আ.লীগের নামে কোনো দল রাজনীতি করতে পারবে না: ভিপি নুর
Published: 29th, April 2025 GMT
গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর বলেছেন, গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের নামে কোনো রাজনৈতিক দল রাজনীতি করতে পারবে না।
মঙ্গলবার বিকেলে শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার সখিপুরের চেয়ারম্যান বাজারে আয়োজিত এক গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
গণসমাবেশে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রসঙ্গে ভিপি নুর বলেন, এই সরকার সব রাজনৈতিক দলের সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফল। এখানে বিরোধী দলের অবস্থান নেই, বরং সবাই মিলে রাষ্ট্র সংস্কার বাস্তবায়নে কাজ করছে। আমরা সরকারবিরোধী নই; বরং এই সরকারকে সহযোগিতা করছি।
আওয়ামী লীগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা বারবার দাবি জানিয়ে আসছি— আওয়ামী লীগ এবং তার অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলোকে সন্ত্রাসী ও গণহত্যাকারী সংগঠন হিসেবে অবিলম্বে নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে হবে। ছাত্রলীগ ইতোমধ্যে নিষিদ্ধ হয়েছে, আশা করি শিগগিরই আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ নিষিদ্ধ হবে।
নুর বলেন, স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা ও তার পরিবার, এমপি-মন্ত্রীরা উন্নয়নের বুলি শুনিয়ে হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে। সাধারণ নেতাকর্মীদের বিপদের মুখে ফেলে তাঁরা বিদেশে রাজকীয় জীবনযাপন করছে। দেশের মানুষ এখন এসব বুঝে ফেলেছে—তাদের আর বোকা বানানো যাবে না।
তিনি আরও বলেন, আগামী নির্বাচনে দেশের মানুষ গণঅধিকার পরিষদকে ভোট দেবে। আমরা তিনশ’ আসনে প্রার্থী দিব। শরীয়তপুর-২ (নড়িয়া-সখিপুর) আসনে প্রার্থী হিসেবে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আখতারুজ্জামান সম্রাট মাঝিকে আমরা ঘোষণা করছি।
গণসমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান, ফরিদপুর বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট ফিরোজ আহমেদ মুন্সী, কেন্দ্রীয় ছাত্র অধিকার পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক আখতারুজ্জামান সম্রাট মাঝি, শরীয়তপুর জেলার সাবেক সদস্য সচিব ডা.
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
জাতীয় ঐক্যমত কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে গণঅধিকার পরিষদ
সংস্কার কমিশনের সুপারিশগুলোর আলোকে জাতীয় ঐক্য গঠনের জন্য জাতীয় ঐক্যমত কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে বসেছে গণঅধিকার পরিষদ। আজ সোমবার জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নূরের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল এ বৈঠকে অংশ নেয়। শুরুতে বক্তব্য দেন জাতীয় ঐক্যমত কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রিয়াজ।
তিনি বলেন, ‘২০১৮ সালের কোটাবিরোধী আন্দোলন ছিল ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের সূচনা। সেই সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় আজ আমরা একটি অভূতপূর্ব রাজনৈতিক পরিবর্তনের মুখোমুখি। এই পরিবর্তনকে অর্থবহ করতে কেবল সংস্কার কমিশনের সুপারিশ যথেষ্ট নয়, বরং সব রাজনৈতিক দলের সম্মিলিত অংশগ্রহণের মাধ্যমে একটি নতুন বাংলাদেশ গঠন করতে হবে।’
কমিশনের সহসভাপতি বলেন, এই আলোচনা কেবল কথার মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে রাজপথে ও রাজনৈতিক চর্চার মাধ্যমে জাতীয় ঐক্যের ভিত্তিতে একটি জাতীয় সনদ গঠনের লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে হবে।
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নূর তার বক্তব্যে বলেন, গত ১৬ বছর ধরে দেশের মানুষ ফ্যাসিবাদী শাসনের চাপে নিপীড়নের শিকার হয়েছে। ভবিষ্যতে কেউ যেন এমন দমন-পীড়ন চালাতে না পারে, সে লক্ষ্যে জাতীয় ঐক্যমত কমিশনের মাধ্যমে একটি কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ জরুরি।
তিনি বলেন, ২০১৮ সালের কোটাবিরোধী আন্দোলনের মধ্য দিয়ে যে লড়াই শুরু হয়েছিল, সেটি আট মাসেরও বেশি সময় ধরে চলেছে। হামলা-মামলা ও গ্রেপ্তার সত্বেও আমরা আন্দোলন চালিয়ে গিয়েছি। ব্যক্তি দল গোষ্ঠীর চেয়ে জাতীয় স্বার্থ ও রাষ্ট্রের স্বার্থকে আমরা যেন প্রাধান্য দেই এটিই আমাদের চাওয়া।
বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন গণঅধিকার পরিষদের মুখপাত্র ও জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ফারুক হাসান, সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান, কমিশনের সদস্য বদিউল আলম মজুমদার ও ইফতেখারুজ্জামান।