রোনালদোর আল নাসর কেন নেই ক্লাব বিশ্বকাপে
Published: 30th, April 2025 GMT
২০০৮ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে চারবার ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের শিরোপা জিতেছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। একটি ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে, তিনটি রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে।
সেই সময় ৬ থেকে ৮ দল নিয়ে ক্লাব বিশ্বকাপ আয়োজন করত ফিফা। সাধারণত স্বাগতিক দেশের ক্লাব ও মহাদেশীয় চ্যাম্পিয়নদের নিয়ে বসত এই বৈশ্বিক আসর। রোনালদোর দল প্রতিবারই উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপা জিতে ইউরোপ মহাদেশের সেরা হয়ে ক্লাব বিশ্বকাপে জায়গা করে নিয়েছে।
এ বছর থেকে বৃহৎ পরিসরে ক্লাব বিশ্বকাপ হতে চলেছে। আগামী ১৪ জুন থেকে ১৩ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রের ১১ শহরের ১২ ভেন্যুতে হবে এই টুর্নামেন্ট। খেলবে ৬ মহাদেশের ৩২টি ক্লাব।
আরও পড়ুনবডি ক্যাম নিয়ে নামবেন রেফারিরা, ক্লাব বিশ্বকাপে ফিফার চমক১৫ এপ্রিল ২০২৫পরিধি বাড়ায় প্রায় সব মহাদেশ থেকে আরও বেশি দল এখন থেকে ক্লাব বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পাবে। লিওনেল মেসির দল ইন্টার মায়ামিও স্বাগতিক দেশের ক্লাব হিসেবে বিশ্বকাপে অংশ নিতে যাচ্ছে।
কিন্তু রোনালদো এবার হতভাগাদের তালিকায়। তাঁর দল আল নাসর যে ২০২৫ ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি!
সৌদি আরব থেকে শুধু আল হিলাল ২০২৫ ক্লাব বিশ্বকাপে জায়গা পেয়েছে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ক ল ব ব শ বক প
এছাড়াও পড়ুন:
সিঙ্গারের গ্রস প্রফিট মার্জিন কমেছে ১.৮ শতাংশ
পুঁজিবাজারে প্রকৌশল খাতে তালিকাভুক্ত কোম্পানি সিঙ্গার বাংলাদেশ লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ চলতি হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিক (জানুয়ারি-মার্চ, ২০২৫) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী আলোচ্য প্রান্তিকে কোম্পানিটির গ্রস প্রফিট (মোট মুনাফা) মার্জিন আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১.৮০ শতাংশ কমেছে। তবে ওই বছরে কোম্পানিটির টার্নওভার ৩৯.৩ শতাংশ বেড়েছে, যা ইতিবাচক দিক বলে মনে করে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ।
প্রকাশিত প্রথম প্রান্তিক অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) অনুষ্ঠিত কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে চলতি হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর তা প্রকাশ করা হয়।
প্রথম প্রান্তিক আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণে দেখা গেছে, বিভিন্ন অফার, ডিসকাউন্ট ও প্রোমোশনের কারণে পণ্যের গড় উৎপাদন ব্যয় বেড়েছে সিঙ্গার বাংলাদেশের। তবে বিক্রয়মূল্য সেই অনুপাতে সমন্বয় করা হয়নি। বরং প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে কিছু প্রধান পণ্যের মূল্য কমানো হয়েছে, যা মার্জিনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। পাশাপাশি পণ্য ও বিক্রয় চ্যানেল মিশ্রণের পরিবর্তনও গ্রস মার্জিন কমাতে ভূমিকা রেখেছে।
এদিকে, গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ২০২৫ সালের প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির পরিচালন মুনাফা ৩.৭ শতাংশ কমেছে। বিজ্ঞাপন ব্যয়, বিক্রয় প্রচারণা, ব্যাংক চার্জ এবং ওয়ারেন্টি সংক্রান্ত ব্যয় বৃদ্ধিই এর প্রধান কারণ বলে মনে করে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ। তবে, অপারেটিং খরচ ৩৮ শতাংশ বাড়লেও বিক্রয়ের তুলনায় ব্যয়ের অনুপাত কিছুটা কমেছে। তবে এটাকে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ ব্যয় ব্যবস্থাপনার উন্নতির ইঙ্গিত মনে করছে।
অর্থায়ন ব্যয় ১৪৫.১০ শতাংশ বেড়েছে। এর পেছনে স্বল্পমেয়াদী ঋণের ব্যবহার ৯ শতাংশ বৃদ্ধি এবং সুদের হার প্রায় ৩.৫০ শতাংশ বৃদ্ধির প্রভাব রয়েছে। একই সঙ্গে ন্যূনতম কর ও ডেফার্ড কর বৃদ্ধির ফলে আয়কর ব্যয় ১০৮.৪০ শতাংশ বেড়েছে।
তবে নিট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো দৃশ্যমান উন্নতি করেছে। প্রথম প্রান্তিকে নেট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো প্রতি শেয়ার দাঁড়িয়েছে ৪.৭৯ টাকা, যেখানে আগের বছর ছিল (৩.৮৪) টাকা। সরবরাহকারী অর্থপ্রদান নিয়ন্ত্রণ ও বিক্রয় আদায়ে উন্নতির ফলে ক্যাশ ফ্লো ইতিবাচক হয়েছে।
ঢাকা/এনটি/ইভা