পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর হার ০.৫০% করার প্রস্তাব এফবিসিসিআইয়ের
Published: 30th, April 2025 GMT
ব্যক্তিশ্রেণির করদাতাদের জন্য বার্ষিক করমুক্ত আয়সীমা এক লাখ টাকা বাড়িয়ে সাড়ে চার লাখ টাকার প্রস্তাব করেছে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই। এ ছাড়া রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক শিল্পসহ সকল রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে কর হার ১ শতাংশ হতে কমিয়ে করে পূর্বের ন্যায় ০.৫০% নির্ধারণ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়।
আজ বুধবার রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের পরামর্শক কমিটির ৪৫তম সভায় এ প্রস্তাব তুলে ধরেন এফবিসিসিআই প্রশাসক মো.
তিনি বলেন, শিল্প পরিচালনার ব্যয় কমানোর লক্ষ্যে উৎপাদনকারীদের জন্য আমদানি পর্যায়ে প্রদেয় অগ্রিম আয়করের (এআইটি) হার ধাপে ধাপে কমিয়ে আনার প্রস্তাব করছি। বর্তমান আইনে নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্য সামগ্রী (যেমন- ধান, চাল, গম, আটা, মাছ, মাংস, পিয়াজ, রসুন, মটর, ছোলা, মসুর, আদা, হলুদ, শুকনা মরিচ, ডাল, ভূট্টা, আটার, ময়দা, লবণ, ভোজ্যতেল, চিনি, গোলমরিচ, এলাচ, দারুচিনি, লবঙ্গ, জিরা, তেজপাতা, পাট, তুলা, সুতা) সরবরাহের ক্ষেত্রে উৎসে ১% হারে কর কর্তনের বিধান আছে। পাট কাঠি, বীজ, চা পাতাসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্য পণ্যকে এবং তৈরি পোশাক শিল্পের সাব-কন্ট্রাক্টটিং-কে এই বিধানের আওতায় আনার প্রস্তাব করছি।
তিনি আরও বলেন, উৎসে কর কর্তনের হার প্রকৃত মুনাফার উপর প্রদেয় আয়করের তুলনায় অনেক বেশি। তাই উৎসে কর কর্তনের হার যৌক্তিকীকরন করার প্রস্তাব করছি।
এফবিসিসিআই প্রশাসক বলেন, উৎসে কর কর্তনের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি পিএসআর (রিটার্নের প্রাপ্তি স্বীকারপত্র) সংগ্রহ না করলে ১০ লাখ টাকার জরিমানার বিধান এবং খরচ অননুমোদিত হওয়ার বিধান অযৌক্তিক। তাই এ বিধান বাতিল করার প্রস্তাব করছি।
তিনি বলেন, রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক শিল্পসহ সকল রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে কর হার ১.০০% হতে হ্রাস করে পূর্বের ন্যায় ০.৫০% নির্ধারণ করা এবং তা আগামী ৫ বছর পর্যন্ত কার্যকর রাখার প্রস্তাব করছি।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: এফব স স
এছাড়াও পড়ুন:
আয়কর ফাঁকির মামলায় আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন খালেদা জিয়ার ভাগনে শাহরিন
আয়কর ফাঁকির মামলায় আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ভাগনে শাহরিন ইসলাম। এই মামলায় ১৭ বছর আগে তাঁর জেল-জরিমানা হয়।
ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬-এ আজ মঙ্গলবার সকালে শাহরিন ইসলাম আত্মসমর্পণ করেন, জামিনের আবেদন জানান।
প্রথম আলোকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন শাহরিন ইসলামের আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন ও শেখ সাকিল আহমেদ রিপন।
আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন প্রথম আলোকে বলেন, শাহরিন ইসলাম অসুস্থ। তিনি নীলফামারী-১ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন। ১৭ বছর আগে রাজনৈতিকভাবে হয়রানি করার জন্য আয়কর অধ্যাদেশের মামলায় তাঁকে সাজা দেওয়া হয়েছিল। আজ তিনি আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন জানান।
আইনজীবীদের তথ্য অনুযায়ী, ৮১ লাখ টাকা আয়কর ফাঁকির মামলায় ২০০৮ সালে শাহরিন ইসলামকে আট বছর কারাদণ্ড দেন আদালত। এ ছাড়া তাঁকে ৯২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
জামিনের আবেদনে শাহরিন ইসলাম উল্লেখ করেছেন, তিনি ১৯৯৮-১৯৯৯ কর বছর থেকে ২০০৬-২০০৭ কর বছর পর্যন্ত আয়কর রিটার্ন দাখিল করেছেন। তিনি সেখানে তাঁর সব সম্পদের তথ্য উল্লেখ করেছেন। বিচারিক আদালত থেকে তিনি ন্যায়বিচার পাননি।