ধামরাইয়ে চালক-হেলপারকে মারধর করে তেলবাহী ট্রাক ছিনতাই
Published: 29th, April 2025 GMT
ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে চালক-হেলপারকে মারধর করে ২১ লাখ টাকার পামওয়েলসহ একটি ট্রাক ছিনতাই করেছে দুর্বৃত্তরা বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সোমবার (২৮ এপ্রিল) মধ্যরাতে ঢাকার ধামরাই উপজেলার সুতিপাড়া ইউনিয়নের বালিথা এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। ভুক্তভোগীরা মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) ধামরাই থানায় মামলা করেছেন।
ভুক্তভোগীরা হলেন- পাবনার সুজানগর থানার সুজানগর মানিকদী এলাকার বাসিন্দা ও ট্রাক চালক শ্যামল কুমার বিশ্বাস (৫৫) ও পাবনার কৃষ্ণপুর এলাকার বাসিন্দা ও ট্রাকটির হেলপার মাসুম (৫০)।
আরো পড়ুন:
সিরাজগঞ্জে সহপাঠীদের মারধরে আহত এসএসসি পরীক্ষার্থীর মৃত্যু
রিকশায় ছাত্রলীগ নেতাকে পায়ের নিচে ফেলে নির্যাতনের অভিযোগ
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত এক বছর ধরে পাবনার মায়া নামে একটি প্রতিষ্ঠানের ছয় চাকা বিশিষ্ট আন্তঃজেলা ট্রাক চালাচ্ছেন শ্যামল কুমার বিশ্বাস। সোমবার বিকেল ৩টার দিকে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার কামাল অয়েল মিলস লিমিটেড থেকে ১৪.
রাত দেড়টার দিকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের বালিথা এলাকায় পৌঁছালে পিকআপ ভ্যানে আসা চারজন দুর্বৃত্ত তাদের ট্রাকটিকে ব্যারিকেড দেয়। দুর্বৃত্তরা তেলবাহী ট্রাক থেকে চালক ও হেলপারকে টেনেহিঁচড়ে নিচে নামায় এবং চাকু দিয়ে ট্রাক চালকের মাথায় ও হেলপারের পিঠে জখম করে।
দুর্বৃত্তরা ভয়ভীতি দেখিয়ে ট্রাক চালক ও হেলপারের হাত-পা ও মুখ বেঁধে ফেলে। তাদের দুইটি ফোন ছিনিয়ে নেয়। তাদের পিকআপ ভ্যানে উঠিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরিয়ে উপজেলার জয়পুরা এলাকায় নিয়ে যায়। সেখানে রাস্তার পাশের নিচু স্থানে থাকা একটি কলাগাছের সঙ্গে তাদের বেঁধে রেখে তেলবাহী ট্রাক নিয়ে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। পরে ভুক্তভোগীরা বাঁধন খুলে পার্শ্ববর্তী একটি হোটেলে গিয়ে লোকজনকে ঘটনাটি জানান। জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯ এ ফোন করলে পুলিশ ভুক্তভোগীদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
ধামরাই থানার ওসি মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, “ট্রাক চুরির ঘটনায় মামলা নেওয়া হয়েছে। একাধিক টিম অভিযান পরিচালনা করছে।”
ঢাকা/সাব্বির/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম রধর ছ নত ই প বন র
এছাড়াও পড়ুন:
রাজশাহীর উন্নয়নে ২ হাজার কোটি টাকার সুকুকের নিলাম ১৯ মে
সরকারের ২ হাজার কোটি টাকার সুকুকের নিলামের জন্য ১৯ মে দিন ধার্য করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক, যা তাদের প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হবে।
সুকুকটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘আরডিআইআরডব্লিউএসপি সোসিও ইকোনমিক ডেভলাপমেন্ট সুকুক’, যার মেয়াদ ধরা হয়েছে সাত বছর।
এই সুকুকের বিনিয়োগের অর্থ দিয়ে রাজশাহী বিভাগের উপজেলা ও ইউনিয়নের সড়ক প্রশস্ত ও শক্তিশালী করা হবে বলে মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) এক বিজ্ঞপ্তিতে তুলে ধরেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
আরো পড়ুন:
নড়াইলে মোটরসাইকেলে বাসের ধাক্কা, শিশু নিহত
ফেনীতে বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর মৃত্যু
এদিন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের শরিয়াহ্ অ্যাডভাইজরি কমিটি এই সুকুক ইস্যুর চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে। সেই সঙ্গে নিলামের নতুন তারিখ নির্ধারণ করেছে।
এর আগের ৯ এপ্রিল এই সুকুক ইস্যুর সিদ্ধান্ত ছিল সরকারের।
সুকুক হলো শরিয়াহ্ ভিত্তিক সম্পদের বিপরীতে রাষ্ট্রীয় সুরক্ষা ব্যবস্থা, যেখানে সাধারণ বন্ডের মতো সুদ দিতে হয় না। বরং সম্পদ থেকে আসা আয়ের ভাগ দেওয়ার শর্তে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এটি ইস্যু করে থাকে।
বাংলাদেশে সরকার ও কর্পোরেশনগুলো অবকাঠামো প্রকল্পের তহবিল গঠনের জন্য এই ধরনের সুকুক ইস্যু করে থাকে।
রাজশাহী বিভাগের অবকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য ঘোষিত সুকুকের প্রোসপেক্টাস অনুযায়ী, নিলামের মাধ্যমে ২ হাজার কোটি টাকা অভিহিত মূল্যের এই সুকুক ইজারা পদ্ধতিতে ইস্যু করা হবে। এর মেয়াদ উত্তীর্ণের সময় ধরা হয়েছে ২০৩২ সালের ২০ মে। এর বিনিয়োগের বিপরীতে ছয় মাস অন্তর বিনিয়োগকারীদের বার্ষিক ১০ দশমিক ৫০ শতাংশ হারে ভাড়া পরিশোধ করা হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে যে সব ব্যাংক ও ফাইন্যান্স কোম্পারি চলতি বা আল-ওয়াদিয়াহ্ চলতি হিসাব রয়েছে তারা নিলামে অংশ নিতে পারবে।
দেশি-বিদেশি ব্যক্তিপর্যায়ের বিনিয়োগকারীসহ বীমা কোম্পানি, প্রভিডেন্ট ফান্ড ও ডিপোজিট ইন্স্যুরেন্স ফান্ডও অংশ নিতে পারবে নিলামে।
বিনিয়োগকারীরা ১০ হাজার টাকার গুণিতক পরিমাণে সুকুক কেনার জন্য ১৮ মে সকাল ১০টা থেকে ১৯ মে দুপুর ১২টা ৩০ মিনিটের মধ্যে নিলাম-নোটিশে বর্ণিত পদ্ধতিতে বিড দাখিল করতে পারবেন।
বিডে কৃতকার্য বিডারদের আবেদনের বিপরীতে বরাদ্দকৃত সুকুকের পরিমাণ নিলামের তারিখে ই-মেইলের মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে।
নিলাম-পরবর্তী কার্যদিবসে অর্থাৎ ২০ মে নিলামে অংশগ্রহণকারী ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে থাকা চলতি বা আল-ওয়াদিয়াহ্ চলতি হিসাবে বিকলন এবং সিকিউরিটিজ হিসাব আকলন করে এই লেনদেন সম্পন্ন করবে।
সুকুকটি সামাজিক উন্নয়নমূলক প্রকল্পের বিপরীতে ইস্যু করা হচ্ছে, যার মাধ্যমে রাজশাহী বিভাগের আটটি জেলার ৬৫টি উপজেলায় পল্লি এলাকায় সড়ক প্রশস্ত ও শক্তিশালী করে আধুনিক সুবিধার অবকাঠামো তৈরি করা হবে।
এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে রাজশাহীর পল্লি সড়কের ধারণক্ষমতা ও নিরাপত্তা বাড়বে; এতে করে কৃষি ও অকৃষি পণ্যের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করার সুযোগ হবে, কৃষি উৎপাদন ও বাজারজাতকরণ সুবিধা সম্প্রসারণ হবে। সেই সঙ্গে স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।
ঢাকা/এনএফ/রাসেল