‘জংলি’ শাকিবের ‘প্রিয়তমা’র রেকর্ড ভাঙতে পারল কি
Published: 29th, April 2025 GMT
দেশে অল্প কয়েকটি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছিল ‘জংলি’। যতই দিন যাচ্ছিল, ছবিটি নিয়ে দর্শক আগ্রহ বাড়ার খবরও মিলছিল। এর মধ্যে চতুর্থ সপ্তাহে এসে দেশের ২৭ প্রেক্ষাগৃহে প্রদর্শিত হচ্ছে ছবিটি। দেশের পাশাপাশি ২৫ এপ্রিল কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রের ৩৩ প্রেক্ষাগৃহেও মুক্তি পেয়েছে জংলি। প্রথম ৩ দিনে ছবিটি ৩৫ হাজার ডলার সমপরিমাণ টিকিট বিক্রি করেছে। ছবিটির পরিবেশক প্রতিষ্ঠান স্বপ্ন স্কেয়ারক্রোর সভাপতি এক ফেসবুক পোস্টে এ তথ্য জানিয়েছেন।
‘জংলি’ ছবির দৃশ্যে সিয়াম ও বুবলী.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
সড়ক আটকে দাঁড়াল হাতির পাল, ৪ ঘণ্টা যোগাযোগ বন্ধ
বিকেলে মোটরসাইকেল চালিয়ে জরুরি কাজে নন্নী এলাকায় যাচ্ছিলেন নালিতাবাড়ী উপজেলার নাকুগাঁও এলাকার শিপন। এ সময় মধুটিলা ইকোপার্ক সড়কে হাতির পাল দেখে ভয়ে মোটরসাইকেল ফেলে দৌড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যান তিনি। হাতির পালে শাবকসহ প্রায় ৪৫টি হাতি ছিল বলে জানান এই যুবক।
মঙ্গলবার বিকেল ৪টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ৪ ঘণ্টা সড়কে অবস্থান করে হাতির পাল। হইহুল্লোড়, ডাক-চিৎকার করেও হাতিগুলোকে সরাতে পারেননি এলাকাবাসী। রাত সাড়ে ৮টার দিকে পাহাড়ের জঙ্গলে চলে যায় হাতির পাল।
এলাকাবাসী জানান, তিন সপ্তাহ ধরে ৪০-৪৫টি বন্য হাতি গারো পাহাড়ের বুরুঙ্গা-কালাপানি পাহাড়ে অবস্থান করছে। যখন তখন খাদ্য ও পানির সন্ধানে হাতিগুলো নেমে আসছে লোকালয়ে। কয়েক দিনে হাতির পালটি বুরুঙ্গা-কালাপানি এলাকায় ভেদরকোনা পাহাড়ি গোপে কয়েকজন কৃষকের জমির আধাপাকা বোরো ধান খেয়ে ও পায়ে মাড়িয়ে বিনষ্ট করে। এ ছাড়া গত সোমবার সকালে ফসল রক্ষা করতে গিয়ে হাতির আক্রমণে আহত হয়েছেন বাতকুচি টিলাপাড়া গ্রামের জামশেদুল ইসলাম ছোটন (৩২)। তিনি এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
সরেজমিন দেখা যায়, এক পাল বন্যহাতি সীমান্ত সড়কের ঝোপঝাড়ে অবস্থান করছে। সাত-আটটি হাতি সড়কে দাঁড়িয়ে আছে। হাতিগুলোকে তাড়াতে অথবা দেখতে কয়েকশ উৎসুক মানুষের ভিড় জমে। কারও হাতে লাঠি, কারও হাতে ঢিল, কারও হাতে বাঁশি। সমস্বরে হৈচৈ করছে কিন্তু হাতিগুলো ঠাঁই দাঁড়িয়ে।
শেরপুরের বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের কর্মকর্তা শাহীন কবির জানান, সীমান্ত অঞ্চলে বন্যহাতি ও মানুষের সহাবস্থান নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করা হচ্ছে। একই সঙ্গে বন্যহাতির হানায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক, আহত ও নিহত পরিবারকে সরকার ক্ষতিপূরণ দিচ্ছে। তাই বন্যহাতিকে উত্ত্যক্ত না করার আহ্বান জানান তিনি।
রাত নামলেই লোকালয়ে হাতির পাল
কলমাকান্দা উপজেলার রংছাতি ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী জাগিরপাড়ায় ভারত থেকে আসা বন্যহাতির পালের তাণ্ডবে ফসলহানির ঘটনা ঘটেছে। গত সোমবার রাতে কাঁচা-পাকা ধানক্ষেতে প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী তাণ্ডব চালায় ১৫-২০টি হাতি। এ সময় ক্ষেতের ধান মাড়িয়ে ফেলার পাশাপাশি গাছপালা ভাঙচুর করে হাতির পাল। এতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে জাগিরপাড়া, হাতিবেড়, চন্দ্রডিঙ্গা, বেতগড়া গ্রামসহ আশপাশ এলাকায়।
স্থানীয়রা জানান, বন্যহাতির পাল দিনের বেলায় টিলায় থাকলেও রাত হলেই নামে লোকালয়ে। ক্ষেতের ফসল, ঘরবাড়ি ও গাছপালার ক্ষতি করে।
রংছাতি ইউপি চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান খান পাঠান জানান, সীমান্ত এলাকায় হাতির আক্রমণ এখন নিয়মিত সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতিবছর কোটি টাকার ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।