জেলা প্রশাসককে ২৪’র শহীদদের স্মারক দিল জামায়াত
Published: 29th, April 2025 GMT
জেলা প্রশাসকের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে তার হাতে ২৪ এর জুলাই -আগস্ট আন্দোলনে শহীদদের স্মারক গ্রন্থসহ শহীদদের তথ্য ভিত্তিক ডকুমেন্টারি স্বারক দিলেন জামায়াত নেতৃবৃন্দ।
সোমবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে জেলা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জামায়াত নেতৃবন্দ এ স্বারক তুলে দেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও নারায়ণগঞ্জ মহানগরী শাখার আমীর মাওলানা আবদুল জব্বার। অন্যানের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা মঈনুদ্দিন আহমাদ, নারায়ণগঞ্জ জেলা আমীর জনাব মমিনুল হক সরকার, নারায়ণগঞ্জ মহানগরী সেক্রেটারি ইঞ্জিনিয়ার মানোয়ার হোসাইন, এডভোকেট জাহাঙ্গীর দেওয়ান, এডভোকেট নিজাম উদ্দিন প্রমুখ।
উল্লেখ্য, ২৪ এর জুলাই-আগস্ট বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হাসিনা সরকারের নির্বিচারে ছাত্র- জনতার উপর হামলার ঘটনায় প্রায় ১৮ শত শাহাদাৎ বরণ করে, জামায়াত সেই সকল শহীদদের নিয়ে স্বারক গ্রন্থ তৈরী করে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
মর্গ্যান গার্লস স্কুল এন্ড কলেজে জেলা প্রশাসকের নির্দেশনা উপেক্ষিত
মর্গ্যান গার্লস স্কুল এন্ড কলেজেনারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের নির্দেশনা উপেক্ষিত হচ্ছে। জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে পাঠানো লিখিত নির্দেশ মানছেন না মর্গ্যান গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপাল নুসরত রেবেকা। সরকারি প্রজ্ঞাপনে আদেশ থাকা সত্ত্বেও সহকারী প্রধান শিক্ষক লায়লা আক্তারের সরকারি বেতন-ভাতা প্রদান করছে না।
ফলে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের সঙ্গে দেখা করে তার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন তিন শতাধিক শিক্ষক, অভিভাবক, এলাকাবাসী ও রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ।
জানাগেছে, গত ২৩ এপ্রিল বুধবার তিন শতাধিক শিক্ষক, অভিভাবক, এলাকাবাসী ও রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা মহোদয়ের সাথে দেখা করে মর্গ্যান গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের বিভিন্ন অনিয়ম ও বেআইনি কর্মকান্ড তুলে ধরেন।
এসময়ে জেলা প্রশাসক মহোদয় সকল শিক্ষক, অভিভাবক, এলাকাবাসী ও রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গের কথা মনোযোগ সহকারে শুনেন এবং বলেন কি কি অনিয়ম ও বেআইনি কর্মকান্ড হচ্ছে আপনারা লিখিতভাবে আমাকে দেন। আমি সে ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
তিনি আরও বলেন, কারো বেতন ভাতা বন্ধ করা আমার কাজ নয়, যেহেতু সরকারি প্রজ্ঞাপন রয়েছে বেতন ভাতা প্রদানের জন্য এবং তদন্ত কমিটি সুপারিশ করেছে তাহলে অবশ্যই লায়লা আক্তারসহ সকলের বেতন ভাতা প্রদান করা হবে।
এবিষয়ে শিক্ষক, অভিভাবক, এলাকাবাসী ও রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ বলেন, মর্গ্যান গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের সহকারী প্রধান শিক্ষক লায়লা আক্তার বিদ্যালয়ে না থাকায় বিদ্যালয়ে বিশৃঙ্খল ও অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। তার অনুপস্থিতিতে বিদ্যালয়ে পাঠদানে ব্যাপক বেগার্ড করছে। এমনকি শিক্ষকরাও দলাদলি এবং বিভিন্ন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে।
তারা আরও বলেন, যেহেতু সরকারি প্রজ্ঞাপন রয়েছে বেতন ভাতা চালু ও স্বপদে বহাল করার এবং জেলা প্রশাসক মহোদয় দুইজন ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে তদন্ত করিয়েছেন । তদন্ত কমিটি সম্পূর্ন নির্দোষ ও বেতন ভাতা প্রদানের সুপারিশ করেছেন।
জেলা প্রশাসক মহোদয়ের কার্যালয় হতে জেলা প্রশাসক মহোদয় বেতন ভাতা প্রদানের লিখিত নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু অদ্যবধি ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নুসরত রেবেকা এখন পর্যন্ত সহকারী প্রধান শিক্ষক লায়লা আক্তারের বেতন-ভাতা প্রদান করছেন না। তাই লায়লা আক্তারকে অবিলম্বে স্বপদে বহাল ও বেতন ভাতা চালু করতে জেলা প্রশাসক মহোদয়কে অনুরোধ করেন।
তবে এবিষয়ে জানতে মর্গ্যান গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপাল নুসরত রেবেকা বলেন, সরকারিভাবে প্রজ্ঞাপন বলা হয়েছে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের বেতন ভাতা দেওয়ার জন্য।
সহকারী প্রধান শিক্ষকের বিষয়ে প্রজ্ঞাপনে কোন কিছু লেখা নাই। আর জেলা প্রশাসকের প্রজ্ঞাপনে তো আমি তার বেতন দিতে পারি না। সরকারিভাবে সহকারী প্রধান শিক্ষকের বিষয় প্রজ্ঞাপন আসতে হবে।
তিনি আরও বলেন, তিনি তো পদত্যাগ করেছে। আর আমার তো বেতন দেয়ার কোন এখতিয়ার নাই। আমাদের সভাপতিসহ কমিটি লোকজন আছে তাদের সাথে আলাপ-আলোচনা করে তারপরে তার বেতন বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে।
অফিস আওয়ারে স্কুলে আসবেন আপনার সাথে কথা বলবো। ফোনে আপনার সাথে বেশি কথা বলব না।