি করা হয়।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: নসর ল হ ম দ র
এছাড়াও পড়ুন:
৫০ পেরোনো নারীর খাদ্যাভ্যাস যেমন হতে হবে
জীবনের পাঁচটি দশক পেরিয়ে আসা একজন নারীর সামনে জীবনটা দেখা দেয় এক ভিন্ন রূপে। শারীরিক পরিবর্তন তো ঘটেই, মনের জগতেও ঘটে অদলবদল। অনেকের ধারণা, এই বয়সে এসে খাবারদাবারের প্রতি তেমন গুরুত্ব না দিলেও চলে। বাস্তবতা হলো, এই বয়সে দেহের চাই আরও বেশি যত্ন, আরও বেশি মনোযোগ। সুস্থ থাকতে বিশেষ কিছু পুষ্টি উপাদান যেমন প্রয়োজন, তেমনি নির্দিষ্ট ধরনের খাবার বাদ দেওয়াও জরুরি। পরিবারের ৫০ পেরোনো নারীর সুস্থতা নিশ্চিত করতে সেসব দেখভালের দায়িত্ব নিতে হবে বাকিদেরও।
এই বয়সে ক্যালসিয়ামের ঘাটতির ঝুঁকিতে থাকেন একজন নারী। ক্যালসিয়ামের অভাবে হাড় ক্ষয়ে যায়, ভেঙে যায় সহজেই। পড়ে গেলে তো ভাঙেই, জোরে টান লাগলেও হাড় ভেঙে যেতে পারে কারও কারও। টাঙ্গাইলের সরকারি কুমুদিনী কলেজের গার্হস্থ্য অর্থনীতি বিভাগের প্রধান শম্পা শারমিন খান বলেন, ‘৫০ পেরোনোর পর একজন নারীর ক্যালসিয়ামের চাহিদা বাড়ে। হাড়ক্ষয়ের ঝুঁকি এড়াতে এই বয়সেও ক্যালসিয়ামসমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে রোজ। পরিবারের খুদে সদস্যটির জন্য যেমন, তেমনি বয়োজ্যেষ্ঠ নারীর জন্যও রোজ এক গ্লাস দুধ বরাদ্দ রাখতে হবে। এই ক্যালসিয়ামকে পুরোপুরিভাবে দেহের কাজে লাগাতে প্রয়োজন ভিটামিন ডি। সেদিকেও লক্ষ রাখতে হবে।’
ক্যালসিয়ামের বিকল্প নেই
এক গ্লাস দুধ কিংবা তা দিয়ে তৈরি খাবার খেতে পারেন রোজ। দই বা লাচ্ছি খেতে পারেন। কাঁটাসহ ছোট মাছ খেতে পারলে তা থেকেও ক্যালসিয়াম মিলবে। গাঢ় সবুজ রঙের শাকসবজি, যেমন পালংশাক, ব্রকলি ও কাঠবাদামেও পাবেন কিছুটা ক্যালসিয়াম। ক্যালসিয়ামের উপকার পেতে অবশ্যই ভিটামিন ডি চাই। এর জন্য রোজ রোদে সময় কাটানোর অভ্যাস করুন। দেহের বেশ খানিকটা অংশে প্রতিদিন রোদ লাগান, অন্তত ২০ মিনিট ধরে।
রোজ দুধ খেলে শরীর ভালো থাকবে