প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী পহেলগাম সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় ভারতের সামরিক প্রতিক্রিয়ার ‘পদ্ধতি, লক্ষ্য এবং সময় নির্ধারণের সম্পূর্ণ স্বাধীনতা’ সশস্ত্র বাহিনীকে দিয়েছেন। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল এবং প্রতিরক্ষা কর্মী প্রধান জেনারেল অনিল চৌহানের সাথে প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাতের সময় এই বার্তা দেওয়া হয়। মঙ্গলবার এনডিটিভি অনলাইন এ তথ্য জানিয়েছে।

সূত্রের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী ‘পুনরায় নিশ্চিত করেছেন যে, আমাদের জাতীয় সংকল্প হচ্ছে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে বড় আঘাহ হানা এবং ভারতীয় সেনাবাহিনীর উপর তার পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস রয়েছে।

বৈঠক শেষ হওয়ার কিছুক্ষণ পরেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে পৌঁছান।

২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে জম্মু ও কাশ্মীরের পুলওয়ামা জেলায় গাড়িবোমা বিস্ফোরণে ৪০ জন সেনা নিহত হয়।  পাকিস্তানভিত্তিক সন্ত্রাসী সংগঠন জইশ-ই-মোহাম্মদ এই হামলার দায়ভার স্বীকার করে। এরপরই ভারত পাকিস্তানের বালাকোটে সন্ত্রাসী শিবিরগুলোতে নির্ভুল বিমান হামলা চালায়। ভারতের দাবি ছিল,পাক সেনাবাহিনীর সহায়তায় নিষিদ্ধ সন্ত্রাসী গোষ্ঠী জইশ-ই-মোহাম্মদ এই শিবিরগুলো পরিচালনা করত।

২২ এপ্রিল ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পহেলগামে সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহত হন, যাদের বেশিরভাগই পর্যটক ছিলেন। দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট নামে পরিচিত একটি গোষ্ঠী এ হামলার দায় স্বীকার করেছিল। ভারত কোনো ধরনের প্রমাণ ছাড়াই এই হামলার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করে আসছে। ঘটনার পরের দিনই ভারত সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিতসহ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেয়। ক্ষমতাসীন বিজেপির নেতাদের অনেকেই পাকিস্তানে হামলার দাবি করছেন।

ভারতীয় নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর দাবি, প্রাপ্ত প্রমাণগুলো ইঙ্গিত দেয় যে পহেলগাম হামলার পিছনেও পাকিস্তানের হাত ছিল। তবে পাকিস্তান জানিয়েছে, ভারত এখনো পর্যন্ত প্রকাশ্যে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কোনো প্রমাণ হাজির করেনি।
 

ঢাকা/শাহেদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

ইশরাককে মেয়র ঘোষণা: ইসির ভূমিকা নিয়ে এনসিপির উদ্বেগ

আদালতের রায়ের পর বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশের পর নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। মঙ্গলবার রাতে এক বিবৃতিতে এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী এ উদ্বেগ জানান। 

বিবৃতিতে এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক বলেন, ইশরাক হো‌সে‌নের মামলার প্রথম তিন বছর পাঁচ মাসে ৩২টি তারিখ নির্ধারণ করা হলেও ২০২৪ সালের অক্টোবর থেকে মাত্র চার মাসে ১৭টি তারিখ দিয়ে মামলাটি তড়িঘড়ি করে নিষ্পত্তি করা হয়েছে। কিন্তু একই সময়ে অন্যান্য মামলার ক্ষেত্রে এত দ্রুততার সঙ্গে তারিখ ধার্য করা হয়নি। ট্রাইব্যুনাল একটি পক্ষকে বিশেষ অগ্রাধিকার দিয়ে অন্যায্য সুবিধা দিয়েছে কি-না, তা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন উঠেছে।

বিবৃ‌তি‌তে বলা হয়, মামলার হলফনামাগুলো বেআইনিভাবে তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে সম্পাদন ও দাখিল করে আরজি সংশোধন করে ভিন্ন প্রতিকার চাওয়া হয়েছে। কিন্তু ট্রাইব্যুনাল কোনোরূপ বিচার-বিবেচনা না করে তা গ্রহণ ও মঞ্জুর করেছে। এই ঘটনাগুলো বিচারিক পদ্ধতির স্বচ্ছতা এবং নিরপেক্ষতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।

এ মামলায় কমিশনের ভূমিকা রহস্যজনক ছিল উল্লেখ করে বিবৃ‌তি‌তে আরও বলা হয়, বিবাদী হওয়া সত্ত্বেও নির্বাচন ক‌মিশন মামলায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেনি, যার ফলে একতরফা রায় হয়েছে। এমনকি উচ্চ আদালতে প্রতিকার না চে‌য়ে বাদীকে বিশেষ সুবিধা দিয়েছে ইসি। কমিশনের এমন তৎপরতা অস্বাভাবিক ও উদ্বেগজনক। এর আগেও দেখেছি নির্বাচন কমিশন তার নিরপেক্ষ আচরণ বজায় রাখার পরিবর্তে এমন সব বক্তব্য দিয়েছে, যা একটি বৃহৎ রাজনৈতিক দলকে সুবিধা দিচ্ছে বলে জনগণ মনে করে।


এতে বলা হ‌য়, ১৯ আগস্ট ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে প্রশাসক নিয়োগ করা হয়েছে। ফলে পুরো মামলাটিই অকার্যকর। এরপরও রায় এবং তড়িঘড়ি করে কমিশন কর্তৃক গেজেট প্রকাশের পেছনে কোনো বিশেষ উদ্দেশ্য ছিল কি-না, তা জনসাধারণের সামনেপরিষ্কার করতে হবে। স্বাধীন ও নিরপেক্ষ বিচারব্যবস্থা ছাড়া গণতন্ত্র ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা অসম্ভব। এনসিপি এই পুরো ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করছে। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ