সাজিয়ে রাখা আইসক্রিম বক্সে ঘোরাঘুরি করছিল তেলাপোকা। আইসক্রিমের সঙ্গে মিশে ছিল মৃত তেলাপোকাও। এ ছাড়া রাখা ছিল মেয়াদোত্তীর্ণ বিভিন্ন ধরনের সিরাপ। চট্টগ্রাম নগরের আগ্রাবাদ এলাকায় রিও কফিশপে গিয়ে এমন চিত্র দেখতে পান জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।

আজ মঙ্গলবার সকালে অভিযানে গিয়ে এমন চিত্র দেখতে পান অধিদপ্তরের উপপরিচালক (চট্টগ্রাম) মোহাম্মদ ফয়েজ উল্যাহ। অভিযানে উপস্থিত ছিলেন সহকারী পরিচালক রানা দেবনাথ, মো.

আনিছুর রহমান ও মাহমুদা আক্তার। এসব অপরাধে প্রতিষ্ঠানটিকে দেড় লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

একই অভিযানে পাশের ওয়েল ফুড দেখা যায়, মিষ্টিজাতীয় পণ্যে তেলাপোকা ঘোরাঘুরি করছিল। এসব অপরাধে প্রতিষ্ঠানটিকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এ ছাড়া আরেকটি রেস্তোরাঁকে অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ এবং খাদ্যদ্রব্যের তেলাপোকা থাকার কারণে আট হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক (চট্টগ্রাম) মোহাম্মদ ফয়েজ উল্যাহ বলেন, অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ ও খাবারে তেলাপোকা থাকার কারণে ৩টি প্রতিষ্ঠানকে মোট ১ লাখ ৭৮ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। জনস্বার্থে এ তদারকি কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

কংক্রিটের মডেল বানাল শিক্ষার্থীরা

কেউ বানাচ্ছে আইসক্রিমের কাঠি দিয়ে সেতুর আদল। আবার কেউ মেশাচ্ছে সিমেন্ট, বালু আর পানি, আবার কেউ ব্যস্ত কংক্রিট সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান বের করতে। এর মাধ্যমে কার আদল কত শক্তিশালী পরীক্ষা করা হচ্ছে। এর পাশেই দাঁড়িয়ে এমন দৃশ্য উপভোগ করছেন প্রতিযোগী ও দর্শকরা। এ রকমই নানা আয়োজনে সম্প্রতি জাঁকজমকপূর্ণভাবে শেষ হয়েছে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (চুয়েট) আয়োজিত দুই দিনব্যাপী জাতীয় কংক্রিট উৎসব-২০২৫। প্রথম দিনের সেগমেন্টে ছিল ট্রাস তৈরির প্রতিযোগিতা, যেখানে আইসক্রিমের 
কাঠি দিয়ে বিভিন্ন মডেল তৈরি করেছেন অংশগ্রহণকারীরা। কেউ বানিয়েছেন সেতুর কাঠামো, কেউ ভবনের। যার মডেল বেশি ওজন নিতে পেরেছে তিনিই বিজয়ী হয়েছেন। দ্বিতীয় দিনে, অর্থাৎ ১২ এপ্রিল আয়োজিত হয় মর্টার ওয়ার্কেবিলিটি কম্পিটিশন। যেখানে সিমেন্ট, বালু ও পানির মিশ্রণে শিক্ষার্থীরা তৈরি করেন মর্টার যা দেয়াল নির্মাণে অত্যাবশ্যকীয় উপাদান। এই মর্টারের ঘনত্ব, পরিবেশ দূষণ ও খরচ ইত্যাদির ওপর ভিত্তি করে সেরা দলকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। প্রতিযোগিতাটিতে বিজয়ী হয় চুয়েটের টিম মিক্স উইজার্ড, ২য় ও ৩য় হয় চুয়েটের ট্রাওয়েল টাইটানস ও রিসাইলেন্স। উৎসবের আরেকটি আকর্ষণ ছিল জাতীয় কংক্রিট  সলিউশন প্রতিযোগিতা, যেখানে বিজয়ী হয়েছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের টিম, কংক্রিট ক্রাশার, ২য় ও ৩য় হয়েছে বুয়েটের টিম লাইম এক্সকংক্রিট ও কনকর্ডিয়াম। পুরকৌশলীদের আন্তর্জাতিক পেশাজীবী সংগঠন আমেরিকান কংক্রিট ইন্সটিটিউটের (এসিআই) চুয়েট শাখা প্রতিবছরই এমন ব্যতিক্রমধর্মী বিভিন্ন প্রতিযোগিতার আয়োজন করে।  এই আয়োজন সম্পর্কে এসিআই স্টুডেন্ট চ্যাপ্টার, চুয়েটের সভাপতি জোহায়ের মাহতাব বলেন, চুয়েটে দ্বিতীয় বারের মতো আয়োজিত হলো জাতীয় কংক্রিট উৎসব। তাই আমরা সবাই অনেক বেশি খুশি ও উৎসাহী ছিলাম। আয়োজক সংগঠনের অনুষদ উপদেষ্টা পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. জিএম সাদিকুল ইসলাম বলেন, এ সংগঠনের যাত্রার শুরু থেকে আমরা নিয়মিতই বিভিন্ন প্রতিযোগিতার আয়োজন করে আসছি। আমেরিকায় যে প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়, অনুরূপভাবে সে রকমই কিছু কার্যক্রম আমাদের সংগঠন থেকে জাতীয় পর্যায়ে আয়োজন করার ব্যবস্থা করা হয়। যেমন মর্টারের কম্পিটিশনটা বাংলাদেশে কোথাও হয়নি, কিন্তু আমরা এখানে সেটা করছি। এছাড়া ট্রাস ও কংক্রিট সলিউশনও করা হচ্ছে। আমি মনে করি এগুলো শিক্ষার্থীদের গবেষণা ও আগ্রহ সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখবে। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • পুলিশের ওপর হামলা করে আটক ব্যক্তিকে ছিনিয়ে নিল জনতা, গ্রেপ্তার ৩
  • ১৪ বছর বয়সে অন্যরা আইসক্রিম খায়, সুর্যবংশী বোলারদের পেটায়
  • অতিরিক্ত গরমে পেট ঠান্ডা রাখবেন যেভাবে
  • লাভেলোর দুই পরিচালকের শেয়ার কেনার ঘোষণা
  • কংক্রিটের মডেল বানাল শিক্ষার্থীরা
  • স্ত্রী, শ্যালকসহ সাবেক এমপি নদভীর অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধানে দুদক