চট্টগ্রাম নগরের চান্দগাঁও হামিদচর এলাকায় কর্ণফুলী নদী থেকে এক স্কুলছাত্রের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার সকালে লাশটি উদ্ধার হয়। পুলিশ বলছে, পরিকল্পিতভাবে মারধরের পর ওই স্কুলছাত্রকে নদীতে ফেলে দেয় তার কয়েকজন সহপাঠী। এ ঘটনায় চারজনকে আটক করা হয়েছে।

নিহত স্কুলছাত্রের নাম রাহাত ইসলাম (১২)। সে নগরের চান্দগাঁও সানোয়ারা বয়েজ স্কুলের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র ছিল। সে চান্দগাঁও থানার পূর্ব ফরিদেরপাড়া এলাকার লিয়াকত আলীর ছেলে। সকালে হামিদচর এলাকায় নদীতে রাহাতের লাশ দেখতে পেয়ে বাসিন্দারা পুলিশকে খবর দেন। এরপর তার লাশ উদ্ধার হয়।

নিহত রাহাতের বাবা লিয়াকত আলী প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর ছেলে গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে বন্ধুদের সঙ্গে বেড়াতে বের হয়। এরপর তার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। অনেক স্থানে সন্ধানের পরও খোঁজ না পেয়ে বিষয়টি রাতেই পুলিশকে জানানো হয়েছিল। সকালে ছেলের লাশ পাওয়া যায়। তিনি অভিযোগ করেন, পরিকল্পিতভাবে বন্ধুরা রাহাতকে হত্যা করেছে। এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের শাস্তি দাবি করেন তিনি।

নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (উত্তর) জাহাঙ্গীর আলম আজ দুপুরে প্রথম আলোকে বলেন, এ ঘটনায় নিহত স্কুলছাত্রের চার সহপাঠীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করছেন রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা

ছয় দফা দাবি আদায়ে শাটডাউন কর্মসূচিতে বিক্ষোভ করছেন রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে জড়ো হন। এরপর বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ক্যাম্পাস প্রদিক্ষণ করে প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নেন। সেখানে দাবি আদায়ের নানা স্লোগান দিচ্ছেন।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ভাষ্য, কেন্দ্রীয় ঘোষণা অনুসারে শাটডাউন কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিক্ষোভ মিছিল করছেন তারা। তাদের ছয় দফা দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হবে। 

এর আগে ২১ এপ্রিল রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়েছে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। এতে গত ৯ দিন ধরে প্রশাসনিক ও একাডেমিক কার্যক্রম স্থবির হয়ে আছে। 

ঈদের আগে থেকে শিক্ষার্থীরা ছয় দফা দাবি পূরণে আন্দোলন করে আসছেন। ১৫ ও ১৬ এপ্রিল শিক্ষার্থীরা সড়ক ও রেলপথ অবরোধ করেন। এরপর ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করেন। 
২১ এপ্রিল শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেন।

শিক্ষার্থীদের ছয় দফা দাবির মধ্যে আছে, জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর পদে ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরদের ৩০ শতাংশ পদোন্নতি কোটা বাতিল করতে হবে। এ ছাড়া জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর পদে ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরদের পদোন্নতির রায় বাতিল, ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরদের পদবি পরিবর্তন, মামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের চাকরিচ্যুত, ২০২১ সালে নিয়োগ পাওয়া ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরদের নিয়োগ বাতিল এবং সেই বিতর্কিত নিয়োগবিধি অবিলম্বে সংশোধন করতে হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • পেশায় বাসচালক, আড়ালে করেন ইয়াবার কারবার
  • ঢাকায় চালান পৌঁছে প্রতি মাসে পান ৬ লাখ টাকা
  • ১৭ মাস পর দেশের মাটিতে টেস্ট জয় বাংলাদেশের
  • টাকার জন্য দেশে ছেড়েছি, এখন টাকা খরচের সময় নেই: পিয়া বিপাশা
  • মেয়েকে নিয়ে টিকে থাকতে না পেরে বিদেশ চলে যান পিয়া বিপাশা
  • ৫ ম্যাচ খেলতে পাকিস্তান সফরে যাচ্ছে বাংলাদেশ, দেখে নিন সূচি
  • কলকাতায় হোটেলে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, নিহত ১৪ 
  • মোহামেডানকে হারিয়ে ‘নীরবে’ চ্যাম্পিয়ন আবাহনী
  • ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করছেন রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা