কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলার পর পাল্টাপাল্টি বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে ভারত ও পাকিস্তান। এরই অংশ হিসেবে সিন্ধু পানিচুক্তি স্থগিত করেছে ভারত সরকার। এ পদক্ষেপের বিরুদ্ধে শুরু থেকেই তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে ইসলামাবাদ। এবার বিষয়টি নিয়ে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) যাওয়ার কথা বলেছে দেশটি।

বিশ্বব্যাংকের মধ্যস্থতায় ১৯৬০ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর এই চুক্তিতে সই করে ভারত ও পাকিস্তানের সরকার। এই চুক্তির কারণে পাকিস্তানের ৮০ শতাংশ কৃষি খামারের জন্য পানি পাওয়ার পথ নিশ্চিত হয়েছিল। পানিচুক্তি স্থগিতের সিদ্ধান্তের পর এখন আতঙ্কে রয়েছেন পাকিস্তানের সিন্ধু নদ এলাকার বাসিন্দারা।

ভারতের একতরফাভাবে এই চুক্তি স্থগিতের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে পাকিস্তানের আইন ও বিচারমন্ত্রী আকিল মালিক জানিয়েছেন। সোমবার রাতে তিনি বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ভিন্ন তিনটি আইনি পদক্ষেপের বিষয়ে পরিকল্পনা করা হচ্ছে।

পাকিস্তানের এই মন্ত্রী বলেন, বিষয়টি নিয়ে নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগে অবস্থিত আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে যেতে পারেন তাঁরা। ভারত ১৯৬০ সালের ভিয়েনা কনভেনশন লঙ্ঘন করছে বলে সেখানে অভিযোগ করা হবে। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদেও বিষয়টি তোলা হতে পারে বলে জানিয়েছেন পাকিস্তানের আইনমন্ত্রী। এ ছাড়া বিশ্বব্যাংকেও বিষয়টি জানানো হতে পারে।

আকিল মালিক বলেন, এ বিষয়ে আইনি কৌশল নিয়ে পরামর্শ প্রায় শেষ পর্যায়ে। কোন পথে এগোনো হবে, সে বিষয়ে শিগগিরই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

আরও পড়ুনভারতের সশস্ত্র বাহিনীকে অভিযানের পূর্ণ স্বাধীনতা দিলেন মোদি২ ঘণ্টা আগে

২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পেহেলগামে পর্যটকদের ওপর বন্দুকধারীদের হামলা হয়। ওই হামলায় ২৬ জন নিহত হন। নৃশংস এই হামলার পেছনে পাকিস্তানের হাত রয়েছে বলে দাবি করেছে নয়াদিল্লি। হামলায় জড়িত সন্দেহভাজন তিনজনের মধ্যে দুজন পাকিস্তানি বলেও দাবি তাদের। তবে এসব অভিযোগ নাকচ করেছে পাকিস্তান।

আরও পড়ুনভারতে অনলাইনে ছড়ানো হচ্ছে মুসলিমবিদ্বেষী গান, কনটেন্ট৬ ঘণ্টা আগেআরও পড়ুনসিমলা চুক্তি স্থগিত করার পাকিস্তানের হুমকি কি যুদ্ধ ঘোষণার শামিল৮ ঘণ্টা আগেআরও পড়ুনপাকিস্তান যেকোনো কিছুর জন্য তৈরি, ভারত চেষ্টা করে দেখতে পারে: খাজা আসিফ১৪ ঘণ্টা আগে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: পদক ষ প ব ষয়ট

এছাড়াও পড়ুন:

ভারতের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে যাওয়ার পরিকল্পনা পাকিস্তানের

কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলার পর পাল্টাপাল্টি বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে ভারত ও পাকিস্তান। এরই অংশ হিসেবে সিন্ধু পানিচুক্তি স্থগিত করেছে ভারত সরকার। এ পদক্ষেপের বিরুদ্ধে শুরু থেকেই তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে ইসলামাবাদ। এবার বিষয়টি নিয়ে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) যাওয়ার কথা বলেছে দেশটি।

বিশ্বব্যাংকের মধ্যস্থতায় ১৯৬০ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর এই চুক্তিতে সই করে ভারত ও পাকিস্তানের সরকার। এই চুক্তির কারণে পাকিস্তানের ৮০ শতাংশ কৃষি খামারের জন্য পানি পাওয়ার পথ নিশ্চিত হয়েছিল। পানিচুক্তি স্থগিতের সিদ্ধান্তের পর এখন আতঙ্কে রয়েছেন পাকিস্তানের সিন্ধু নদ এলাকার বাসিন্দারা।

ভারতের একতরফাভাবে এই চুক্তি স্থগিতের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে পাকিস্তানের আইন ও বিচারমন্ত্রী আকিল মালিক জানিয়েছেন। সোমবার রাতে তিনি বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ভিন্ন তিনটি আইনি পদক্ষেপের বিষয়ে পরিকল্পনা করা হচ্ছে।

পাকিস্তানের এই মন্ত্রী বলেন, বিষয়টি নিয়ে নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগে অবস্থিত আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে যেতে পারেন তাঁরা। ভারত ১৯৬০ সালের ভিয়েনা কনভেনশন লঙ্ঘন করছে বলে সেখানে অভিযোগ করা হবে। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদেও বিষয়টি তোলা হতে পারে বলে জানিয়েছেন পাকিস্তানের আইনমন্ত্রী। এ ছাড়া বিশ্বব্যাংকেও বিষয়টি জানানো হতে পারে।

আকিল মালিক বলেন, এ বিষয়ে আইনি কৌশল নিয়ে পরামর্শ প্রায় শেষ পর্যায়ে। কোন পথে এগোনো হবে, সে বিষয়ে শিগগিরই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

আরও পড়ুনভারতের সশস্ত্র বাহিনীকে অভিযানের পূর্ণ স্বাধীনতা দিলেন মোদি২ ঘণ্টা আগে

২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পেহেলগামে পর্যটকদের ওপর বন্দুকধারীদের হামলা হয়। ওই হামলায় ২৬ জন নিহত হন। নৃশংস এই হামলার পেছনে পাকিস্তানের হাত রয়েছে বলে দাবি করেছে নয়াদিল্লি। হামলায় জড়িত সন্দেহভাজন তিনজনের মধ্যে দুজন পাকিস্তানি বলেও দাবি তাদের। তবে এসব অভিযোগ নাকচ করেছে পাকিস্তান।

আরও পড়ুনভারতে অনলাইনে ছড়ানো হচ্ছে মুসলিমবিদ্বেষী গান, কনটেন্ট৬ ঘণ্টা আগেআরও পড়ুনসিমলা চুক্তি স্থগিত করার পাকিস্তানের হুমকি কি যুদ্ধ ঘোষণার শামিল৮ ঘণ্টা আগেআরও পড়ুনপাকিস্তান যেকোনো কিছুর জন্য তৈরি, ভারত চেষ্টা করে দেখতে পারে: খাজা আসিফ১৪ ঘণ্টা আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ