Risingbd:
2025-04-30@14:23:34 GMT

হাসপাতালে অজিত কুমার

Published: 30th, April 2025 GMT

হাসপাতালে অজিত কুমার

তামিল সিনেমার সুপারস্টার অজিত কুমারকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বুধবার (৩০ এপ্রিল) পায়ের ইনজুরি নিয়ে চেন্নাইয়ের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন। খবর ইন্ডিয়া টুডের।

অজিতের টিমের একজনের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ চলতি বছরে ‘পদ্মভূষণ’ পুরস্কার পেয়েছেন। গত ২৮ এপ্রিল ভারতের রাষ্ট্রপতির হাত থেকে এ সম্মাননা গ্রহণ করতে দিল্লিতে যান ৫৩ বছরের অজিত। গত ২৭ এপ্রিল চেন্নাই এয়ারপোর্টে উৎসুক মানুষের চাপে পায়ে আঘাত পান তিনি। পরিবারসহ দিল্লি থেকে ফিরে হাসপাতালে ভর্তি হন এই অভিনেতা।

সূত্রটি ইন্ডিয়া টুডে-কে বলেন, “অজিতকে দেখে চেন্নাই বিমানবন্দরে উৎসুকজনতা ভিড় করে। এসময় অজিত কুমার স্যার পায়ে সামান্য আঘাত পান। তাই তাকে ফিজিওথেরাপির জন্য হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। আজ সন্ধ্যায় অভিনেতাকে ছেড়ে দেওয়া হতে পারে। তার স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তার কিছু নেই।”

আরো পড়ুন:

‘আমি যাকে বিয়ে করতে যাচ্ছি, সে দেখতে চাকরানীর মতো’

গাছ থেকে লাফিয়ে বিজয়ের গাড়ির ওপরে ভক্ত (ভিডিও)

অজিত কুমার অভিনীত সর্বশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা ‘গুড ব্যাড আগলি’। এটি পরিচালনা করেন আধিক রবিচন্দ্রন। অ্যাকশন-কমেডি ঘরানার সিনেমাটিতে তার বিপরীতে অভিনয় করেছেন তৃষা কৃষ্ণান। গত ১০ এপ্রিল বিশ্বের ৮ হাজার পর্দায় মুক্তি পায় সিনেমাটি। বক্স অফিসেও বেশ সাড়া ফেলেছে।

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র

এছাড়াও পড়ুন:

২১ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করে বিএসইসির আদেশ জারি

পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ২১ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করে আদেশ জারি করা হয়েছে। কর্মকর্তাদের মধ্যে ১৪ জন মামলার আসামি রয়েছেন।

বুধবার (৩০ এপ্রিল) বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ স্বাক্ষরিত এ আদেশ জারি করা হয়। এর আগে মঙ্গলবার কমিশন সভায় বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নেয় বিএসইসি। 

যে কর্মকর্তাদের বরখাস্ত করা হয়েছে, তাদের বিষয়ে আলাদা অফিস আদেশ জারি করেছে বিএসইসি। এই তালিকায় ব্যক্তিগত কর্মকর্তা থেকে নির্বাহী পরিচালক রয়েছেন। 

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের কর্মচারী বিধিমালা, ২০২১ এবং সরকারি চাকরি (শৃঙ্খলা ও আপীল) বিধিমালা, ২০১৮ এর বিভিন্ন বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে এ বরখাস্তের আদেশ জারি করা হয়।

গত ৫ মার্চ বিএসইসির চেয়ারম্যান ও কমিশনারদের অবরুদ্ধ করে দাবি আদায়ের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে খন্দকার রাশেদ মাকসুদের নেতৃত্বে কমিশন এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

মামলার আসামি বরখাস্তকৃত ১৪ কর্মকর্তা হলেন- রেজাউল করিম, পরিচালক আবু রায়হান মো. মোহতাছিন বিল্লা, অতিরিক্ত পরিচালক নজরুল ইসলাম, যুগ্ম পরিচালক রাশেদুল ইসলাম, উপ-পরিচালক বনী ইয়ামিন, আল ইসলাম, শহিদুল ইসলাম ও তৌহিদুল ইসলাম, সহকারী পরিচালক জনি হোসেন, রায়হান কবীর, সাজ্জাদ হোসেন ও আব্দুল বাতেন, লাইব্রেরিয়ান মো. সেলিম রেজা বাপ্পী এবং ব্যক্তিগত কর্মকর্তা আবু ইউসুফ।

এছাড়া মামলাবিহীন বরখাস্তকৃত ৭ কর্মকর্তা হলেন পরিচালক আবুল হাসান, পরিচালক ফখরুল ইসলাম, উপপরিচালক নানু ভূইয়া, অতি: পরিচালক মিরাজুন সুন্নাহ, সহকারী পরিচালক তরিকুল ইসলাম, সহকারী পরিচালক আমিনুল হক খান ও ব্যক্তিগত কর্মকর্তা সমীর ঘোষ।

এর আগে গত ৪ মার্চ বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক সাইফুর রহমানকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠায় খন্দকার রাশেদ মাকসুদের কমিশন। এতে বিএসইসির কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মধ্যে চরম ক্ষোভ তৈরি হয়। ওই ঘটনার জেরে ৫ মার্চ বিএসইসির চেয়ারম্যান ও কমিশনারদের অবরুদ্ধ করে দাবি আদায়ের চেষ্টা করেন সেখানকার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। একপর্যায়ে তারা কমিশনের মূল ফটকে তালা দেন; সিসি ক্যামেরা, ওয়াই-ফাই, লিফট বন্ধ করে দেন এবং বৈদ্যুতিক সংযোগ বন্ধ করে মারাত্মক অরাজকতা ও ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করেন। পরে সেনাবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন এবং অবরুদ্ধদের উদ্ধার করেন।

৬ মার্চ সেনা ও কোস্টগার্ড সদস্যদের নিরাপত্তায় মধ্যে দিয়ে কার্যালয়ে প্রবেশ করেন খন্দকার রাশেদ মাকসুদের নেতৃত্বাধীন কমিশন। ওই দিন বিকেল ৫টায় রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় বিএসইসির ১৬ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা করেন খন্দকার রাশেদ মাকসুদের গানম্যান (পুলিশ সদস্য) মো. আশিকুর রহমান।

মামলার আসামিরা হলেন বিএসইসির সাবেক নির্বাহী পরিচালক সাইফুর রহমান, নির্বাহী পরিচালক মাহবুবুল আলম ও রেজাউল করিম, পরিচালক আবু রায়হান মো. মোহতাছিন বিল্লা, অতিরিক্ত পরিচালক নজরুল ইসলাম, যুগ্ম পরিচালক রাশেদুল ইসলাম, উপ-পরিচালক বনী ইয়ামিন, আল ইসলাম, শহিদুল ইসলাম ও তৌহিদুল ইসলাম, সহকারী পরিচালক জনি হোসেন, রায়হান কবীর, সাজ্জাদ হোসেন ও আব্দুল বাতেন, লাইব্রেরিয়ান মো. সেলিম রেজা বাপ্পী এবং ব্যক্তিগত কর্মকর্তা আবু ইউসুফ।

তবে এর মধ্যে সাইফুর রহমানকে আগেই অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। আরেক নির্বাহী পরিচালক মাহবুবুল আলম পদত্যাগ করেছেন। বাকি ১৪ জন কর্মকর্তা জামিন নিয়ে কাজে ফিরেছিলেন। গত ২১ এপ্রিল দ্বিতীয় দফায় সেই মামলায় কর্মকর্তাদের জামিনও হয়েছে। কিন্তু এরই মধ্যে ১৪ জনসহ আরো ৭ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করল রাশেদ মাকসুদের কমিশন।

ঢাকা/এনটি/

সম্পর্কিত নিবন্ধ