Samakal:
2025-04-29@21:26:53 GMT

জামিনে মুক্ত মেঘনা আলম

Published: 29th, April 2025 GMT

জামিনে মুক্ত মেঘনা আলম

গাজীপুরের কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন মডেল মেঘনা আলম। 

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তাকে কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে বলে জানান কারাগারের জেলার রিজিয়া বেগম। রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় করা চাঁদাবাজি ও প্রতারণার মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কাশিমপুর মহিলা কারাগারে বন্দি ছিলেন তিনি।

এর আগে, গত ৯ এপ্রিল রাতে রাজধানীর বসুন্ধরার বাসা থেকে মেঘনা আলমকে আটক করা হয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আদেশ অনুযায়ী পরদিন রাতে আদালত মেঘনা আলমকে বিশেষ ক্ষমতা আইনে ৩০ দিন আটক রাখার আদেশ দেন। চাঁদাবাজি ও প্রতারণার অভিযোগে ১৫ এপ্রিল তার বিরুদ্ধে মামলা হয়। মেঘনা আলম ও তার পূর্বপরিচিত ব্যবসায়ী মো.

দেওয়ান সমিরকে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এই মামলায় মেঘনা আলম ও তাঁর পরিচিত ব্যবসায়ী দেওয়ান সমিরসহ অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে এক কূটনীতিকের কাছে পাঁচ মিলিয়ন ডলার অর্থ দাবির অভিযোগ আনা হয়। ১৭ এপ্রিল এই মামলায় মেঘনা আলমকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন আদালত। সোমবার মেঘনা আলমের জামিন চেয়ে আদালতে আবেদন করা হয়। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (এসিএমএম) মো. সানাউল্লাহ তাঁর জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন।

কারা সূত্র জানায়, মেঘনা আলমকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের ৩০ দিনের আটকাদেশ নিয়ে ১০ এপ্রিল গাজীপুরে কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। এর পর থেকে তিনি ওই কারাগারেই বন্দি ছিলেন। 

পরবর্তী সময়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে তার আটকাদেশ প্রত্যাহার ও ধানমন্ডি থানার অন্য একটি মামলায় জামিন পাওয়ায় তাকে মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় মুক্তি দেওয়া হয় বলে সমকালকে জানান জেলার রিজিয়া বেগম।

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

চট্টগ্রামে দুই নেতার বিরুদ্ধে অপহরণের অভিযোগ খতিয়ে দেখছে কেন্দ্রীয় ছাত্রদল

চট্টগ্রামে একটি পোশাক কারখানার কর্মকর্তাকে চাঁদার দাবিতে অপহরণের অভিযোগ উঠেছে যুবদল ও ছাত্রদলের দুই নেতার বিরুদ্ধে। শফিউল আলম নামের অপহরণের শিকার ওই ব্যক্তিকে অবশ্য ঘটনার আধা ঘণ্টার মধ্যেই পুলিশ উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। শফিউল পোশাক কারখানা আজিম গ্রুপের সিনিয়র সুপারভাইজার হিসেবে কর্মরত বলে জানা গেছে। গতকাল শনিবার রাত ১০টার দিকে নগরের চান্দগাঁও থানার বিসিক শিল্প এলাকায় নিজের কর্মস্থলের সামনে থেকে তাঁকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়।

এই ঘটনার জন্য চান্দগাঁও থানা যুবদলের এক নেতা ও এক ছাত্রদল নেতাকে অভিযুক্ত করা হলেও ভুক্তভোগীর করা মামলায় কেবল চান্দগাঁও থানা যুবদলের এক নেতাকে আসামি করা হয়েছে। যুবদলের ওই নেতার নাম মো. সোহেল। এ ঘটনার পর কেন্দ্রীয় ছাত্রদলও অভিযুক্ত ব্যক্তিদের ব্যাপারে কঠোর অবস্থান নিয়েছে। অভিযুক্ত দুই নেতার বিষয়ে জেনেও চুপ থাকায় নগর ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাইফুল আলমের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছে কেন্দ্রীয় ছাত্রদল। এ নিয়ে কেন্দ্র থেকে সাইফুল আলমকে কারণ দর্শানোর (শোকজ) নোটিশ দেওয়া হয়েছে বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, গতকাল রাত ১০টার দিকে অফিস থেকে বেরিয়ে বাসায় যাওয়ার পথে শফিউল আলমকে টেনেহিঁচড়ে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় তুলে অপহরণ করা হয়। সেখান থেকে চান্দগাঁও থানাধীন সিঅ্যান্ডবি টেকবাজার রেললাইনের সামনে নামিয়ে একটি অন্ধকারাচ্ছন্ন জায়গায় নিয়ে যান অপহরণকারীরা। একপর্যায়ে তাঁরা ভুক্তভোগীকে মারধর করে ও ভয়ভীতি দেখিয়ে পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। বিষয়টি জানতে পেরে ভুক্তভোগীর পরিবারের লোকজন থানা-পুলিশকে জানান। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে আধঘণ্টার মধ্যে শফিউল আলমকে উদ্ধার করে।

জানতে চাইলে নগর ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাইফুল আলম গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, ‘যুবদল নেতা সোহেল ও ছাত্রদল নেতা আলফাজের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে, তা যাচাই-বাছাই করে তদন্ত করতে একটু সময় লাগছে। এ জন্য কেন্দ্র থেকে আমাকে শোকজ করা হয়েছে। পুলিশের তদন্তে কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফতাব উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, পুলিশ আধঘণ্টার মধ্যে ভুক্তভোগী ব্যক্তিকে উদ্ধার করেছে। ঘটনায় জড়িত আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মডেল মেঘনা আলম কাশিমপুর মহিলা কারাগার থেকে জামিনে মুক্ত
  • সাবেক সংসদ সদস্য জাফর আলম কারাগারে
  • মডেল মেঘনা আলমের জামিন
  • ডিবির অভিযানে আ.লীগের সাবেক এমপিসহ গ্রেপ্তার ৭
  • নাসির-তামিমার মামলার শুনানি বিব্রত আদালত, বদলির আদেশ 
  • চট্টগ্রামে দুই নেতার বিরুদ্ধে অপহরণের অভিযোগ খতিয়ে দেখছে কেন্দ্রীয় ছাত্রদল
  • কক্সবাজার-১ আসনের সাবেক এমপি জাফর আলম গ্রেপ্তার