গাজীপুরে আদালতে দীপু মনি, কামরুল ইসলাম ও পলক, অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে কড়া নিরাপত্তা
Published: 30th, April 2025 GMT
গাজীপুরে জুলাই গণ–অভ্যুত্থানে হত্যার অভিযোগে করা তিনটি মামলায় সাবেক মন্ত্রী দীপু মনি, কামরুল ইসলাম, সাধন চন্দ্র মজুমদার, সাবেক প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহ্মেদসহ (পলক) চারজনকে আদালতে হাজির করা হয়েছে। আজ বুধবার গাজীপুর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৩-এ হাজির করা হলে বিচারক ওমর হায়দার এসব মামলায় তাঁদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে ২২ এপ্রিল একই মামলায় ওই চারজনসহ মোট ছয়জনকে আদালতে হাজির করা হয়। সেদিন আদালত চত্বরে ফাঁসির দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেওয়া হয় এবং আসামিদের উদ্দেশে ডিম নিক্ষেপ করা হয়। আজ অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে আদালতে নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়।
আদালত সূত্রে জানা যায়, অভ্যুত্থানের সময় গাজীপুরের গাছা এলাকায় ছয়জন নিহত হন। এ ঘটনায় গাছা থানায় আলাদা তিনটি হত্যা মামলা করা হয়। এসব মামলার আসামি দীপু মনি, কামরুল ইসলাম, সাধন চন্দ্র মজুমদার ও জুনায়েদ আহ্মেদকে গাজীপুর মেট্রোপলিটন আদালত ৩ আদালতে আনা হয়। শুনানি শেষে তাঁদের পুনরায় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আজ সকালে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে দীপু মনি, সাধন চন্দ্র মজুমদার, জুনায়েদ আহ্মেদকে এবং কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে কামরুল ইসলামকে পুলিশ প্রিজন ভ্যানে আদালতে হাজির করা হয়। সংক্ষিপ্ত শুনানি শেষে বিচারক ওই মামলায় তাঁদের আবার কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
গাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আলী মো.
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: হ জ র কর
এছাড়াও পড়ুন:
অ্যাড্রিনাল ক্রাইসিস দেখা দিলে মৃত্যুও হতে পারে, তাই যেসব বিষয় জেনে রাখা জরুরি
অ্যাড্রিনাল গ্রন্থির অবস্থান আমাদের দুই কিডনির ঠিক ওপরে। এ গ্রন্থি থেকেই জীবনধারণের অত্যাবশ্যক কর্টিসল হরমোন নিঃসৃত হয়। কোনো কারণে কর্টিসল হরমোন তৈরি কম হলে তাকে অ্যাড্রিনাল ইনসাফিসিয়েন্সি বলে। কর্টিসল হরমোন তৈরি বিপজ্জনকহারে কমে গেলে জীবনসংকট দেখা দিতে পারে। আর এই পর্যায়টাকেই অ্যাড্রিনাল ক্রাইসিস বলে।
কাদের হয়
অনেকেই চর্মরোগ, শাসকষ্ট, বাতব্যথা বা নানা কারণে দীর্ঘদিন ধরে স্টেরয়েড ওষুধ খান। তাঁদের দেহে কর্টিসল হরমোন তৈরির ক্ষমতা কমে যায়। তারপর একদিন হঠাৎ স্টেরোয়েড বন্ধ করলে কর্টিসলের তীব্র ঘাটতির কারণে অ্যাড্রিনাল ক্রাইসিস দেখা দেয়। যেহেতু কেউ কেউ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া অনেক সময় স্টেরয়েড কিনে খান, তাই আমাদের দেশে এটিই অ্যাড্রিনাল ক্রাইসিসের সবচেয়ে বড় কারণ। এ ছাড়া যাঁরা অন্যান্য কারণে অ্যাড্রিনাল ইনসাফিসিয়েন্সিতে ভুগছেন (যেমন অ্যাড্রিনাল টিবি, অটোইমিউন ডিজিজ) এবং এ জন্য নিয়মিত স্টেরয়েড সেবন করতে হচ্ছে, তাঁদের অসুস্থতায় অ্যাড্রিনাল ক্রাইসিস দেখা দিতে পারে।
কী কারণে হয়
দীর্ঘদিন স্টেরয়েড বা অ্যান্টিফাঙ্গাল–জাতীয় ওষুধ সেবন (চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া), অ্যাড্রিনাল গ্রন্থির যক্ষ্মা, অটোইমিউনিটি, টিউমার, প্রদাহ, মাথার টিউমার, মেনিনজাইটিস, এনকেফালাইটিস ইত্যাদি কারণে এ রোগ হয়ে থাকে।
উপসর্গ কী
এ রোগের অন্যতম প্রধান লক্ষণগুলোর মধ্যে আছে—প্রচণ্ড দুর্বলতা, মাথা ঘুরানো, চোখে ঝাপসা দেখা, হাত–পা অবশ হয়ে আসা, রক্তচাপ ও রক্তের সুগার কমে যাওয়া, তীব্র ক্ষুধামান্দ্য, বমি, অজ্ঞান হয়ে যাওয়া।
যা করতে হবে
অ্যাড্রিনাল ক্রাইসিস একটি মেডিকেল ইমার্জেন্সি। এমন রোগীকে অতিসত্বর হাসপাতালে আনার পর দ্রুত শিরাপথে স্যালাইন ও কর্টিসোল ইনজেকশন দেওয়া একান্ত জরুরি।
যাঁরা দীর্ঘদিন ধরে স্টেরয়েড সেবন করছেন, তাঁরা হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে গেলে কী করণীয়, এই নির্দেশাবলি–সংবলিত স্টেরয়েড কার্ড অবশ্যই সব সময় নিজের সঙ্গে বহন করবেন। একটি স্টেরয়েড কার্ড জরুরি মুহূর্তে আপনার জীবন বাঁচাতে পারে।
ডা. অঞ্জনা সাহা, হরমোন ও ডায়াবেটিস রোগবিশেষজ্ঞ, জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, ঢাকা