"আয় আমাকে ধর, কল লিস্ট খুঁজে বের কর দেখ আমি কোথায়, পারলে আমাকে ধর" নিজ ফেইজবুক আইডিতে পোস্ট করার কিছু সময়ের মধ্যে ভারতীয় সীমান্তবর্তী  কসবা থেকে ফতুল্লার বক্তাবলীতে প্রাইভেট কারে ডাকাতি করে ১২ লাখ ৬৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার মূল হোতা শীর্ষ সন্ত্রাসী, পেশাদার ডাকাত রতন (৪২) কে গ্রেপ্তার করেছে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ। এ সময় গ্রেফতারকৃতের নিকট থেকে লুন্ঠিত সাড়ে তিন লাখ টাকা উদ্ধার করে পুলিশ।

গত সোমবার বিকেল ৫ টার দিকে ব্রাহ্মনবাড়ী জেলার কসবা থানাধীণ তেতৈয়া নামের ভারতীয় সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে ডাকাত রতন কে গ্রেফতার করে পুলিশ।

এর আগে সকাল সাড়ে নয়টার দিকে চাঁদপুর জেলার পুরান বাজার এলাকা ডাকাত রতনের অন্যতম সহোযোগি হাসান (৩৪) কে গ্রেপ্তার করে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ। মঙ্গলবার দুপুরে গ্রেপ্তারকৃতেদর ৫ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠায় পুলিশ।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফতুল্লা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক কাজী শামীম জানান, চলতি মাসের ২৩ তারিখ রাত ১০ টার দিকে মামলার বাদী প্রাইভেট কারে করে স্বর্নালংকার বিক্রির ১২ লাখ ৬৫ হাজার টাকা নিয়ে ঢাকা থেকে বক্তাবলীস্থ নিজ বাসায় যাচ্ছিলেন।

বক্তাবলি  চর প্রসন্ননগরস্থ মদিনা বাজার নামক পৌছামাত্র পেশাদার ডাকাত, শির্ষ সন্ত্রাসী গ্রেপ্তারকৃত ডাকাত রতন তার কয়েক সহোযোগিকে নিয়ে প্রাইভেটকারের গতিরোধ করে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে বাদী কে মারধর সহ গাড়ীর গ্লাস ভাংচুর করে সাথে থাকা ১২ লাখ ৬৫ হাজার ছিনিয়ে নিয়ে যায়। 

ঘটনার পরপর তারা আত্নগোপনে চলে যায়। পরে সোমবার সকালে চাদপুর থেকে প্রথমে হাসান কে পরবর্তীতে ভারতীয় সীমান্তবর্তী কসবা থেকে মূল হোতা রতন কে গ্রেফতার করা হয়। তিনি জানান,রতন গ্রেপ্তারের কয়েক মিনিট পূর্বে সীমান্তবর্তী একটি পাহাড়ের উপরে উঠে একটি ভিডিও তৈরি করে তার ফেইসবুকে আপলোড দেয়। 

যাতে রতন কে চিৎকার করে বলতে শুনা যায় আয় আমাকে ধর,কল লিস্ট খুঁজে বের কর দেখ আমি কোথায়,পারলে আমাকে ধর"। পাহাড় থেকে পায়ে হেটে নামার সময় তাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে।
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ স ম ন তবর ত ড ক ত রতন ত র কর

এছাড়াও পড়ুন:

সম্পর্কের ৫০ বছর: বাংলাদেশে প্রথমবার চীনা ক্যালিগ্রাফি প্রদর্শনী

বাংলাদেশ ও চীনের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ঢাকায় প্রথমবারের মতো শুরু হয়েছে চীনা ক্যালিগ্রাফি প্রদর্শনী।

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) জাতীয় জাদুঘরের নলিনীকান্ত ভট্টাশালী এক্সিবিশন হলে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয় এই প্রদর্শনীর।

‘দ্য ল্যানটিং লিগ্যাসি’ প্রতিপাদ্যে সাত দিনব্যাপী এই প্রদর্শনী যৌথভাবে আয়োজন করেছে বাংলাদেশে চীনা দূতাবাস, বাংলাদেশ-চীন ফ্রেন্ডশিপ সেন্টার এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউট।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ছিলেন চীনা দূতাবাসের অ্যাটাশে সুন খ্যংনিং ও বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ সেন্টারের সাধারণ সম্পাদক এইচ এম জাহাঙ্গীর আলম রানা।

উদ্বোধনী বক্তৃতায় সুন খ্যংনিং বলেন, “আমরা এই বছর প্রথমবারের মতো চীনা ক্যালিগ্রাফি প্রদর্শনীর আয়োজন করেছি। তাড়াহুড়া করে এই আয়োজন করা হয়েছে, তাই সুন্দরভাবে আয়োজন করতে পারিনি। এর জন্য ক্ষমাপ্রার্থী; তবুও আশা করি, দর্শকরা চীনা ক্যালিগ্রাফির সৌন্দর্য উপভোগ করবেন।”

চীন-বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০তম বার্ষিকীতে দুই দেশের সম্পর্ক আরো উচ্চ স্তরে পৌঁছাবে এবং গভীর হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। 

জাহাঙ্গীর আলম রানা বলেন, চীনা ক্যালিগ্রাফি তিন হাজার বছরের পুরোনো। তুলি, কালি, কলম ও কাগজ দিয়ে চীনা শিল্পীরা নান্দনিক ক্যালিগ্রাফি তৈরি করেন।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে চীনা ক্যালিগ্রাফিভক্ত লিউ চেন, কো তাহাই, হু সংসহ বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ সেন্টার ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কনফুসিয়াস ইন্সটিটিউটের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/হাসান/রাসেল

সম্পর্কিত নিবন্ধ