তাপপ্রবাহ বাড়তে শুরু করেছে। এ সময় সুস্থ থাকতে খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করা খুবই জরুরি। গরমে ছাতুর পানীয় খুবই উপকারী বলে মনে করা হয়। ছাতুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, প্রোটিন, ফাইবার, কার্বোহাইড্রেট, আয়রন, ক্যালসিয়াম আর খনিজ। এই গরমে ছাতুর শরবত শরীর ঠান্ডা করার পাশাপাশি গরমে আপনাকে সুস্থ রাখবে। বিশেষ করে তাপ প্রবাহের সময় এটি প্রয়োজনীয়। কারণ, ছাতু আপনাকে ঠান্ডা এবং হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করে। ছাতু দিয়ে তৈরি করতে বিীবন্ন রকম পানীয়। যেমন-

লবণাক্ত ছাতু শরবত
এই পানীয়টি তৈরি করা খুব সহজ। এটি তৈরি করতে,ছাতু সাথে লবণ, লেবুর রস, মধু এবং পানির প্রয়োজন হবে। প্রথমে একটি গ্লাসে সব উপাদান মিশিয়ে নিন। চামচ দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নেওয়ার পর, এতে বরফের টুকরো যোগ করুন।

মিষ্টি ছাতু শরবত
এর জন্য ছাতুর গুঁড়ো, চিনি এবং পানি প্রয়োজন। প্রথমে একটি গ্লাসে দুই চামচ ছাতু গুঁড়ো এবং চিনি নিন। এবার এতে পানি দিন এবং ভালভাবে মিশিয়ে নিন। চিনি গলে গেলে, এতে বরফের টুকরো যোগ করুন। ঠান্ডা করে পরিবেশন করুন।

পুদিনা পাতার ছাতু শরবত
এটি তৈরি করতে, আপনার প্রয়োজন হবে ছাতু, তাজা পুদিনা পাতা, লেবুর রস, মধু এবং ঠান্ডা পানি। এটি তৈরি করতে, সব উপকরণ একটি গ্লাসে ঢেলে তাতে পানি যোগ করুন। এবার, এটি সম্পূর্ণরূপে মেশানোর পরে, এতে বরফের টুকরো যোগ করুন এবং পরিবেশন করুন। 

মসলা মেশানো ছাতু শরবত
আপনি যদি মসলাদার খাবার পছন্দ করেন, তাহলে আপনার প্রয়োজন হবে পেঁয়াজ, কাঁচা মরিচ, ধনে পাতা, লবণ, লবণ এবং ভাজা জিরা। সাতুর সঙ্গে মিহি করে কাটা পেঁয়াজ, কাঁচা মরিচ এবং অন্যান্য উপাদান মাখিয়ে পানি মেশাতে হবে। ভালোভাবে মিশিয়ে বরফের টুকরো যোগ করে পরিবেশন করুন। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: য গ কর ন

এছাড়াও পড়ুন:

অতিরিক্ত গরমে পেট ঠান্ডা রাখবেন যেভাবে

শরীরকে পানিশূন্য হতে দেবেন না

গরমে পেটের পীড়া তৈরির পেছনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখে পানিশূন্যতা। গ্রীষ্মকালে প্রয়োজনের তুলনায় যেমন বেশি পানি খাওয়া হয়, তেমনি তা দ্রুত ঘামের সঙ্গে শরীর থেকে বেরিয়েও যায়। যে কারণে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি পানি খাওয়া প্রয়োজন। পর্যাপ্ত পানির অভাবে খাবারও ঠিকঠাক হজম হয় না। তৈরি হতে পারে কোষ্টকাঠিন্য ও অ্যাসিডিটি।

অতিরিক্ত ঠান্ডা খাবার ও পানীয় খাবেন না

গরমে ঠান্ডা পানি ও খাবারের লোভ সামলানো দায়। বাইরে থেকে এসে আইসক্রিম, ঠান্ডা পানি কিংবা জুস দেখলেই অনেকে ঝাঁপিয়ে পড়েন। কিন্তু এমন সময় ঠান্ডা খাবার ও পানীয় হজমে সমস্যা তৈরি করতে পারে।

আরও পড়ুনঠান্ডা-কাশি হলে কি টুথব্রাশ বদলানো জরুরি১০ এপ্রিল ২০২৫বাইরের খাবার বাদ দিন

গরমকালে রাস্তার পাশে দেখা যায় শরবত, জুস কিংবা কুলফি মালাইয়ের দোকান। কিন্তু অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বানানো এ ধরনের পানীয় বা খাবার থেকে তৈরি হতে পারে ডায়রিয়া, আমাশয়সহ নানা রকম পেটের পীড়া।

খাওয়াদাওয়ায় অনিয়ম করবেন না

গ্রীষ্মকালে খাওয়াদাওয়ায় অনিয়ম পেট একেবারেই নিতে পারে না। বিশেষ করে কিছুক্ষণ পরপর পানি খাওয়ার ফলে পেট সারা দিন ভরা ভরা লাগে। ধীরে ধীরে তা পরিণত হয় খাবারের অনিয়মে। এই অনিয়ম থেকে হতে পারে পেটের পীড়া।

সূর্যের তীব্রতা থেকে নিজেকে আড়াল রাখুন

সারা বছর যাঁরা ছোটখাটো পেটের পীড়ায় ভোগেন, গ্রীষ্মকালে তাঁদের ভোগান্তি আরও বাড়তে পারে। কারণ, গ্রীষ্মকালে সূর্যের তীব্র আলো শরীরে প্রদাহ সৃষ্টি করে। সেই প্রদাহ থেকে পেটে সমস্যা তৈরি হতে পারে।

আরও পড়ুনগরমে যেসব রঙের পোশাক পরলে আরাম পাবেন২২ এপ্রিল ২০২৫গরমেও সুস্থ থাকার উপায়

পর্যাপ্ত পানি খান: গ্রীষ্মকালে শরীর থেকে প্রচুর পানি বেরিয়ে যায়। এই পানির অভাব পূরণ করতে প্রতিদিন তেষ্টা বুঝে পানি খান। পানির পরিবর্তে ডাবের পানি, ঘরে তৈরি জুস, লেবুর শরবত খেতে পারেন। তবে কৃত্রিম মিষ্টি থেকে দূরে থাকাই ভালো।

মৌসুমি ফল খান: আম, জাম, কাঁঠাল, লিচু থেকে শুরু করে তরমুজ, বেল, বাঙি—বাহারি ফলের মৌসুম গ্রীষ্মকাল। এসব ফল পেট শান্ত রাখতে সহায়তা করে। এ ছাড়া ফলের রস পানিশূন্যতা দূর করতেও সহায়ক।

বাসার খাবার খান: গরমে বাইরের খাবার শরীরে বেশ বাজে প্রভাব ফেলে। অতিরিক্ত ঝাল, তেল, মসলা শরীরে বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে। তাই গ্রীষ্মকালে চেষ্টা করুন ঘরে তৈরি খাবার খাওয়ার। এতে পেটের ওপর চাপ কম পড়বে।

ঠান্ডা খেতে চাইলে: ঘরের বাইরে থেকে এসেই ঠান্ডা কিছু খাওয়া কখনোই ভালো নয়। খাইতে চাইলে কিছুটা সময় নিন। তবে ঠান্ডা খাবার বলতে কেবল আইসক্রিম কিংবা ঠান্ডা পানীয়ই নয়, বেছে নিতে পারেন দই, ঘরে তৈরি লাচ্ছি অথবা মালাই।

খাবারে অনিয়ম করবেন না: গ্রীষ্মকালে যতই পেট ভরা লাগুক না কেন, সময়মতো তিন বেলা খাবার খেতে ভুলবেন না। সময়মতো খাবার খেলে পেটের সমস্যা থেকে মুক্ত থাকা যায় সহজে।

সূত্র: জেম হসপিটাল ও কাইজেন গ্যাস্ট্রো কেয়ার

আরও পড়ুনগরমে ইলেকট্রোলাইট ড্রিংকস খাওয়া কি ঠিক০৬ এপ্রিল ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • অতিরিক্ত গরমে পেট ঠান্ডা রাখবেন যেভাবে