রাজবাড়ী শহরের পাবলিক হেলথ মোড় থেকে রুবেল সরদার নামে এক ব্যবসায়ীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার সকালে শহরের প্রাণকেন্দ্র পাবলিক হেলথ মোড়ে জামান স্টোর নামে একটি দোকানের বারান্দা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। রুবেল সরদার রাজবাড়ী রাজবাড়ী শহরের দক্ষিণ ভবানীপুর কাহারপাড়া গ্রামের মৃত আলম সরদারের ছেলে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, রুবেল সরদার পাবলিক হেলথ মোড়ে পান-সিগারেটের দোকান দিয়ে ব্যবসা করতেন। ছয় মাস আগে দোকানটি তিনি বিক্রি করে দেন। তারপর থেকে কোনো স্থায়ী কর্মে যুক্ত ছিলেন না। মাস তিনেক আগে তার সঙ্গে তার স্ত্রী ঝগড়া করে বাবার বাড়ি চলে যায়।

জামান স্টোরের মালিক শাহিদুজ্জামান শাহীন জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঝড় হচ্ছিল। একারণে নির্ধারিত সময়ের আগেই দোকান বন্ধ করে বাসায় চলে যান। সকালে এসে শোনেন তার দোকানের সামনে রুবেলের মরদেহ পড়ে আছে।

নিহতের ছোট ভাই জুয়েল সরদার বলেন, মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে আমি ভাইকে বাড়িতে দেখেছি। তখন বিদ্যুৎ ছিল না। কখন সে বাড়ি থেকে বের হয়েছে, বুঝতে পারিনি। সকালে শুনি ভাইয়ের মরদেহ পাওয়া গেছে। এটি স্বাভাবিক মৃত্যু নয়। তার নাকে আঘাতের চিহ্ন ছিল।

নিহতের স্ত্রী বন্যা বেগম জানান, তার স্বামী ঠিকমতো কাজ করতেন না। এজন্য একমাত্র মেয়েকে নিয়ে তিন মাস ধরে বাবার বাড়ি থাকছেন। মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে সে তার সঙ্গে দেখা করতে বাবার বাড়ি গিয়েছিল। মেয়ের জন্য অনেক খাবার কিনে নিয়ে যায়। একটু পরে সেখান থেকে চলে আসে। সকালে শোনেন সে মারা গেছে। ২০১৯ সালে তার প্রথম হার্ট অ্যাটাক হয়। তখন ফরিদপুরে নিয়ে চিকিৎসা করাই। পরে আরও দুবার হার্ট অ্যাটাক হয়েছিল।

রাজবাড়ী সদর থানার ওসি মো.

মাহমুদুর রহমান বলেন, রুবেলের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজবাড়ী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ল শ উদ ধ র র মরদ হ ল সরদ র ব যবস

এছাড়াও পড়ুন:

টাকার জন্য দেশে ছেড়েছি, এখন টাকা খরচের সময় নেই: পিয়া বিপাশা

লাক্স চ্যানেল আই সুপারস্টার প্রতিযোগিতার মাধ্যমে বিনোদন অঙ্গনে পা রাখেন পিয়া বিপাশা। এরপর অভিনয় করেছেন মিউজিক ভিডিও, নাটক ও সিনেমায়। কিন্তু হুট করেই নাই হয়ে গেলেন। পরে জানা গেল অভিনেত্রী আমেরিকায়। গেল পাঁচ বছর সেখানেই বাস করছেন তিনি। সম্প্রতি দেশের একটি গণমাধ্যমে প্রবাসজীবনসহ নানা বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন তিনি।

পিয়া বিপাশা জানান, একমাত্র মেয়েকে নিয়ে নিউইয়র্কে বসবাস শুরু করেন। এরপর যুক্তরাষ্ট্রের এক নাগরিকের সঙ্গে তাঁর প্রেম ও ভালোবাসা তৈরি হয়। তারপর তাঁরা বিয়ে করেন। দুজনে মিলে বিয়ে করলেও আনুষ্ঠানিকতা সারেননি। চলতি বছরের শেষ দিকে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সেরে নেওয়ার ইচ্ছা।

পিয়া বিপাশা বলেন, ‘বাংলাদেশে ভালো লাগত না। কারণ, লবিং ছাড়া কাজ হতো না। ভালো একটা সিনেমা করার কথা ছিল। কিন্তু সেটা আর হয়নি। এরপর আমার মিডিয়ায় কাজ করার ইচ্ছাই নষ্ট হয়ে যায়। আমি আসলে কাজ করতে চেয়েছিলাম টাকা কামানোর জন্য। কাজ না করতে পারলে টাকা কামাব কী করে। তাই সিদ্ধান্ত নিই অন্য কিছু করার।’

বিপাশার কথায়, ‘টাকা রোজগারের জন্য আমি বিনোদন অঙ্গনে কাজ করেছিলাম। কারণ, আমার একটা মেয়ে ছিল। মেয়েকে নিয়ে টিকে থাকার বিষয় ছিল। পরে দেখলাম, যেভাবে কাজ হয়, আমাকে দিয়ে ইন্ডাস্ট্রিতে টিকে থাকা সম্ভব নয়। তাই সিদ্ধান্ত নিলাম, আমেরিকায় চলে আসার। এখানে এসে বাংলাদেশের সঙ্গে সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ করে দিই। অনেক টাকাও আয় করছি।’

পিয়া বিপাশা বলেন, ‘সত্যি বলতে এখন আমার এমন অবস্থা, টাকা ইনকাম না করলেও হয়।  আমার এখন আর কোনো স্বপ্ন নেই। যা চেয়েছি, গত পাঁচ বছরে সবই পেয়েছি। টাকাপয়সা, সুন্দর জীবন, প্রতিষ্ঠিত হওয়া, ভালো স্বামী—সবই আমার হয়েছে। টাকা নিয়ে এখন কোনো চিন্তা নেই আমার—যা আয় করি, তা ব্যয় করার সময় পাই না।’ 

পিয়া বিপাশা জানান, ইনস্টাগ্রাম ও ফেসবুকে বিভিন্ন পণ্যের যেসব পোস্ট করেন, তার জন্য বেশ ভালো সম্মানী পান। তাঁর দাবি, এই সম্মানী কখনো দুই হাজার ডলার, আবার কখনো তিন হাজার ডলারের মধ্যে।

২০১৩ সালে ‘দ্বিতীয় মাত্র’ নাটকে তাহসান খানের বিপরীতে অভিনয় করেন। ছোটবেলায় রূপকথার বই পড়তে পছন্দ করতেন। বই পড়ার সময় গল্পের নায়িকার চরিত্রে নিজেকে কল্পনাও করতেন। বড় পর্দায়ও অভিনয় করেছিলেন। ‘রুদ্র: দ্য গ্যাংস্টার’ নামের সেই ছবি মুক্তি পায়। এরপর ‘রাজনীতি’ ছবিতে শাকিব খানের বিপরীতে অভিনয়ের কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত হয়ে ওঠেনি। পরে সেই ছবিতে পিয়া বিপাশার পরিবর্তে অপু বিশ্বাস অভিনয় করেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ