গাজীপুরের কালিয়াকৈরে পৃথক দুটি ঘটনায় দুই নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এক তরুণীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ ও এক নারী পোশাক শ্রমিককে ধর্ষণের ঘটনায় পুলিশ গত সোমবার রাতে দুই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে। এ দুটি ঘটনায় ভুক্তভোগী দুই নারী কালিয়াকৈর থানায় পৃথক মামলা করেছেন।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার বিকেলে এক তরুণী তাঁর দুই বন্ধু ফাহিম আহমেদ সোহাগ (৩৫) ও রায়হান আলীর (৩৬) সঙ্গে বেড়াতে বের হন। তারা তাঁকে নিয়ে ধোপাচালা এলাকার আয়নাল হকের বাড়িতে ভাড়াটিয়া হিসেবে থাকা বন্ধু হাফিজুল ইসলামের (৩৪) কক্ষে যান। সেখানেই সোহাগ তরুণীকে স্ত্রী পরিচয়ে রেখে শারীরিক সম্পর্ক করেন। পরে ঘটনা ফাঁস করার ভয় দেখিয়ে রায়হান ও হাফিজুল তরুণীকে ধর্ষণ করেন। গুরুতর অবস্থায় তরুণী অজ্ঞান হয়ে পড়লে, পরদিন ভোরে তিন যুবক তাঁকে গাজীপুর চৌরাস্তা এলাকায় একটি হোটেলের সামনে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। পথচারীরা তরুণীকে উদ্ধার করে একটি ক্লিনিকে ভর্তি করেন।

সুস্থ হওয়ার পর রোববার বিকেলে তরুণী কালিয়াকৈর থানায় মামলা করেন। পুলিশ রাতেই অভিযান চালিয়ে হাফিজুল ইসলামকে ধোপাচালা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে। তবে সোহাগ ও রায়হান পলাতক রয়েছেন।

অন্যদিকে, গত ৩ এপ্রিল কালামপুর গায়েনবাড়ি এলাকায় এক নারী পোশাক শ্রমিককে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শাহাবুদ্দিন নামের এক যুবক নুরুল ইসলামের (৩৫) বাসায় নিয়ে যান। সেখানে নিজেকে স্বামী পরিচয় দিয়ে ওই নারীকে কক্ষে রেখে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন। ১০ এপ্রিল রাতে শাহাবুদ্দিন পালিয়ে গেলে ১৫ এপ্রিল রাতে বাড়ির মালিক নুরুল ইসলাম ভয়ভীতি দেখিয়ে নারীকে ধর্ষণ করে। পরে ওই নারী স্থানীয়দের বিষয়টি জানান। তখন নুরুল ইসলাম মামলা না করতে চাপ সৃষ্টি করেন।

সোমবার রাতে ভুক্তভোগী নারী নুরুল ইসলাম ও শাহাবুদ্দিনের নামে মামলা করেন। পুলিশ রাতেই সাহেবাবাদ এলাকা থেকে নুরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে।

কালিয়াকৈর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জাফর আলী খান বলেন, দুটি ধর্ষণের ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। গ্রেপ্তার হওয়া দুই আসামিকে মঙ্গলবার আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। দুই নারীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ন র ল ইসল ম ঘটন য়

এছাড়াও পড়ুন:

বাবার মামলায় ছেলে গ্রেপ্তার

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় বাবা নুরুল ইসলামের দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন ছেলে বিপ্লব হোসেন (৩৫)। মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে ভেড়ামারা থানায় মামলা করেন তিনি।

মামলায় নুরুল ইসলাম অভিযোগ করেছেন, জুয়ার টাকার জন্য বিপ্লব হোসেন তাকে শারীরিক নির্যাতন ও একাধিকবার হত্যার চেষ্টা করেছেন।

নুরুল ইসলাম বলেন, ‘‘বিপ্লব আমার বড় ছেলে। সে মাদকাসক্ত ও জুয়ায় আসক্ত। জুয়ার টাকার জন্য দীর্ঘদিন ধরে সে আমাকে ও আমার স্ত্রী জুলেখা বেগমকে অত্যাচার, শারীরিক নির্যাতন ও হত্যার হুমকি দিয়ে আসছিল।’’

আরো পড়ুন:

‘মরণ রাস্তার মোড়ে’ সড়ক দুর্ঘটনা, বিক্ষোভ গরম রাজশাহী

গাইবান্ধায় বাবা-মাকে মারধর করে এসএসসি পরীক্ষার্থীকে অপহরণ, অভিযুক্ত আটক

‘‘গত বছরের ২ নভেম্বর বিপ্লব আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে কুপিয়ে জখম করে। এছাড়া, প্রতারণার মাধ্যমে সে কয়েকজনের কাছ থেকে টাকা নিয়েছিল। পরবর্তীতে সেই টাকা আমাকেই পরিশোধ করতে হয়েছে। সর্বশেষ গত সোমবার বিপ্লব আমাকে হাঁসুয়া দিয়ে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করে।’’- যোগ করেন তিনি।

ভেড়ামারা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘‘বাবা নুরুল ইসলামের অভিযোগের ভিত্তিতে একটি মামলা রুজু হয়েছে। সেই মামলায় ছেলে বিপ্লবকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনায় পরবর্তী আইনি কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।’’

ঢাকা/কাঞ্চন/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ