রমনা বটমূলে বোমা হামলা: হাইকোর্টের রায় ৮ মে
Published: 30th, April 2025 GMT
২০০১ সালে রমনা বটমূলে ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে বোমা হামলার ঘটনায় হাইকোর্টের রায় ৮ মে ঘোষণা করা হবে।
বুধবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি নাসরিন আক্তার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রায়ের এ দিন ঘোষণা করেন।
এর আগে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি এই মামলায় বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের ডেথ রেফারেন্স ও জেল আপিলের ওপর আসামিপক্ষ ও রাষ্ট্রপক্ষের শুনানি শেষ হয়েছিল। পরে শুনানি শেষে মামলাটি সিএভি (রায় ঘোষণার জন্য অপেক্ষমাণ) রাখেন।
আদালতে আসামিপক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম শাহজাহান ও সরওয়ার আহমেদ প্রমুখ। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুলতানা আক্তার রুবী।
২০০১ সালের ১৪ এপ্রিল রমনা বটমূলে ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে বোমা হামলা চালানো হয়। হামলায় ঘটনাস্থলেই নয়জনের মৃত্যু হয়। পরে হাসপাতালে মারা যান একজন। এ ঘটনায় রাজধানীর নীলক্ষেত পুলিশ ফাঁড়ির সার্জেন্ট অমল চন্দ্র চন্দ ওই দিনই রমনা থানায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা দায়ের করেন।
এরপর ২০০৮ সালের ৩০ নভেম্বর দুই মামলায় ১৪ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে ২০১৪ সালের ২৩ জুন হত্যা মামলায় রায় দেন ঢাকার বিচারিক আদালত। রায়ে বিচারিক আদালত নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদের (হুজি) শীর্ষ নেতা মুফতি আব্দুল হান্নানসহ আটজনের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডাদেশ এবং ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়।
ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- মুফতি আব্দুল হান্নান, মাওলানা আকবর হোসেন, আরিফ হাসান সুমন, মাওলানা তাজউদ্দিন, হাফেজ জাহাঙ্গীর আলম বদর, মাওলানা আবু বকর ওরফে মাওলানা হাফেজ সেলিম হাওলাদার, মাওলানা আবদুল হাই ও মাওলানা শফিকুর রহমান। এর মধ্যে সিলেটে গ্রেনেড হামলার মামলায় মুফতি হান্নানের মৃত্যুদণ্ড ইতোমধ্যে কার্যকর হয়েছে।
বিচারিক আদালতের রায় ঘোষণার পর মামলাটি ডেথ রেফারেন্স হিসেবে হাইকোর্টে আসে। একইসঙ্গে জেল আপিল হয়। পরে পেপারবুক প্রস্তুত করে মামলাটি কার্যতালিকায় ওঠে। হত্যা মামলার রায় ঘোষণা হলেও বিস্ফোরক মামলাটি ঢাকার ১ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে এখনও বিচারাধীন রয়েছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: রমন বটম ল
এছাড়াও পড়ুন:
ফ্লোরিডায় বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের বর্ষবরণ
যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের বোকা রাটন শহরে অবস্থিত ফ্লোরিডা আটলান্টিক ইউনিভার্সিটিতে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের ঈদ পুনর্মিলনী ও বাংলা নববর্ষ উৎযাপিত হয়েছে। গত ৫ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্ট ইউনিয়ন সেন্টারে ঈদ পুনর্মিলনী ও বাংলা নববর্ষ উৎযাপন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশ স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের ফ্লোরিডা আটলান্টিক ইউনিভার্সিটির (বিএসএ-এফএইউ) ব্যানারে আয়োজিত নবীনবরণ অনুষ্ঠানটি নতুন ও পুরোনো বাংলাদেশি শিক্ষার্থী ও তাদের পরিবারের সদস্যদের মিলনমেলায় পরিণত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মিয়ামির পররাষ্ট্র বিভাগের কনস্যুলার জেনারেল সেহেলি সাবরিন। ঈদ পুনর্মিলনী ও বাংলা নববর্ষ উৎযাপন অনুষ্ঠানে ফ্লোরিডা আটলান্টিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও বাংলাদেশ স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের উপদেষ্টা হাসান মাহফুজ, অধ্যাপক খালেদ সোবহান, সহকারী অধ্যাপক আবুবকর সিদ্দিক শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। অনুষ্ঠানটি শুরু হয় বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত পরিবেশনার মাধ্যমে। এরপর আমন্ত্রিত সব অতিথিদের উপস্থিতিতে স্প্রিং ২০২৫ শিক্ষাবর্ষে আগত নবীন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সবাইকে পরিচয় করিয়ে দেওয়া ও স্বাগত উপহার প্রদান করা হয়। এ ছাড়া ফল ২০২৪ এবং স্প্রিং ২০২৫ সেশনে মাস্টার্স সম্পন্ন করা শিক্ষার্থীদের বিদায় সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। একই অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের ফ্লোরিডা আটলান্টিক ইউনিভার্সিটির
(বিএসএ-এফএইউ) বিদায়ী উপদেষ্টা অধ্যাপক হাসান মাহফুজ ২০২৫-২০২৬ শিক্ষাবর্ষের জন্য নতুন উপদেষ্টা হিসেবে অধ্যাপক খালেদ সোবহান, সভাপতি পদে বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি শিক্ষার্থী মো. নিয়ামত আলী, সহসভাপতি মো. আহনাফ আকিফ, কোষাধ্যক্ষ মোহাম্মাদ খান এবং কমিউনিকেশন অফিসার হিসেবে ফাহমিদা জারিনের নাম ঘোষণা করেন। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশি ঐতিহ্যবাহী খাবার দিয়ে মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করা হয়েছিল। খাবারের পর মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় বাংলা কবিতা, সংগীত, মঞ্চনাটকসহ দেশি বিনোদন উপভোগ করেন উপস্থিত দর্শকরা। v