আমানউল্লাহ আমানের ১৩ বছর কারাদণ্ডের সাজা বাতিল
Published: 30th, April 2025 GMT
অবৈধ সম্পদ অর্জন ও সম্পদ তথ্য গোপনের অভিযোগে করা মামলায় বিএনপি নেতা আমানউল্লাহ আমানের ১৩ বছর কারাদণ্ডের সাজা বাতিল করে খালাস দিয়েছেন আপিল বিভাগ। পাশাপাশি তার স্ত্রী সাবেরা আমানের ৩ বছরের সাজা বাতিল করে খালাস দেওয়া হয়েছে।
ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের বেঞ্চ বুধবার এ রায় দেন।
আদালতে আমান ও তার স্ত্রীর পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন ও ব্যারিস্টার সাকিব মাহবুব।
রায়ের পরে ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন সাংবাদিকদের বলেন, আপিল বিভাগের রায়ে বিএনপি নেতা আমানউল্লাহ আমান ও তার স্ত্রী ন্যায়বিচার পেয়েছেন। তারা সাজা থেকে খালাস পেয়েছেন। এর ফলে আমান উল্লাহ আমানের আগামী সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণে কোনো বাধা থাকল না।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০৭ সালের ৬ মার্চ সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে রাজধানীর কাফরুল থানায় আমান দম্পতির বিরুদ্ধে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন ( দুদক)। পরে ওই বছরের ২১ জুন আমান উল্লাহ আমানকে ১৩ বছর এবং তার স্ত্রী সাবেরাকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেন বিশেষ জজ আদালত। এরপর ওই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন তারা। ২০১০ সালের ১৬ আগস্ট হাইকোর্ট তাদের খালাস দেন। পরে হাইকোর্টের ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আপিল করে দুদক। আপিল বিভাগ ২০১৪ সালের ২৬ মে হাইকোর্টের রায় বাতিল করে আপিলটি পুনঃশুনানির নির্দেশ দেন।
২০২৩ সালের ৩০ মে হাইকোর্টের একই বেঞ্চ দুদকের এই মামলায় আমানের ১৩ বছর ও তার স্ত্রী সাবেরা আমানের ৩ বছরের কারাদণ্ড বহাল রেখে আদেশ দেন। এরই ধারাবাহিকতা আমান দম্পতি হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে একই বছরের ১২ সেপ্টেম্বর আপিল দায়ের করেন। বুধবার ওই আপিলের শুনানি শেষে হাইকোর্টের রায় বাতিল করা হয়।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আপ ল ব ভ গ ল হ আম ন ব ত ল কর ১৩ বছর আম ন র বছর র
এছাড়াও পড়ুন:
নরসিংদী কারাগারে কয়েদির মৃত্যু, নির্যাতনের অভিযোগ পরিবারের
নরসিংদী জেলা কারাগারে ‘নির্যাতনে’ এক কয়েদির মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন স্বজনেরা। মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। নিহতের নাম রুকন মিয়া (৩৫)। তিনি জেলার সদর উপজেলা নজরপুর ইউনিয়নের দিলারপুর গ্রামের মৃত মোহাম্মদ আলী ছেলে।
নিহতের ভাই রুবেল অভিযোগ করে বলেন, ‘‘রুকন একেবারে সুস্থ ও স্বাভাবিক ছিল। তার ডায়াবেটিকস ছাড়া কোনো শারীরিক সমস্যা ছিল না। কারাগারের ভেতরে তাকে নির্যাতন করে হত্যা করেছে। না হলে হঠাৎ সে কেন মারা যাবে?’’
তিনি আরো বলেন, ‘‘মঙ্গলবার বিকেলে রুকন অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে নেয় কারা কর্তৃপক্ষ। অথচ আমাদের এই বিষয়ে কিছুই জানায়নি। বুধবার সকালে অন্য মাধ্যমে খবর পেয়ে হাসপাতালে এসে দেখি, ভাই মৃত। এ বিষয়ে জানতে জেল সুপারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন।’’
আরো পড়ুন:
ধর্ষণের অভিযোগে গণপিটুনি, কারাগারে ইমামের মৃত্যু
গাজীপুরে বিস্ফোরণে একই পরিবারের ৫ জন দগ্ধ, সবার অবস্থা আশঙ্কাজনক
তবে, অভিযোগের বিষয় নাকচ করেছেন নরসিংদী জেলা কারাগারের জেল সুপার মো. শামীম। তিনি বলেন, ‘‘মাদক মামলায় আসামি রুকন নরসিংদী কারাগারে ছিলেন। গতকাল বিকেলে তিনি হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। অন্য কয়েদিদের মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পেরে তাকে নরসিংদী জেলা হাসপাতালে নেওয়া হয়। চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।’’
তিনি আরো বলেন, ‘‘ধারণা করছি, শারীরিক অসুস্থতার কারণে তার মৃত্যু হয়েছে। কারাগারে তাকে কোনো নির্যাতন করা হয়নি। মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরির পর ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।’’
ঢাকা/হৃদয়/রাজীব