স্টিকারবিহীন যান সচিবালয়ে প্রবেশ বন্ধের সিদ্ধান্ত
Published: 30th, April 2025 GMT
স্টিকারবিহীন সব প্রকার যানবাহন সচিবালয়ে প্রবেশ সম্পূর্ণরূপে বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ। এছাড়া যেসব গাড়ির স্টিকারের (আয়তাকার) মেয়াদ শেষ হয়েছে সেগুলোর প্রবেশ বন্ধেরও সিদ্ধান্ত হয়েছে। এসব গাড়ির জন্য নতুন স্টিকার নেওয়ার জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছে।
জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে মঙ্গলবার সব মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ও সচিবকে এ-সংক্রান্ত চিঠি পাঠানো হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে বাংলাদেশ সচিবালয়ে প্রবেশের জন্য পূর্বে ইস্যু করা গাড়ির স্টিকার (আয়তাকার) যার মেয়াদ ইতোমধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে সে সব স্টিকারযুক্ত গাড়ি এবং স্টিকারবিহীন সব প্রকার যানবাহন সচিবালয়ে প্রবেশ সম্পূর্ণরূপে বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
চিঠিতে আরও বলা হয়, যে সব গাড়ির স্টিকারের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে তা পরিবর্তন করে বর্তমানে ইস্যুকৃত (গোলাকার) স্টিকার নেওয়ার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: বন ধ র র জন য প রব শ
এছাড়াও পড়ুন:
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আরও ৫১ ফিলিস্তিনি নিহত
ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি হামলায় একদিনে আরও ৫১ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও শতাধিক। এতে করে অবরুদ্ধ এই উপত্যকাটিতে নিহতের মোট সংখ্যা প্রায় ৫২ হাজার ৪০০ জনে পৌঁছেছে।
মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় আরও অন্তত ৫১ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, অক্টোবর ২০২৩ সাল থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলের ‘গণহত্যামূলক’ যুদ্ধের ফলে এখন পর্যন্ত মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫২ হাজার ৩৬৫ জনে।
মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় আহত হয়েছেন আরও ১১৩ জন, যাদের হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। ফলে চলমান হামলায় মোট আহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ১৭ হাজার ৯০৫ জনে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, অনেক মৃতদেহ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় পড়ে রয়েছে, কারণ উদ্ধারকারীরা সেখানে পৌঁছাতে পারছেন না।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ১৮ মার্চ থেকে গাজায় আবারও ভয়াবহ হামলা শুরু করে। এই সময়ে তারা ২ হাজার ২৭৩ জনকে হত্যা করেছে এবং আরও ৫ হাজার ৮০০ জনকে আহত করেছে, যদিও জানুয়ারিতে একটি যুদ্ধবিরতি ও বন্দি বিনিময় চুক্তি কার্যকর হয়েছিল।
গত বছরের নভেম্বরে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) গাজায় যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।
এছাড়াও, গাজায় যুদ্ধ পরিচালনার কারণে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) গণহত্যার মামলা চলছে।