তিন প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ, তদন্তে দুদকের অভিযান
Published: 30th, April 2025 GMT
জামালপুরে এলজিইডি অফিসে অভিযান চালিয়েছে দুদক। এলজিইডির বাস্তবায়নাধীন ৩টি প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ খতিয়ে দেখতে এ অভিযান চালানো হয়েছে।
জামালপুর জেলা দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত কার্যালয়ের একটি টিম গতকাল মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জামালপুর এলজিইডি কার্যালয়ে যায়। সেখানে ঘণ্টাব্যাপী অভিযান চালানো হয়।
জামালপুর দুদক কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক জিহাদুল ইসলামের নেতৃত্বে তদন্ত দল এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী রোজদিদ আহম্মেদের সঙ্গে জাইকা প্রকল্পের বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলে। এ সময় খাল পুনর্খনন, রাস্তা ও বাঁধ নির্মাণ প্রকল্পের সব তথ্য উপস্থাপন করতে নির্দেশনা দেন দুদকের কর্মকর্তারা।
দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক জিহাদুল ইসলাম বলেন, জাইকার অর্থায়নে জামালপুর সদর উপজেলায় দুটি ও সরিষাবাড়ী উপজেলার একটি খাল খনন প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ পেয়েছেন তারা। বিষয়গুলো নিয়ে এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলীর সঙ্গে কথা বলেছেন। কার্যালয় থেকে ওই প্রকল্পের কাজ তদারকি করা হয়। প্রকল্পে সুনির্দিষ্ট করে বলা রয়েছে, জামালপুর সদর উপজেলার শাহাবাজপুর বংশাই খালের ১২ দশমিক ৪০ কিলোমিটার, নান্দিনা ভালুকা শ্রীপুর এলাকায় খালের ২৪ কিলোমিটার এবং সরিষাবাড়ী উপজেলার বড়বাড়িয়া এলাকায় খালের ৩ দশমিক ৮ কিলোমিটার পুনর্খনন প্রকল্পে বরাদ্দ ছিল প্রায় ৫ কোটি টাকা। এসব প্রকল্পে দুর্নীতির বিষয়ে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।
জামালপুর স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) নির্বাহী প্রকৌশলী রোজদিদ আহম্মেদ জানান, সদর উপজেলায় দুটি ও সরিষাবাড়ী উপজেলায় একটি খাল খনন প্রকল্পের কাজ চলমান। এসব কাজে দুর্নীতির অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নেমেছে দুদক।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: প রকল প র ন প রকল প উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
৭৮০ কোটি টাকা মুনাফা করেছে পূবালী ব্যাংক
বেসরকারি খাতের পূবালী ব্যাংক ২ হাজার কোটি টাকার রেকর্ড পরিচালন মুনাফা করলেও বছর শেষে ব্যাংকটির নিট মুনাফা হাজার কোটি টাকা ছাড়ায়নি। গত বছর শেষে পূবালী ব্যাংকের নিট মুনাফা দাঁড়িয়েছে ৭৮০ কোটি টাকা। ২০২৩ সালে ব্যাংকটি নিট মুনাফা করেছিল ৬৯৮ কোটি টাকা। সেই হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে ব্যাংকটির মুনাফা ৮২ কোটি টাকা বা প্রায় ১২ শতাংশ বেড়েছে। গতকাল মঙ্গলবার ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদের সভায় গত বছরের আর্থিক প্রতিবেদন অনুমোদন করা হয়।
আর্থিক প্রতিবেদন অনুমোদনের পাশাপাশি গত বছরের জন্য লভ্যাংশও অনুমোদন করা হয় গতকালের এই সভায়। গত বছরের জন্য ব্যাংকটি ২৫ শতাংশ লভ্যাংশ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। যার মধ্যে সাড়ে ১২ শতাংশ নগদ ও সাড়ে ১২ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ। ২০২৩ সালেও ব্যাংকটি একই হারে শেয়ারধারীদের লভ্যাংশ দিয়েছিল।
ব্যাংকসংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ২০২৪ সালে পূবালী ব্যাংক ঋণের সুদ থেকে ১ হাজার ৫১৩ কোটি টাকা আয় করেছে। বিনিয়োগ, কমিশন, মুদ্রা বিনিময় ও ব্রোকারেজ থেকে আয় করেছে ২ হাজার ৭২১ কোটি টাকা। তাতে সব মিলিয়ে আয় হয় ৪ হাজার ২৩৫ কোটি টাকা। বিদায়ী বছরে বেতন-ভাতাসহ নানা খাতে খরচ হয় ১ হাজার ৯৩৩ কোটি টাকা। ফলে পরিচালন মুনাফা হয় ২ হাজার ৩০১ কোটি টাকা। ব্যাংকটি বিদায়ী বছরে নিরাপত্তা সঞ্চিতি সংরক্ষণ করে ৯৬১ কোটি টাকা। এরপর কর পরিশোধের পর নিট বা প্রকৃত মুনাফা হয় ৭৮০ কোটি টাকা।
জানতে চাইলে পূবালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আলী প্রথম আলোকে বলেন, ‘ভবিষ্যতের কথা বিবেচনায় আমরা চাহিদার বেশি নিরাপত্তা সঞ্চিতি সংরক্ষণ করেছি। বাংলাদেশ ব্যাংক এই পরামর্শ দিয়েছে। খেলাপির তুলনায় বেশি সঞ্চিতি রাখার মাধ্যমে ব্যাংকটির ভিত্তি মজবুত করা হয়েছে।
ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, ২০২৪ সালে পূবালী ব্যাংকের আমানত বেড়ে হয়েছে ৭৪ হাজার ৫২৩ কোটি টাকা। এ সময়ে ঋণ বেড়ে দাঁড়ায় ৬২ হাজার ৯২৫ কোটি টাকা। আর খেলাপি ঋণের হার কমে নেমে এসেছে ২ দশমিক ৬৭ শতাংশে। ব্যাংকটির পরিশোধিত মূলধন এখন ১ হাজার ১৫৬ কোটি টাকা। আর কর্মীর সংখ্যা ১০ হাজার ৬৭৮। সারা দেশে ৫০৮টি শাখা ও ২২৭টি উপশাখা রয়েছে ব্যাংকটির। বর্তমানে বেসরকারি খাতে সবচেয়ে বেশি নেটওয়ার্ক পূবালী ব্যাংকের।