রাজধানী ঢাকার মূল সড়কে কোনো ব্যাটারিচালিত রিকশা চলতে পারবে না বলে ঘোষণা দিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ। তিনি বলেন, শহরের পাড়া-মহল্লার অলিগলিতে শুধু স্ট্যান্ডার্ড মডেলের অনুমোদিত ব্যাটারিচালিত রিকশা চলতে পারবে।

মঙ্গলবার রাজধানীর গুলশানে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের কার্যালয়ে আয়োজিত ‘ব্যাটারিচালিত রিকশার (ই-রিকশা) মানসম্মত মডেল ও পরীক্ষামূলক নমুনা নির্মাণের বিষয়ে অগ্রগতি ও ভবিষ্যৎ করণীয়’ নির্ধারণ শীর্ষক সভায় প্রশাসক এসব কথা বলেন।

মোহাম্মদ এজাজ বলেন, ঢাকার সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে ও যানজট নিরসনের লক্ষ্যে ব্যাটারিচালিত রিকশার (ই-রিকশা) মানসম্মত মডেল ও নীতিমালা প্রস্তুতের জন্য অল্প সময়ের মধ্যে একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন করা হবে।

সভায় বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) বিইপিআরসি ইজিবাইক প্রকল্প নতুন মানসম্মত মডেলের তিন চাকার স্বল্প গতির ই-রিকশার টাইপ অনুমোদন ও রেজিস্ট্রেশনের প্রস্তাব প্রণয়ন করা হয়। এ প্রস্তাব অনুযায়ী পরীক্ষামূলক নমুনা প্রস্তুত করতে প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে আহ্বান জানান মোহাম্মদ এজাজ।

সভায় অন্যদের মধ্যে ঢাকা উত্তর সিটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবু সাঈদ মো.

কামরুজ্জামান, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মঈন উদ্দিন, পরিবহন বিভাগের মহাব্যবস্থাপক আব্দুল্লাহ আল মাসুদ এবং ব্যাটারিচালিত রিকশা প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ড এনস স প রস ত ত

এছাড়াও পড়ুন:

আজারবাইজানের সঙ্গে কানেক্টিভিটি বাড়াতে সম্মত প্রধান উপদেষ্টা

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস আজারবাইজানের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণ এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে বৃত্তি কর্মসূচির বিনিময় বৃদ্ধির লক্ষ্যে কানেক্টিভিটি বাড়াতে সম্মত হয়েছেন।

আজারবাইজানের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী এলনুর মাম্মাদভ মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এসময় তিনি এই বিষয়ে সম্মত হন।

প্রধান উপদেষ্টা ঢাকায় আজারবাইজানের দূতাবাস খোলা এবং ঢাকা ও বাকুর মধ্যে সরাসরি ফ্লাইট চালুর ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

আরো পড়ুন:

পুলিশের প্রতি জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে: প্রধান উপদেষ্টা

প্রধান উপদেষ্টার জাপান সফরে প্রাধান্য পাবে যেসব বিষয়

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য আজারবাইজান একটি দূরবর্তী দেশ।”

তিনি বলেন, “দেশটিতে যাতায়াতের ক্ষেত্রে একটি সরাসরি ফ্লাইট থাকলে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা জ্বালানি খাতে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করতে পারবে এবং আজারবাইজানি শিক্ষার্থীরাও বাংলাদেশের টেক্সটাইল খাত থেকে শিখতে আগ্রহী হবে।”

অধ্যাপক ইউনূস আরো বলেন, ঢাকায় দূতাবাস খোলা হলে ভিসা প্রাপ্তির জটিলতাও দূর হবে।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “বাংলাদেশে আপনাদের উপস্থিতি বাড়ানো আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ, যাতে আমাদের সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হয়।”

সাক্ষাৎকালে বাংলাদেশ ও আজারবাইজানের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক, বিশেষ করে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, জ্বালানি, শিক্ষা, প্রযুক্তি, অবকাঠামো এবং সাংস্কৃতিক বিনিময় নিয়ে আলোচনা হয়।

আলোচনার সময় প্রধান উপদেষ্টা গত নভেম্বর মাসে বাকুতে অনুষ্ঠিত কপ-২৯ সম্মেলনের ফাঁকে আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভের সঙ্গে তাঁর সাক্ষাতের কথা স্মরণ করেন।

তিনি কপ-২৯ সম্মেলন সফলভাবে আয়োজন করার জন্য আজারবাইজান সরকারকে অভিনন্দন জানান।

তিনি অনুরোধ করেন বাকুতে অনুষ্ঠিত বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রেসিডেন্ট আলিয়েভ যেন একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদল বাংলাদেশে পাঠান।

প্রধান উপদেষ্টা আজারবাইজানি বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগ করার আহ্বান জানান এবং বাংলাদেশের বিপুল মানবসম্পদ কাজে লাগানোর সুযোগ গ্রহণের আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, “আমরা আপনাদের বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে সম্ভাবনাগুলো অন্বেষণ করার আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। আমাদের জনসংখ্যা প্রায় ১৮ কোটি, যার অর্ধেকই তরুণ। তাই আপনি যদি এখানে কোনো শিল্প স্থাপন করেন, শ্রমিকের কোনো ঘাটতি হবে না।”

আজারবাইজানের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “তাদের দেশ বাংলাদেশের সঙ্গে কৌশলগত সম্পর্ক গড়ে তুলতে চায়, কারণ দুই বছর পর ঢাকা-বাকু কূটনৈতিক সম্পর্কের ৩৫ বছর পূর্তি হবে।”

উপমন্ত্রী মাম্মাদভ বলেন, “আমরা আমাদের সম্পর্ক আরও গভীর করতে এখানে এসেছি।”

তিনি প্রধান উপদেষ্টাকে আজারবাইজানের আসান এবং ডোস্ট মডেলের সারাংশ তুলে ধরেন, যা দুর্নীতি হ্রাস এবং জনসেবায় দক্ষতা, স্বচ্ছতা ও কার্যকারিতা বাড়াতে কাজ করে।

প্রধান উপদেষ্টা আসান এবং ডোস্ট সেবার ধারণার প্রশংসা করেন এবং বাংলাদেশে এ প্ল্যাটফর্মগুলো প্রয়োগের সম্ভাবনা অনুসন্ধানের আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

আজারবাইজানের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী ২০২৫ সালের জুলাই মাসে আজারবাইজানে অনুষ্ঠিতব্য ইকোনমিক কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের ১৭তম শীর্ষ সম্মেলনে অংশগ্রহণের জন্য আজারবাইজানের প্রেসিডেন্টের পক্ষ থেকে প্রধান উপদেষ্টার কাছে একটি আমন্ত্রণপত্র হস্তান্তর করেন।

ঢাকা/হাসান/রাসেল

সম্পর্কিত নিবন্ধ