কাটা ধান ঢাকতে গিয়ে বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু
Published: 30th, April 2025 GMT
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে কাটা ধান পলিথিন দিয়ে ঢাকতে গিয়ে বজ্রপাতে জহুরুল ইসলাম নামের এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। আজ বু্ধবার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে উপজেলার কয়া ইউনিয়নের সু্লতান গ্রামে নিজ বাড়ি থেকে প্রায় ১০০ মিটার দূরে এ দুর্ঘটনা ঘটে। তিনি ওই গ্রামের মৃত চয়ন উদ্দিনের ছেলে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, পদ্মা নদী শুকিয়ে চর জমেছে। সেখানে কৃষক জহুরুল ধান চাষ করেছিলেন। আজ সকালে পাকা ধান কেটে রাখেন। দুপুরে বৃষ্টি শুরু হলে পলিথিন নিয়ে সে ধান ঢাকতে যান জহুরুল। এ সময় হঠাৎ বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, পদ্মা নদীর পাড়ে কৃষক জহুরুলের জরাজীর্ণ টিনশেডের ঘর। ঘরের ছোট্ট বারান্দায় রাখা মরদেহটি। মরদেহ এক নজর দেখতে ভিড় করেছেন স্থানীয়। স্বজনরা করছেন আহাজারি।
এ সময় জহুরুলের ভাতিজা মুন্না শেখ বলেন, ‘একসঙ্গে কাজ করছিলাম। হঠাৎ বিশাল শব্দ করে ডাক (বজ্রপাত) মারে। আর চাচা এক দিকে আর আমি একদিকে উল্টে পড়ি। পরে ছুটে এসে দেখি কান দিয়ে রক্ত বের হচ্ছে। শরীরের এক পাশ পুড়ে গেছে।’
কুমারখালী থানার ওসি মো.
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
বিএনপি ক্ষমতায় না আসা পর্যন্ত ভাত না খাওয়ার পণ করা নাজিমউদ্দিন অসুস্থ, নেওয়া হলো ঢাকায়
১১ বছর ধরে দলের প্রতি ভালোবাসা থেকে ভাত খাননি ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার বাঁশগাড়িয়া গ্রামের বিএনপি কর্মী নাজামুদ্দিন। এতে অসুস্থ হয়ে পড়ায় ঝিনাইদহ থেকে মঙ্গলবার চিকিৎসকরা তাকে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। এ খবর জানতে পেরে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দল অসুস্থ নাজিমউদ্দিনের খোঁজখবর নিতে নেতাকর্মীদের নির্দেশ দেন। উন্নত চিকিৎসার জন্য নাজিমুদ্দিনকে ঢাকার পিজি হাসপাতালে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
বুধবার দুপুরে ঢাকা থেকে বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম এবং ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর আহ্বায়ক ও বিএনপি মিডিয়া সেলের সদস্য আতিকুর রহমান রুমনের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন নাজিমুদ্দিনকে দেখতে যান। এ সময় অন্যদের মধ্যে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ও ছাত্রদলের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এসএম আমিরুজ্জামান খান শিমুল, ফরিদপুর জেলা বিএনপির সদস্যসচিব একে কিবরিয়া স্বপন, মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব গোলাম মোস্তফা মিরাজ, ড্যাবের সভাপতি ডা. মোস্তাফিজুর রহমান শামীমসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন। তারা নাজিমুদ্দিনের চিকিৎসার খোঁজখবর নেন এবং সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে উন্নত চিকিৎসার জন্য নাজিমুদ্দিনকে ঢাকার পিজি হাসপাতালে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
দুপুর দেড়টার দিকে অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেন প্রতিনিধি দলটি। এ সময় তাঁর সঙ্গে স্ত্রী জুলেখা বেগম ও ছেলে শাহ আলম উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, ২০১৪ সালে বাঁশবাড়িয়া গ্রামে স্থানীয় বিএনপির উদ্যোগে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের শাহাদাৎবার্ষিকী উপলক্ষে অনুষ্ঠানে হামলা চালিয়ে বিতরণের জন্য রান্না করা খিচুড়ি নষ্ট করে দেয় তৎকালীন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের কিছু নেতাকর্মী। সেদিন থেকেই নাজিমুদ্দিন প্রতিজ্ঞা করেন, বিএনপি যতদিন রাষ্ট্র ক্ষমতায় না আসবে ততদিন তিনি ভাত খাবেন না। এরপর থেকে গত ১১ বছর ভাত ছাড়াই শুকনো খাবার রুটি-বিস্কুট খেয়েই চলছে তার জীবন। দীর্ঘদিন না খেয়ে থাকা, আর নিয়মিত ধূমপান করায় শারীরিক অবস্থা ভালো নেই নিজাম উদ্দিনের।
বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম বলেন, তারেক রহমানের নির্দেশে আমরা তার চিকিৎসার দ্বায়িত্ব নিয়েছি। ঢাকার পিজি হাসপাতালের (বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়) মেডিসিন বিভাগের প্রধানের সঙ্গে কথা হয়েছে। নাজিমুদ্দিনের সম্ভবত আরও কিছু শারীরিক সমস্যা রয়েছে। তার ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে। আমরা তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে যাচ্ছি। সেখানে পরীক্ষা করে বোঝা যাবে, তার শারীরিক অবস্থা কেমন আছে।