স্বার্থান্বেষী মহল উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপপ্রচার চালাচ্ছে
Published: 29th, April 2025 GMT
একটি স্বার্থান্বেষী মহল উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে এশিয়াটিক থ্রিসিক্সটি এবং এর অধীন প্রতিষ্ঠানগুলো ও পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের জড়িয়ে ভুল ও বানোয়াট তথ্যের ভিত্তিতে অপপ্রচার চালাচ্ছে। এশিয়াটিক থ্রিসিক্সটির গ্রুপ চেয়ারপারসন সারা যাকের আজ মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে এ অভিযোগ করেছেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, এশিয়াটিক সব সময় দরপত্র জমা দিয়ে এবং পিচে অংশগ্রহণ করে প্রয়োজনীয় সব চুক্তি সম্পাদন করার মাধ্যমে স্বচ্ছতা ও দক্ষতার সঙ্গে ক্লায়েন্টদের সেবা দিয়ে আসছে। এ ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সততা ও স্বচ্ছতা বজায় রাখা হয়। এ ছাড়া দেশের বিজ্ঞাপন ও কমিউনিকেশনস খাতে সেবা প্রদানে এশিয়াটিক থ্রিসিক্সটির একচেটিয়া বাজার আধিপত্য নেই বলেও জানায় প্রতিষ্ঠানটি।
জয় বাংলা কনসার্টের আয়োজন–সংক্রান্ত বিতর্কের ব্যাখ্যায় এশিয়াটিকের পক্ষ থেকে বলা হয়, বিগত বছরগুলোতে জয় বাংলা কনসার্টগুলো আয়োজন করেছে শীর্ষস্থানীয় অন্য দুটি প্রতিষ্ঠান (এজেন্সি)। এ আয়োজনের সঙ্গে এশিয়াটিক ইভেন্টস বা এশিয়াটিকের কোনো অঙ্গপ্রতিষ্ঠানের সম্পৃক্ততা নেই। এশিয়াটিক বিগত সরকারের আমলে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কিছুসংখ্যক অনুষ্ঠান আয়োজনের দায়িত্ব পেলেও কোনো রাজনৈতিক দলের প্রচারণা বা অনুষ্ঠান আয়োজনের সঙ্গে কখনোই সম্পৃক্ত ছিল না।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এনবিআরের অধীন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেলের (সিআইসি) নির্দেশ সাপেক্ষে এশিয়াটিকের অধীন ১৭টি প্রতিষ্ঠান এবং এর পরিচালনা পর্ষদের ছয়জন পরিচালক ও দুজন কর্মকর্তার ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়। এ বিষয়ে কোনো প্রকার পূর্ব নোটিশ অথবা সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি এশিয়াটিককে দেওয়া হয়নি। এর ফলে এশিয়াটিকের কর্মী ও তাঁদের পরিবার এবং পাঁচ শতাধিক সরবরাহকারী ও ভেন্ডর প্রতিষ্ঠানসহ অন্যান্য অংশীজনেরা চরম ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, দেশের সব আইন ও বিধির প্রতি সর্বোচ্চ শ্রদ্ধাশীল থেকে প্রায় ছয় দশক ধরে এশিয়াটিক থ্রিসিক্সটি সুনামের সঙ্গে কাজ করছে। দেশীয় বিজ্ঞাপনশিল্পের পুরোধা ব্যক্তিত্ব, বিশিষ্ট নাট্যব্যক্তিত্ব আলী যাকেরের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় বহুমুখী এ প্রতিষ্ঠানটি ১৯৬৬ সালে বিজ্ঞাপন নির্মাণের প্রতিষ্ঠান হিসেবে যাত্রা শুরু করে পরে এশিয়াটিক মার্কেটিং কমিউনিকেশনস লিমিটেডে রূপান্তরিত হয়।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
এই কঠিন সময়ে ঐক্য ধরে রাখা প্রয়োজন: ঢাবি উপাচার্য
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে জাতির ঐক্য রক্ষার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য নিয়াজ আহমেদ খান।
উপাচার্য বলেন, ‘আমরা একটি কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে অতিক্রম করছি। এক অর্থে জাতির জন্য এটি একটি ক্রান্তিকাল। এই সময়ে আমাদের ঐক্য ধরে রাখা একান্তই প্রয়োজন।’
আজ রোববার সকালে রাজধানীর মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সাংবাদিকদের কাছে নিয়াজ আহমেদ খান এ কথা বলেন।
ঢাবি উপাচার্য বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস জাতির জন্য পরম শ্রদ্ধা, কৃতজ্ঞতা ও মমতার দিন। এক গভীর ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, চিন্তাবিদ ও বুদ্ধিজীবীরা নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছিলেন। তাঁদের সেই চূড়ান্ত আত্মত্যাগ ইতিহাসে চিরভাস্বর হয়ে আছে।
নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, যুগে যুগে ও প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগ এ জাতিকে অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করতে ঐক্যবদ্ধ করেছে এবং সাহস জুগিয়েছে। সেই ধারাবাহিকতায় জাতি ১৯৯০ ও ২০২৪ সালের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে অগ্রসর হয়েছে।
উপাচার্য আরও বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগ আজও জাতির ঐক্য ধরে রাখার পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ আলোকবর্তিকা। একই সঙ্গে ১৯৫২, ১৯৬৮, ১৯৬৯, মহান মুক্তিযুদ্ধসহ প্রতিটি আন্দোলন–সংগ্রামে যাঁরা রক্ত ও জীবন দিয়ে দেশের স্বাধীনতা ও মর্যাদা রক্ষা করেছেন, তাঁদের সবার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা।
নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, ১৯৫২ থেকে ২০২৪—এর প্রতিটি দিন ও ঘটনাপ্রবাহ জাতির মৌলিক পরিচয়ের মাইলফলক। এর কোনো অংশ বাদ দেওয়ার সুযোগ নেই। এ ইতিহাসই যুগে যুগে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ রেখেছে, আর বর্তমান সময়ে সেই ঐক্য ধরে রাখাই সবচেয়ে বড় প্রয়োজন।