শেখ হাসিনা ফিরে এলে সাধারণ মানুষই উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে: মির্জা ফখরুল
Published: 29th, April 2025 GMT
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, অনেকেই বলছেন ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা আবার ফিরে আসবেন। এ বিষয়ে বিএনপিকে কিছুই করতে হবে না, সাধারণ মানুষ তার ব্যবস্থা নেবে। তাকে আর এদেশে এসে কোনোদিন রাজনীতি করতে হবে না। সাধারণ মানুষের ওপর যে অন্যায় অত্যাচার হয়েছে এজন্য তারাই উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে।
মঙ্গলবার বিকেলে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চিলারং ইউনিয়নের মোলানী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে গণসংযোগ কর্মসূচিতে এ মন্তব্য করেন মির্জা ফখরুল।
মির্জা ফখরুল বলেন, সনাতন ধর্মের মানুষ বিএনপির আমলে সবচেয়ে বেশি নিরাপদে থাকবে। কারণ বিএনপি একটি শান্তিপ্রিয় দল। ফেসবুক ইউটিউব নিয়ে সতর্ক করে তিনি বলেন তিনি বলেন, ফেসবুকে অসংখ্য মিথ্যা আসে। ইউটিউবে এমন এমন কথা বলে যা দেখে মানুষের মাথা খারাপ হয়ে যাবে। এগুলো দেখে বিভ্রান্ত হবেন না।
তিনি বলেন, এসব মিটিংয়ে মানুষের মুখ দেখেই বুঝা যায় তারা সবাই পরিবর্তন চায়। সবাই ভোট দিয়ে সরকার গঠন করতে চায়। বাংলাদেশের মানুষের কাছে সবচেয়ে নির্ভরশীল, নিরাপদ দল হচ্ছে বিএনপি। বিএনপিকে নিয়েই তারা সেই সরকার গঠন করতে চায়। ধানের শীষ আপনাদের, যাকে রক্ষা করার দায়িত্ব আপনাদের।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে মির্জা ফখরুল বলেন, কেউ আওয়ামী লীগের মতো অন্যায় করবেন না, অন্যায় করলে মানুষ ভালোবাসবে না। আওয়ামী লীগের মতো ছুড়ে ফেলে দেবে। সুতরাং অন্যায় যেন কেউ না করে সেদিকে খেয়াল রাখবেন। নিজেরা অনেক শক্তিশালী নিয়ে এ সব অপকর্ম প্রতিরোধ করবেন। সাধারণ মানুষের ওপর যেন কেউ অন্যায় অত্যাচার করতে না পারে। প্রয়োজনে অন্যায়কারীদের সরাসরি পুলিশের হাতে তুলে দেবেন।
আয়নাঘর ও শেখ হাসিনা সম্পর্কে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আওয়ামী লীগ যাদের ভয় পেয়েছে তাদের গুম করেছে। ১৭০০ মানুষকে গুম করা হয়েছে। ৭ থেকে ৮ বছর পর্যন্ত তাদের আটকে রাখা হয়েছে। গোলাম আযমের ছেলে ফারুক ই আজমকে ৮ বছর গুম করে রাখা হয়েছে। সিলেটের এমপি ইলিয়াসের এখনও খবর পায়নি তার পরিবার।
এ সময় চিলারং ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাদেরের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সল আমিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হান্নান হান্নু, পয়গাম আলী, সদর উপজেলা বিএনপি সভাপতি আব্দুল হামিদ, সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব হোসেন তুহিন। এ সময় বিএনপিসহ দলটির অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
পরে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মহাদেবপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও চিলারং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে একই কর্মসূচিতে যোগ দেন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ম র জ ফখর ল ইসল ম আলমগ র ব এনপ র অন য য ফখর ল
এছাড়াও পড়ুন:
বন্দরে গভীর রাতে বুড়া-বুড়ির বাড়িতে হামলা
বন্দরের জাঙ্গাল এলাকায় ইট ভাটার মাটি কাটতে না দেয়ায় নিরিহ নিরপরাধ বৃদ্ধ দম্পত্তির (বুড়া-বুড়ি) নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী ও বাড়ি ঘরে ব্যাপক হামলা ও ভাংচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
পুলিশের উপস্থিতিতে একটি ইট ভাটা মালিকের সন্ত্রাসী বাহিনী এই হামলা ও ভাংচুরের নেতৃত্ব দিয়েছে বলে ভূক্তভোগীরা জানিয়েছেন। এরপর উল্টো তাদের ধরে নিয়ে তাদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেল খাটিয়েছেন। পরে জামিনে বের হয়ে ভুক্তভোগী এ ঘটনায় থানায় মামলা করতে পুলিশ মামলা না নেয়ায় আতংকে রয়েছেন তারা।
জানা গেছে, বন্দরের জাঙ্গালের বাকদোবাড়িয়া এলাকায় অবস্থিত ৩টি ব্রিক ফিল্ডের মালিক মোঃ আলমগীর হোসেন। সে সাধারন মানুষের জমি জোর পূর্বক দখল করে মাটি কেটে ইট ভাটা পরিচালনা করে আসছে বলে ব্যাপক অভিযোগ রয়েছে। তার বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জের আদালতে বেশ কয়েকটি দেওয়ানী মামলা চলমান রয়েছে।
ভূক্ত ভোগী বন্দরের জাঙ্গাল এলাকায় বৃদ্ধা মহিলা মিনারা বেগম মিনু জানান, আমার জমি জমার বিভিন্ন ভূয়া কাগজপত্র সৃজন করে ইট ভাটার মালিক আলমগীর জোর পূর্বক দখল করে মাটি কাটার চেষ্টা চালায়।
আমি ও আমার পরিবার এতে জোরালো আপত্তি করি এবং আমার স্বামী তার বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ আদালতে একাধিক দেওয়ানী মামলা দায়ের করেন। এতে ইট ভাটার মালিক আমাদের উপর ক্ষীপ্ত হয়ে আমাদের প্রানে মেরে ফেলার জন্য আলমগীর নানা ষড়যন্ত্রের ফাদ পাততে থাকে।
আর এ কাজে থানা পুলিশকে সে ম্যানেজ করে তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে আমাদের জীবন শেষ করে দেয়ার অপচেষ্টা চালায়। গত ২০ এপ্রিল রবিবার রাত সাড়ে ১২টা থেকে গভীর রাত ৩টা পর্যন্ত বন্দর থানার দারোগা জলিল, শরীফ ও বন্দর কামতাল ফাড়ির দারোগা মনির সহ প্রায় ২৫ জন পুলিশ আমার বাড়ীর চারদিকে ঘেরাও করে রাখে।
এসময় ব্রিক ফিল্ডের মালিক আলমগীরের প্রায় ২০/২৫ জনের ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী বাহিনী দা, সাবল, বটি, খুন্তি, কুড়াল সহ দেশীয় অস্ত্র সস্ত্র নিয়ে বাড়ীর গেট ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে ব্যাপক হামলা ভাংচুর ও লুটপাট চালায়। পরবর্তীতে বন্দর থানা পুলিশ বাড়ীর ভিতরে প্রবেশ করে আমাকে ও আমার বৃদ্ধ স্বামীকে জোর পূর্বক থানার পুলিশ ভ্যানে তুলতে চায়।
বন্দর থানা পুলিশ কোন মামলা ছাড়াই বিনা ওয়ারেন্টে টানা হেচড়া করে আমাদেরকে থানায় নিয়া যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় আমি মামলা ছাড়া বিনা ওয়ারেন্ট আমাদের কেন থানায় নিয়া যাবেন জানেত চাইলে আমাকে ও আমার স্বামী আঃ বাতেন (৬০) কে বেধম প্রহার করেন। আমি একজন বৃদ্ধা মহিলা হওয়া স্বত্তেও পুলিশ আমাকে উপর্যপুরি ৪টি বেত্রাঘাত করে।
তখন আমি পুলিশের হাতে পায়ে ধরে কোন মতে পুলিশের হাত থেকে ছাড়া পেলেও গভীর রাত ৩টায় আমার স্বামী আঃ বাতেন (৬০)কে জোরপূর্বক বন্দর থানায় নিয়া যায়।
থানায় নিয়ে ব্রিক ফিল্ডের মালিক আলমগীরের ম্যানেজার মজিবরকে বাদী বানাইয়া আমাদের বিরুদ্ধে বন্দর থানায় ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন ২০২৩ এর ১০/১৩/১৬ ধারায় একটি মিথ্যা মামলা নং-২৪৪২৫ দায়ের করেন।
বন্দর থানার পুলিশ আমার স্বামীকে ২০ এপ্রিল ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন সহ নারায়ণগঞ্জ আদালতে প্রেরন করলে বিজ্ঞ আদালত শুনানী অন্তে রিমান্ডের আবেদন না-মঞ্জুর পূর্বক জামিন প্রদান করেন এবং পরবর্তীতে গত ২২ এপ্রিল আমি বিজ্ঞ আদালতে স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পন করলে মহামান্য আদালত আমাকেও জামিন প্রদান করেন।
বর্তমানে আমরা আদালত থেকে জামিন নেয়র পর এ ঘটনায় বন্দর থানায় মামলা করতে গেলে ব্রিক ফিল্ডের মালিক আলমগীরের দাপটের কারনে পুলিশ কোন মামলা নিচ্ছে না।
এখন আমি আদালতে প্রতিকার চেয়ে ন্যায় বিচার পাওয়ার আশায় মামলা দায়েরের সিদ্ধান্ত গ্রহন করেছি। আমি এই ঘটনার সুুষ্ট তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য পুলিশের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
এ বিষয়ে কথা বলতে বন্দর থানার ওসির মোবাইলে একাধিকবার ফোন দিলেও সংযোগ পাওয়া যায়নি।