Samakal:
2025-04-29@22:28:15 GMT

আহারে চার পদ

Published: 29th, April 2025 GMT

আহারে চার পদ

গরমে তৈলাক্ত ও ভারী খাবার খাওয়া ঠিক নয়। এ সময় কম মসলা দিয়ে হালকা খাবার খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। গরমের এ সময় বাড়িতে রান্না করতে পারেন এমন চার পদের রেসিপি দিয়েছেন কোহিনুর বেগম

শিমের বিচি দিয়ে শোল মাছ
উপকরণ: বড় সাইজের শোল মাছ ১টি, শিমের বিচি ২৫০ গ্রাম, পেঁয়াজ কুচি এক কাপ, টমেটো কুচি ১টি, ধনেপাতা কুচি এক টেবিল চামচ, আদা বাটা এক চা চামচ, রসুন বাটা এক চা চামচ, হলুদের গুঁড়া ১ চা চামচ, মরিচের গুঁড়া ১ চা চামচ, ধনিয়ার গুঁড়া ১ চা চামচ, জিরার গুঁড়া এক চা চামচ, তেল এক কাপ, লবণ পরিমাণ মতো। 
প্রস্তুত প্রণালি: শোল মাছ ধুয়ে হলুদ-লবণ মাখিয়ে তেলে ভেজে নিতে হবে। কড়াইয়ে তেল দিয়ে পেঁয়াজ ভেজে ধনেপাতা বাদে একে একে সব উপকরণ দিয়ে কষিয়ে নিতে হবে। শিমের বিচি দিয়ে কষাতে হবে। সামান্য পানি দিয়ে ১০ মিনিট ঢেকে রেখে দিন। শিমের বিচি সেদ্ধ হয়ে এলে ভাজা শোল মাছগুলো দিয়ে আরও পাঁচ মিনিট ঢেকে রাখতে হবে। মাছ আর শিমের বিচি মাখামাখা হয়ে এলে ধনেপাতা কুচি দিয়ে চুলা বন্ধ করে নামিয়ে নিতে হবে।

রুই মাছের দোপেঁয়াজা 
উপকরণ: বড় রুই মাছ ১টি, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, টমেটো ১টি, আদা বাটা ১ চা চামচ, রসুন বাটা ১ চা চামচ, হলুদের গুঁড়া ১ চা চামচ, মরিচের গুঁড়া ১ চা চামচ, ধনিয়ার গুঁড়া ১ চা চামচ, জিরার গুঁড়া ১ চা চামচ, কাঁচামরিচ ৪-৫টি, ধনেপাতা কুচি এক টেবিল চামচ, লবণ পরিমাণ মতো, তেল পরিমাণ মতো। 
প্রস্তুত প্রণালি: প্রথমে মাছ ভালো করে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন। লবণ-হলুদ মাখিয়ে তেলে ভেজে নিতে হবে। এবার কড়াইয়ে তেল এবং পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভালো করে ভেজে নিন। ধনেপাতা বাদে একে একে সব উপকরণ দিয়ে সামান্য পানি দিয়ে কষিয়ে নিতে হবে। কষানো হলে ধনেপাতাসহ সামান্য পানি দিয়ে ঢেকে দিন। পানি ফুটে উঠলে ভাজা মাছ দিন। ঝোল আর মাছ মাখামাখা হলে চুলা বন্ধ করে দিন। 

দেশি মুরগির দোপেঁয়াজা 
উপকরণ: দেশি মুরগি ১টি, পেঁয়াজ কুচি এক কাপ, আদা বাটা ১ চা চামচ, রসুন বাটা ১ চা চামচ, এলাচ ২টি, দারচিনি ২টি, তেজপাতা ২টি, তেল এক কাপ, হলুদের গুঁড়া এক চা চামচ, মরিচের গুঁড়া এক চা চামচ, ধনিয়ার গুঁড়া এক চা চামচ, জিরার গুঁড়া এক চা চামচ, লবণ পরিমাণ মতো।
প্রস্তুত প্রণালি: প্রথমে মুরগির মাংস ধুয়ে নিতে হবে। তারপর কড়াইয়ে তেল দিয়ে পেঁয়াজ ভাজতে হবে। পেঁয়াজ বাদামি কালার হয়ে এলে একে একে সব উপকরণ দিয়ে ভালো করে কষিয়ে নিতে হবে। এবার দেশি মুরগি দিয়ে ভালো করে কষাতে হবে। পরিমাণ মতো পানি দিয়ে ১০ মিনিট ঢেকে রাখতে হবে। মাংস সেদ্ধ হয়ে ঝোল মাখামাখা হলে চুলা বন্ধ করে নামিয়ে নিন। 

টমেটো দিয়ে মসুর ডাল 
উপকরণ: মসুর ডাল ১ কাপ, টমেটো ২টি, ধনেপাতা কুচি এক টেবিল চামচ, কাঁচামরিচ ৪-৫টি, হলুদের গুঁড়া ১ চা চামচ, রসুন কুচি ১ চা চামচ, তেল ১ টেবিল চামচ, লবণ পরিমাণ মতো। 
প্রস্তুত প্রণালি: মসুর ডাল ভালো করে ধুয়ে হলুদ-কাঁচামরিচ-লবণ দিয়ে সেদ্ধ করতে হবে। সেদ্ধ হয়ে এলে ভালো করে ঘুটে টমেটো দিতে হবে। পরিমাণ মতো পানি দিয়ে বেশ কিছুক্ষণ জ্বাল দিন। এবার অন্য পাত্রে তেল দিয়ে পেঁয়াজ কুচি, রসুন কুচি দিয়ে বেরেস্তা করে ডাল বাগার দিয়ে চুলা বন্ধ করে নিন। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: হল দ র গ এক ক প

এছাড়াও পড়ুন:

ঢাকায় অনুষ্ঠিত হলো বিশেষ ফিউশন খাবার উপস্থাপনা

মানজু রেস্টুরেন্টে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল এক ব্যতিক্রমধর্মী খাবার আয়োজন, যেখানে দেশি স্বাদের সাথে ছিল আন্তর্জাতিক রান্নার কৌশল ও উপকরণ। আয়োজনে ঐতিহ্য ও আধুনিকতা একসূত্রে গাঁথা হয়েছে।

সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, এ আয়োজনের মূল আকর্ষণ ছিলেন আন্তর্জাতিকভাবে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত রন্ধনশিল্পী ইনারা জামাল, যিনি ফুড স্টাডিজে নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটি থেকে স্নাতকোত্তর এবং ইনস্টিটিউট অব কালিনারি এডুকেশন, নিউইয়র্ক থেকে বিশেষ প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন।

ইনারা জামাল বলেন, ‘খাবার শুধু স্বাদের বিষয় নয়, এটি একটি সাংস্কৃতিক অনুষঙ্গ। আমি চাই বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবারকে ভিন্ন দেশের উপকরণ ও কৌশলের সঙ্গে মিশিয়ে বিশ্বদরবারে নতুন রূপে উপস্থাপন করতে। সৃজনশীল উদ্ভাবনের মাধ্যমে বাংলাদেশি খাবারকে বিশ্বের কাছে তুলে ধরা। একইসঙ্গে, তার লক্ষ্য বাংলাদেশের খাদ্যসংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে গবেষণার আলোয় তুলে ধরা, যেন এই সমৃদ্ধ উত্তরাধিকার ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য সংরক্ষিত থাকে। খাবারে তিনি সবসময় প্রাধান্য দেন প্রাকৃতিক ভেষজ উপাদান এবং টেকসই উপস্থাপনাকে।

এই আয়োজনকে আরও রঙিন করে তোলে রন্ধনশিল্পী মালিহার বাহারি পরিবেশনা, যেখানে দেশি উপাদান ব্যবহার করে তৈরি করা হয় নানান স্বাদের সুস্বাদু খাবার।

আয়োজকরা জানান, এই আয়োজনের লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশি খাদ্যসংস্কৃতিকে আধুনিক উপস্থাপনার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তুলে ধরা এবং ভোজনরসিকদের সামনে এক নতুন স্বাদের অভিজ্ঞতা নিয়ে আসা।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিরা খাবারের স্বাদ, গন্ধ ও পরিবেশনায় মুগ্ধতা প্রকাশ করেন। এমন আয়োজনের ধারাবাহিকতা রক্ষার ওপর জোর দেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মাটির গুণগত বৃদ্ধিতে ‘বিনা বায়োচার’ উদ্ভাবন
  • সুন্দর ভবনে পরিত্যক্ত কক্ষ, কমেছে শিক্ষার্থী, ঢিমেতালে চলে কার্যক্রম
  • ঢাকায় অনুষ্ঠিত হলো বিশেষ ফিউশন খাবার উপস্থাপনা