আমি কারও নিয়ন্ত্রণে থাকার জন্য আসিনি, কেন বললেন বাঁধন
Published: 29th, April 2025 GMT
ছাত্র আন্দোলনের শুরু থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের পাশাপাশি রাজপথেও সরব ছিলেন অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন। এরপর কয়েক মাস নিজেকে আড়াল করে নিয়েছিলেন। তবে আবারও সামাজিক মাধ্যমে সরব হয়েছেন তিনি। অভিনেতা ইরেশ যাকেরের বিরুদ্ধে হওয়া হত্যা মামলার ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়াও জানিয়েছেন এই অভিনেত্রী।
মঙ্গলবার সকালে এক ফেসবুক পোস্টে বাঁধন জানান, কারও প্রশংসা কিংবা স্বীকৃতির প্রয়োজন নেই তার। যে যা-ই বলুক, নিজের অবস্থানে অটল থাকেন তিনি।
আজমেরী হক বাঁধন লিখেছেন, ‘আমি এখানে কারও নিয়ন্ত্রণে থাকার জন্য আসিনি। আমার জীবন, আমার নিয়ম-আমি কী করব, কীভাবে বাঁচব, আর কী হব, তা একমাত্র আমিই ঠিক করি। আমার পথ আমি নিজেই বেছে নিই, আমার সিদ্ধান্ত আমার নিজের।’
তিনি আরও লিখেছেন, ‘কারও অনুমতি, প্রশংসা কিংবা স্বীকৃতির প্রয়োজন নেই আমার। আমি শুনি যখন চাই, করি যখন মন চায়, আর যে যা-ই বলুক, নিজের অবস্থানে অটল থাকি। আমাকে নিয়ন্ত্রণ করবে? কখনও না, কোনোদিন না।’
এর আগে সোমবার ইরেশ যাকেরের বিরুদ্ধে মামলার প্রতিবাদ জানিয়ে বাঁধন লেখেন, ‘ইরেশ যাকের সবসময় সত্যের পক্ষে ছিলেন। সংগ্রামের প্রতিটি মুহূর্তে তিনি আমাদের পাশে ছিলেন, ছাত্রদের পাশে ছিলেন। ৪ আগস্ট কারফিউ ঘোষণার সময় আমরা একসঙ্গে শাহবাগে ছিলাম। সেই রাতে গণভবন যাওয়ার চাপ ছিল তীব্র। কিন্তু ইরেশ যাকের প্রত্যাখ্যান করেছেন। তিনি চাপের মুখে না গিয়ে সত্যের সঙ্গে দাঁড়ানোর কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আজ তাকে হেনস্তা হতে দেখা হৃদয়বিদারক।’
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ভারতের সশস্ত্র বাহিনীকে অভিযানের পূর্ণ স্বাধীনতা দিলেন মোদি
কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলা ঘিরে প্রতিবেশী দুই দেশ ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা বেড়েই চলেছে। একের পর এক হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন দুই দেশের নেতারা। কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখায় (এলওসি) দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে টানা পাঁচ রাতে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এরই মধ্যে আজ মঙ্গলবার সেখানে ভারতের একটি ‘নজরদারি ড্রোন’ ভূপাতিত করার দাবি করেছে পাকিস্তান।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আজ তিন বাহিনীর প্রধান, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। ভারতের সরকারি সূত্রের বরাত দিয়ে দেশটির সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দু জানিয়েছে, আজ রাতে ওই বৈঠকে ভারতের সশস্ত্র বাহিনীর সক্ষমতার ওপর পূর্ণ আস্থা জানিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেছেন, ভারতের পক্ষ থেকে জবাব দেওয়ার সময়, লক্ষ্যবস্তু নির্ধারণ এবং কোন প্রক্রিয়ায় জবাব দেওয়া হবে, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে সশস্ত্র বাহিনীর ‘পূর্ণ স্বাধীনতা’ রয়েছে।
পারমাণবিক শক্তিধর দুই দেশের মধ্যে নতুন করে এই উত্তেজনা শুরু হয় ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পেহেলগামে পর্যটকদের ওপর বন্দুকধারীদের হামলার পর। ওই হামলায় ২৬ জন নিহত হন। নৃশংস এই হামলার পেছনে পাকিস্তানের হাত রয়েছে বলে দাবি করেছে নয়াদিল্লি। হামলায় জড়িত সন্দেহভাজন তিনজনের মধ্যে দুজন পাকিস্তানি বলেও দাবি তাদের। তবে এসব অভিযোগ নাকচ করেছে পাকিস্তান।
কাশ্মীরের দক্ষিণে অনন্তনাগ জেলার হাপাতনার এলাকায় ভারতের নিরাপত্তা বাহিনীর দুই সদস্য