সাদমান–এনামুলে দারুণ শুরুর পর শেষ সেশনে পুরোনো ‘রোগ’
Published: 29th, April 2025 GMT
সাগরিকার সূর্য যত হেলে পড়ল পশ্চিমে, ততই যেন অমনোযোগী হয়ে উঠলেন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। নয়তো মাসাকেসার বলে অধিনায়ক নাজমুল হোসেনের শর্ট মিডউইকেটে তুলে দেওয়া ক্যাচ কিংবা মুশফিকুর রহিমের তাড়াহুড়ো করে রান নিতে গিয়ে রান আউট হওয়ার ব্যাখ্যা কী?
উত্তরটা হয়তো দিতে পারবেন না তাঁরাও। চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে রঙিন একটা দিনের শুরু যে শেষে এমন হতাশার সাদা–কালো হয়ে গেল, সেই দায় তো ব্যাটিংয়ের পুরোনো রোগের নতুন করে আর্বিভাবে। অথচ সাদমান ইসলাম এবং এনামুল হকের বেঁধে দেওয়া ছন্দে এগিয়ে যেতে পারলে দিনটা শেষ হওয়ার কথা ছিল দাপট দেখিয়ে।
আরও পড়ুনচট্টগ্রাম টেস্ট: শেষ বিকেলে ব্যাটিং ধস বাংলাদেশের২৮ এপ্রিল ২০২৫চেনা ছন্দটা সাদমান খুঁজে পান না সবসময়— অথবা তাঁর ঢিমেতালের ব্যাটিং ভালো লাগে না কারও কারও। কিন্তু আজ সাদমান যখন ড্রেসিংরুমে ফেরার পথ ধরলেন, তখন তাঁর পিঠ চাপড়ে দেন সতীর্থরা। দর্শকদের অভিবাদনেও ভেসেছেন। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করেছেন, নির্বিষ বোলিংয়ের বিপক্ষে খুব বড় কিছু নয় বটে, কিন্তু ১৬ চার ও ১ ছক্কায় তাঁর ১২০ রানের ইনিংসটি অবশ্যই স্বস্তির।
এনামুল হককে নিয়ে সাদমান যা করেছেন, এমন একটা কিছুর জন্য বাংলাদেশের অপেক্ষা ছিল দীর্ঘ ২৮ মাসের। কতবার বদলে গেছে সঙ্গী, কখনো পুরো জুটিই— কিন্তু উদ্বোধনী জুটিতে শতরানের দেখা পাওয়া যাচ্ছিল না কিছুতেই। তিন বছর পর টেস্ট খেলতে নামা এনামুল হককে নিয়ে কাজটা আজ করেছেন সাদমান। ৩২ ইনিংস পর সেঞ্চুরি পেরোনো উদ্বোধনী জুটিটি থেমেছে ১১৮ রানে, তবে তাঁর আগে তাঁরা গড়ে দিয়ে গেছেন জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের শেষ টেস্টের দ্বিতীয় দিন শেষে ৩ উইকেট হাতে রেখে ৬৩ রানে এগিয়ে থাকার ভিত। দিনের শেষ সেশনে এসে পুরোনো সেই হতশ্রী ব্যাটিংয়ে ৪ উইকেট না হারালে যা আরেকটু উজ্জ্বলই মনে হতো। ৭ উইকেটে ২৯১ রান তুলে দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ করেছে বাংলাদেশ।
সেঞ্চুরি তুলে নেন সাদমান.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
‘মানবিক করিডর’ প্রদানের বিষয়ে সতর্কতা প্রয়োজন: জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল
জাতিসংঘ প্রস্তাবিত বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে রাখাইনে সহায়তার জন্য ‘মানবিক করিডর’ প্রদানের বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে সতর্কতা গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল।
আজ মঙ্গলবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সভাপতি বদরুদ্দীন উমর ও সম্পাদক ফয়জুল হাকিম এ আহ্বান জানান।
বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় বলেন, দক্ষিণ এশিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, চীন, ভারতসহ সাম্রাজ্যবাদী রাষ্ট্রগুলোর ভূরাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের সংঘাত এড়িয়ে যেতে হলে মানবিক করিডর প্রদানের বিষয়ে সতর্কতা প্রয়োজন।
বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করা অন্তর্বর্তী সরকারের কর্তব্য উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, এমন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত গ্রহণ করতে হবে।
জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা প্রদানের প্রস্তাব কোন শর্তে অন্তর্বর্তী সরকার বিবেচনা করেছে, প্রশ্ন তুলে বিবৃতিতে বলা হয়, এ শর্ত সম্পর্কে জনগণকে জানাতে হবে। জনগণকে অবহিত না করে জাতীয় নিরাপত্তা প্রশ্নে সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না।
বিবৃতিতে জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল জানায়, রাখাইনে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের আগে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের দৃঢ় অঙ্গীকার আদায়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।