বাস্তবায়নাধীন মাতারবাড়ি ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াট আল্ট্রাসুপার ক্রিটিক্যাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের  বিদ্যুতের ট্যারিফ নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রতি কিলোওয়াট বিদ্যুতের দাম পড়বে ৮.৪৪৭৫ টাকা। এ কেন্দ্র থেকে ৩০ বছর মেয়াদে বিদ্যুৎ কিনতে মোট ব্যয় হবে ২ লাখ ১৭ হাজার ৪ কোটি ৪০ লাখ টাকা।

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) বিকেলে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থ উপদেষ্টা ড.

সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সভায় এ প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সভায় কমিটির সদস্য ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সূত্র জানিয়েছে, কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেডের (সিপিজিসিবিএল) এ প্রকল্পে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৩১ হাজার ৫৮৬ কোটি ৮৭ লাখ ৫৬ হাজার টাকা।

মাতারবাড়ি ৬০০¬X২ মেগাওয়াট আল্ট্রাসুপার ক্রিটিক্যাল কয়লাভিত্তিক বিদুৎকেন্দ্র ইতোমধ্যে বাণিজ্যিকভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করেছে। এ কেন্দ্র থেকে উৎপাদিত সম্পূর্ণ বিদ্যুৎ কিনবে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বাবিউবো)। বাবিউবোর বোর্ড সভার সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে এ কেন্দ্রে উৎপাদিত বিদ্যুৎ কেনার জন্য সিপিজিসিবিএল ও বাবিউবোর মধ্যে ৩০ বছর মেয়াদে স্বাক্ষরিতব্য পাওয়ার পারচেজ অ্যাগ্রিমেন্ট (পিপিএ) চূড়ান্ত করার লক্ষ্যে ট্যারিফ স্ট্রাকচার ও লেভেলাইজড ট্যারিফ কিলোওয়াট ঘণ্টা ৮.৪৪৭৫ টাকায় কেনার চুক্তি সম্পাদনের প্রস্তাব উপস্থাপন করা হলে কমিটি তাতে অনুমোদন দিয়েছে।

ট্যারিফ ভিত্তিতে বিদ্যুৎ কেনা হলে প্রতি বছর প্রায় ৭ হাজার ২৩৩ কোটি ৪৮ লাখ টাকা হিসাবে ৩০ বছর মেয়াদে সিপিজিসিবিএল-কে আনুমানিক ২ লাখ ১৭ হাজার ৪ কোটি ৪০ লাখ টাকা পরিশোধ করতে হবে।

বর্তমান ট্যারিফ কিলোওয়াট ঘণ্টা ৮.৪৪৭৫ টাকা। প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর শেষে চূড়ান্ত ব্যয় হিসাব করে পুনরায় ট্যারিফ নির্ধারণ করা হবে।

সিপিজিসিবিএল সরকারি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান। এর উৎপাদিত বিদ্যুৎ থেকে যে পরিমাণ লাভ হবে, তা সরকারের লাভ হিসেবে বিবেচিত হবে। 

প্রথম সংশোধিত ডিপিপি একনেকে অনুমোদিত হয় ২০২১ সালের  ২৩ নভম্বর। প্রকল্পের মেয়াদ ২০১৪ সালের ১ জুলাই থেকে ২০২৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত।

প্রকল্পটি বাংলাদেশ সরকার ও সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন এবং জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থার (জাইকা) ঋণে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জাপানের সুমিতোমো কর্পোরেশন, তোশিবা কর্পোরেশন ও আইএইচআই কর্পোরেশন।

ঢাকা/হাসনাত/রফিক

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স প জ স ব এল প রকল প অন ম দ সরক র উৎপ দ

এছাড়াও পড়ুন:

আনচেলত্তি ব্রাজিলের ডাগ আউটেই, চুক্তি চূড়ান্ত সই বাকি

ব্রাজিল জাতীয় ফুটবল দলের পরবর্তী কোচ হিসেবে দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন কার্লো আনচেলত্তি। ইতালিয়ান বস চুক্তির বিষয়ে সম্মত হয়েছেন। শুধু সই করা বাকি। আলোচনার সঙ্গে সম্পৃক্ত সূত্রের বরাত দিয়ে স্প্যানিশ সংবাদ মাধ্যম মার্কা এই খবর দিয়েছে। 

কবে দায়িত্ব নেবেন : ব্রাজিল ফুটবল কনফেডারেশন (সিবিএফ) আগেই নিশ্চিত করেছে, ক্লাব বিশ্বকাপ পর্যন্ত অপেক্ষা করবে না তারা। যা করার জুনের আগেই করতে হবে। কার্লো আনচেলত্তি ওই শর্তে রাজি হয়েছেন। তিনি ২৫ মে রিয়াল মাদ্রিদের শেষ লিগ ম্যাচের পর ব্রাজিলের উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন। 

চুক্তি ২০২৬ বিশ্বকাপ পর্যন্ত, তবে... : সেলেসাওদের ডাগ আউটে ইকুয়েডরের বিপক্ষে ৫ জুনের ম্যাচ দিয়ে অভিষেক হতে যাচ্ছে সাবেক বায়ার্ন মিউনিখ, এসি মিলান, চেলসি ও পিএসজির কোচ ডন কার্লোর। সিবিএফের সঙ্গে ২০২৬ বিশ্বকাপ পর্যন্ত অর্থাৎ এক বছরের জন্য চুক্তি করবেন তিনি। তবে চুক্তি পক্ষে ২০৩০ বিশ্বকাপ পর্যন্ত সেলেসাওদের কোচ হওয়ার ঐচ্ছিক শর্ত থাকবে। 

নিরব চুক্তি, রাজকীয় বিদায় : ব্রাজিলের সঙ্গে নিরবেই চুক্তি করতে হচ্ছে কার্লো আনচেলত্তির। কারণ এক দলের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ থেকে অন্য দলের কোচ হিসেবে চুত্তিপত্রে সই করার নিয়ম নেই। সংবাদ মাধ্যমের মতে, ৫ ও ৯ জুনের ব্রাজিলের বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচের জন্য দল ঘোষণার ক্ষেত্রেও আনচেলত্তি মতামত দেবেন। রিয়ালে তিনি চলতি মৌসুমে কিছুই না জিতলেও লস ব্লাঙ্কোসদের পক্ষ থেকে তাকে রাজসীক বিদায় দেওয়া হবে বলে দাবি করেছে মার্কা।

কোচ নিয়ে দোটানায় রিয়াল : কার্লো আনচেলত্তি চাকরি ছাড়লে তার জায়গায় রিয়াল মাদ্রিদের সাবেক ফুটবলার ও বায়ার লেভারকুসেনের কোচ জাবি আলোনসো দায়িত্ব নেবেন। রিয়াল ও আলোনসো এ বিষয়ে সম্মত হলেও আছে জটিলতা। আলোনসো ক্লাব বিশ্বকাপের আগে দায়িত্ব নিতে পারবেন না। সেক্ষেত্রে জুনের ক্লাব বিশ্বকাপে রিয়াল মাদ্রিদের অন্তবর্তীকালীন কোচ হতে পারেন সান্তিয়াগো সোলারি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ঢাবির ৪০ শতাংশ শিক্ষক আন্তর্জাতিক মানের: উপাচার্য
  • আনচেলত্তি ব্রাজিলের ডাগ আউটেই, চুক্তি চূড়ান্ত সই বাকি
  • ৩০ বছরে ব্যয় হবে ২ লাখ ১৭ হাজার ৪ কোটি টাকা