কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির উদ্যোগে ‘ম্যানেজারস মিট ও বিজনেস কনফারেন্স’ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার দেশজুড়ে কমিউনিটি ব্যাংকের ১৮টি শাখা ও ৫টি উপশাখার ব্যবস্থাপকরা দিনব্যাপী এ সম্মেলনে অংশ নেন।

সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কমিউনিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কিমিয়া সাদাত। অনুষ্ঠানে আসা ব্যবস্থাপকদের প্রাণবন্ত উপস্থিতিতে বক্তব্য দেন প্রধান অতিথি কিমিয়া সাদাত। এ সময় ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কর্মকর্তাদের বিভিন্ন দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য দেন এবং আগামী দিনের শৃঙ্খলা, উদ্ভাবনী ব্যাংকিং সেবা এবং গ্রাহকসেবার লক্ষ্যস্থির করে তা অর্জনের জন্য যার যার অবস্থান থেকে কাজ করার নির্দেশ দেন। আগত সহকর্মীদের ধন্যবাদ জানানোর পাশাপাশি ভবিষ্যতেও তাদের কাজের ধারাবাহিকতা যেন অব্যাহত থাকে সে ব্যাপারে নির্দেশনাও দেন কিমিয়া সাদাত।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- কমিউনিটি ব্যাংকের ডিএমডি ও চিফ ইনফরমেশন অফিসার মো.

আবদুল কাইয়ুম খান, কোম্পানি সেক্রেটারি সাইফুল আলম, ইন্টারনাল কন্ট্রোল অ্যান্ড কমপ্লায়েন্স (আইসিসি) হেড মোহাম্মদ খাইরুল আলম, চিফ অপারেটিং অফিসার (সিওও) সামসুল হক সুফিয়ানী, হেড অব করপোরেট ব্যাংকিং অ্যান্ড হেড অব বিজনেস মো. আরিফুল ইসলাম, হেড অব এডিসি অ্যান্ড হেড অব এমডিস কোঅর্ডিনেশন টিম মো. মামুন-উর রহমানসহ ব্যাংকের বিভিন্ন বিভাগের প্রধান ও অন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব যবস থ হ ড অব অন ষ ঠ

এছাড়াও পড়ুন:

সুদানে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের ওপর হামলার ঘটনায় জাতিসংঘ মহাসচিবের তীব্র নিন্দা

সুদানে জাতিসংঘের এক ঘাঁটিতে ড্রোন হামলায় ছয় শান্তিরক্ষী নিহত হয়েছেন। তাঁরা সবাই বাংলাদেশের নাগরিক। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।

জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ‘আমি সুদানের কাদুগলিতে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীর লজিস্টিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে নৃশংস ড্রোন হামলার তীব্র নিন্দা জানাই। জাতিসংঘের শান্তিরক্ষীদের লক্ষ্য করে হামলা আন্তর্জাতিক আইনের আওতায় যুদ্ধাপরাধ হিসেবে গণ্য হতে পারে।’

সুদানের কোরদোফান অঞ্চলের কাদুগলি শহরে অবস্থিত জাতিসংঘের ভবনটিতে গতকাল শনিবার এ হামলা হয়।

গুতেরেসের বিবৃতিতে বলা হয়, হামলায় আরও আট শান্তিরক্ষী আহত হয়েছেন। হতাহত ব্যক্তিদের সবাই বাংলাদেশের নাগরিক। তাঁরা ইউএন ইন্টারিম সিকিউরিটি ফোর্স ফর আবেইয়ের (ইউএনআইএসএফএ) হয়ে দায়িত্বরত ছিলেন।

গুতেরেস বলেন, ‘দক্ষিণ কোরদোফানে আজ (শনিবার) শান্তিরক্ষীদের ওপর যে হামলা হয়েছে, তা অগ্রহণযোগ্য। এর জন্য দায়ী ব্যক্তিদের জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে।’

হামলায় নিহত শান্তিরক্ষীদের সবাই বাংলাদেশি। তাঁরা ইউএন ইন্টারিম সিকিউরিটি ফোর্স ফর আবেইয়ের (ইউএনআইএসএফএ) হয়ে দায়িত্বরত ছিলেন। হামলায় আরও আট শান্তিরক্ষী আহত হয়েছেন।

সুদানের সেনাবাহিনী ওই হামলার দায় র‌্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) নামে দেশটির আধা সামরিক বাহিনীর ওপর চাপিয়েছে।

সুদানে দুই বছরের বেশি সময় ধরে গৃহযুদ্ধ চলছে। দেশটির সেনাবাহিনী ও আরএসএফের মধ্যে এ লড়াই চলছে।

আরএসএফ তাৎক্ষণিকভাবে হামলার বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।

সুদানের সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে বলেছে, এ হামলা বিদ্রোহী মিলিশিয়া এবং এর পেছনে যাঁরা আছেন, তাঁদের ধ্বংসাত্মক কৌশলের স্পষ্ট প্রকাশ।

সুদান সেনাবাহিনী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভিডিও পোস্ট করেছে। ভিডিওতে একটি স্থান থেকে ঘন কালো ধোঁয়া আকাশে উঠতে দেখা যাচ্ছে। তারা বলেছে, এটি জাতিসংঘের স্থাপনা।

বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী হতাহত হওয়ার এ ঘটনায় গভীর শোক ও উদ্বেগ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

দক্ষিণ কোরদোফানে আজ (শনিবার) শান্তিরক্ষীদের ওপর যে হামলা হয়েছে, তা অগ্রহণযোগ্য। এর জন্য দায়ী ব্যক্তিদের জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে।.আন্তোনিও গুতেরেস, জাতিসংঘ মহাসচিব

যেখানে হামলা হয়েছে, সেই তেলসমৃদ্ধ অঞ্চল আবেই নিয়ে সুদান ও দক্ষিণ সুদানের মধ্যে বিরোধ রয়েছে। ২০১১ সালে সুদান থেকে আলাদা হয়ে দক্ষিণ সুদান একটি স্বাধীন দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। এর পর থেকে সেখানে জাতিসংঘের শান্তি রক্ষা মিশন মোতায়েন রয়েছে।

দুই দেশের সীমান্তে অবস্থিত আবেই বিশেষ প্রশাসনিক মর্যাদার অঞ্চল।

সুদানের আবেই অঞ্চলে একটি সড়কে দায়িত্ব পালন করছেন জাতিসংঘের একজন শান্তিরক্ষী

সম্পর্কিত নিবন্ধ