গজারিয়ায় মর্টার শেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নিষ্ক্রিয়, ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত
Published: 29th, April 2025 GMT
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় মাটির নিচ থেকে উদ্ধার হওয়া মর্টার শেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে। বিস্ফোরণের তীব্রতায় প্রায় অর্ধশতাধিক ঘরবাড়ি ও দোকানপাট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মর্টার শেলের স্প্রিন্টারের আঘাতে মারা গেছে তিনটি গরু। মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার বালুয়াকান্দি ইউপির আড়ালিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, মর্টার শেলটি বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নিষ্ক্রিয় করা হয়। তবে বিস্ফোরণের তীব্রতায় অর্ধশত বাড়িঘর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আশিক নামে এক চাষির তিনটি গরু মারা গেছে।
চা দোকানি আব্দুর রশিদ বলেন, মর্টার শেলের বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে, প্রায় তিনশ’ মিটার দূরে আমার দোকানের প্রায় সবকিছু উড়ে যায়। শুধু আমার নয় আশপাশের অন্তত ৫০টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মসজিদ ও বিল্ডিংয়ে ফাটল ধরেছে।
স্থানীয় বাসিন্দা তানিয়া আক্তার বলেন, বিস্ফোরণের সময় মনে হয়েছে, ভূমিকম্প হচ্ছে। আশপাশের বাড়িঘর কেঁপে ওঠে এবং ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।
এদিকে, এ ঘটনায় উত্তেজিত জনতা নিরাপত্তা বাহিনী ও গণমাধ্যমকর্মীদের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। তাদের অভিযোগ, বোম ডিসপোজাল ইউনিটের সদস্যদের মর্টার শেলটি দূরে নিরাপদ কোনো স্থানে বিস্ফোরণ না করে গ্রামেই নিষ্ক্রিয় করার চেষ্টা করায় অর্ধশত বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার আলম আজাদ বলেন, সেনাবাহিনীর বোম ডিসপোজাল ইউনিটের সদস্যরা উদ্ধার করা মর্টার শেলটি নিরাপদভাবে বিস্ফোরণের মাধ্যমে নিষ্ক্রিয় করেন। তবে শেলের স্প্রিন্টারের ক্ষতিগ্রস্ত হয় ঘরবাড়ি ও দোকানপাট। ঘটনাস্থলেই তিনটি গরু মারা যায়।
তিনি আরও বলেন, সোমবার আড়ালিয়া গ্রামের হানিফ মিয়ার জমির মাটি কাটার সময় অবিস্ফোরিত মর্টার শেলটি পাওয়া যায়। এদিন নিজেদের হেফাজতে রাখার পর তারা বুঝতে পারেন, এটি মুক্তিযুদ্ধের সময়ে অবিস্ফোরিত মর্টার শেল। পরে গ্রামবাসী বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে জানায়।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ইমরান খানকে মুক্তি দিয়ে সর্বদলীয় বৈঠকের দাবি পিটিআইয়ের
জম্মু ও কাশ্মীরের পেহেলগামে সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী হামলার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা কার্যত চরমে পৌঁছেছে। এমন অবস্থায় কারাবন্দি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে মুক্তি দেওয়ার দাবি জানিয়েছে প্রধান বিরোধী দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)। একই সঙ্গে ইমরানকে রেখে সর্বদলীয় বৈঠক আয়োজনের দাবিও করেছে দলটি।
মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে সংবাদমাধ্যম ডন বলছে, পেহেলগামে পর্যটকদের ওপর হামলার পর পাকিস্তান-ভারত উত্তেজনা বেড়ে যাওয়ায় বিরোধী দল পিটিআই তাদের দলনেতা ইমরান খানের মুক্তির দাবি জানিয়েছে, যাতে তিনি জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ আলোচনায় অংশ নিতে পারেন। সোমবার পাকিস্তানের সিনেটে পিটিআই এই দাবি জানায়। একই সঙ্গে দলটি অবিলম্বে একটি সর্বদলীয় সম্মেলন (মাল্টি-পার্টি কনফারেন্স) আয়োজনের আহ্বানও জানিয়েছে, যেখানে ইমরান খানের উপস্থিতি নিশ্চিত করার দাবিও করা হয়েছে।
সিনেটে পিটিআইয়ের পার্লামেন্টারি নেতা সিনেটর আলি জাফর বলেন, রাজনৈতিক মতপার্থক্য একপাশে রেখে এখন দেশের স্বার্থে ঐক্য জরুরি। বর্তমান পরিস্থিতিতে সর্বদলীয় বৈঠকই একমাত্র সঠিক পদক্ষেপ। ইমরান যদি এমন বৈঠকে অংশ নিতে পারেন, তাহলে তা বিশ্বকে একটি স্পষ্ট বার্তা দেবে, পাকিস্তান ঐক্যবদ্ধ, আর এতে দেশের অবস্থান আরও শক্তিশালী হবে।
আলি জাফর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকারকে ‘নাৎসি মানসিকতার’ সঙ্গে তুলনা করে বলেন, ভারত মিথ্যা অভিযোগে পাকিস্তানকে দোষারোপ করছে। অথচ পাকিস্তান নিজেই সন্ত্রাসবাদের শিকার।