যৌন নিপীড়নের অভিযোগে কুবির দুই শিক্ষককে পদাবনতি
Published: 29th, April 2025 GMT
যৌন নিপীড়ন ও শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) দুই শিক্ষককে পদাবনতি দেওয়া হয়েছে। ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক আলী রেজওয়ান তালুকদারকে সহযোগী অধ্যাপক থেকে সহকারী অধ্যাপক এবং ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের শিক্ষক মোহাম্মদ জসিম উদ্দিনকে সহকারী অধ্যাপক থেকে প্রভাষক পদে পদাবনতি হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। এর আগে সোমবার রাতে ১০৪তম সিন্ডিকেটে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
জানা যায়, ২০২০ সালে সান্ধ্যকালীন কোর্সের শিক্ষার্থীকে যৌন নিপীড়ন ও বিভাগের শিক্ষকদের নিয়ে বাজে মন্তব্য করার অভিযোগ ওঠে সহযোগী অধ্যাপক মো.
পদাবনতির বিষয়ে জসিম উদ্দিন বলেন, ‘আমি এখনও পর্যন্ত নোটিশও পাইনি, চিঠিও হাতে আসেনি। আসলে বলতে পারব।’
এ বিষয়ে জানতে আলী রেজওয়ানকে কল দেওয়া হলে তিনি তা কেটে দেন।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হায়দার আলী বলেন, ‘তাদের বিষয়গুলো সিন্ডিকেট সভায় উঠেছে। সিন্ডিকেট সভার সকলের মতামতের ভিত্তিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: য ন হয়র ন
এছাড়াও পড়ুন:
সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য পুলিশকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত করার তাগিদ
প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণা অনুযায়ী আগামী ডিসেম্বর থেকে জুনকে জাতীয় নির্বাচনের সময় ধরে সারা দেশে পুলিশকে এখন থেকে প্রস্তুতির তাগিদ দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার পুলিশ সপ্তাহের অনুষ্ঠানে এমন তাগিদ দেওয়া হয়েছে। নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করতে মাঠপর্যায়ের পুলিশকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত ও নিরপেক্ষ থাকার প্রতিও গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।
পুলিশ সপ্তাহের তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের প্রথম দিন মঙ্গলবার বিভিন্ন ধাপের আলোচনায় জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রসঙ্গ এসেছে।
এদিন সকালে রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে পুলিশ সপ্তাহ-২০২৫–এর উদ্বোধনকালে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসও সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রস্তুতির ওপর জোর দিয়েছেন। তিনি বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে পুলিশ সদস্যদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। মনে রাখবেন, কোনো ব্যক্তি যদি অন্যায় বা অনিয়মের মাধ্যমে নির্বাচিত হয়, সেই ব্যক্তির দ্বারা ন্যায় প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়। সুতরাং কারও দ্বারা ব্যবহৃত হবেন না।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের (ওসি) দিয়ে কাজ করাতে হিমশিম খাচ্ছেন বলেও উল্লেখ করেন এসপিদের কেউ কেউ। পছন্দের ব্যক্তিকে থানার ওসি করার জন্য রাজনৈতিক চাপের কথাও বলেছেন একাধিক কর্মকর্তা।উদ্বোধনসহ দিনের প্রথমার্ধের অনুষ্ঠান শেষে বেলা আড়াইটায় পুলিশ সুপার (এসপি) থেকে তদূর্ধ্ব পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নিয়ে একটি কর্মশালা হয়। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, কর্মশালায় বিভিন্ন জেলার এসপিরা কাজের অভিজ্ঞতা ও নানা চ্যালেঞ্জের কথা বলেন। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের (ওসি) দিয়ে কাজ করাতে হিমশিম খাচ্ছেন বলেও উল্লেখ করেন এসপিদের কেউ কেউ। পছন্দের ব্যক্তিকে থানার ওসি করার জন্য রাজনৈতিক চাপের কথাও বলেছেন একাধিক কর্মকর্তা।
চাপমুক্ত হয়ে কাজ করার ক্ষেত্রে বিভিন্ন অন্তরায়ের কথা বলতে গিয়ে একাধিক কর্মকর্তা জানান, পেশাদারত্বের বাইরে গিয়ে মাঠপর্যায়ের পুলিশের অনেকের মধ্যে রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে বাড়তি সখ্য তৈরির প্রবণতা রয়েছে। এতে নিরপেক্ষভাবে কাজ করার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে।
পুলিশের বিভাগীয় হাসপাতালে জনবল বৃদ্ধি ও আধুনিক চিকিৎসাসরঞ্জাম সরবরাহ ও রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালকে মেডিকেল কলেজ হিসেবে প্রতিষ্ঠার দাবি জানাবে পুলিশ।মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তারা রাজনৈতিক দলমুখী না হয়ে যেন পেশামুখী হন, সে জন্য করণীয় নিয়েও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। এ জন্য পুলিশ সপ্তাহের শেষ দিনের অনুষ্ঠানের কোনো এক পর্যায়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে কীভাবে যুক্ত করা যায়, তা নিয়েও ভাবছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
পুলিশ সপ্তাহের অনুষ্ঠানে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম তাঁর বক্তব্যে ও নির্দেশনায় সব স্তরের পুলিশ সদস্যদের পেশাদারত্ব ও সততার সঙ্গে কাজ করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে পুলিশ যাতে সম্পূর্ণ নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে পারে, সে জন্য এখন থেকেই প্রস্তুতি নিতে বলেছেন তিনি।
মানুষ আর দলীয় পুলিশ চায় নাপুলিশ সপ্তাহের প্রথম দিনের আলোচনায় স্বতন্ত্র পুলিশ কমিশন গঠনের দাবি উঠে এসেছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে জানা গেছে। এদিন সকালে প্রধান উপদেষ্টার সামনে মাঠপর্যায়ের পুলিশ সদস্যদের মধ্যে দুজন কথা বলার সুযোগ পেয়েছেন। এঁদের একজন পুলিশ সদর দপ্তরের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. আল আসাদ। আরেকজন ঢাকা জেলা পুলিশের কনস্টেবল সামিয়া ইসলাম স্বর্ণা।
অনুষ্ঠানে এএসপি মো. আল আসাদ বলেন, সাবেক স্বৈরাচারী সরকার পুলিশকে দলীয় কর্মীর মতো ব্যবহার করেছে। যার ফলে জনগণের সঙ্গে পুলিশের দূরত্ব তৈরি হয়েছে। পুলিশ বাহিনীকে দলীয় কর্মীর মতো ব্যবহারের সুযোগ বন্ধ করার সময় এখনই। জুলাই বিপ্লবের অংশীদারদের কেউই, এমনকি সাধারণ জনগণও আর দলীয় পুলিশ চান না, তারা নিরপেক্ষ ও নতুন বাংলাদেশের পুলিশ চান।
মো. আল আসাদ বলেন, পুলিশের পক্ষ থেকে পুলিশ সংস্কার কমিশনের কাছে একটি নিরপেক্ষ এবং প্রভাবমুক্ত ‘পুলিশ কমিশন’ গঠনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। সংস্কার কমিশন এ বিষয়ে নীতিগতভাবে ঐকমত্য পোষণ করলেও আরও পর্যালোচনা প্রয়োজন বলে বিষয়টি উপেক্ষা করেছে। এ ছাড়া জাতীয় ঐকমত্য কমিশনেও পুলিশ–সংক্রান্ত কোনো বিষয় অন্তর্ভুক্ত হয়নি। পুলিশকে সঠিক পথে পরিচালনার জন্য স্বতন্ত্র পুলিশ কমিশন গঠনের উদ্যোগ দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি জানান এই কর্মকর্তা।
‘পুলিশ সপ্তাহ ২০২৫’ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে পুলিশ সদস্যদের পদক প্রদান করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। গতকাল রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে