সিএনজি-মোটরসাইকেল মুখোমুখি সংঘর্ষে প্রাণ গেল দুই যুবকের
Published: 29th, April 2025 GMT
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর রাধিকা সড়কে সিএনজি ও মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুই যুবক নিহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন উপজেলার বিদ্যাকটু ইউনিয়ন সেমন্তঘর গ্রামের আহাদ মিয়ার ছেলে পারভেজ (২২) ও শিবপুর গ্রামের মোস্তফা মিয়ার ছেলে উজ্জ্বল (২১)।
মঙ্গলবার উপজেলার শিবপুর ইউনিয়ন ধনাশী নামক স্থানে এ মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, মঙ্গলবার দুপুরে রাধিকা সড়কের ধনাশী নামক স্থানে দ্রুতগামী একটি মোটরসাইকেলের সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি যাত্রীবাহী অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে মোটরসাইকেলের চালক উজ্জ্বলসহ অটোরিকশার আরও ৪-৫ যাত্রী গুরুতর আহত হন। পরে লোকজন গুরুতর আহত উজ্জ্বলকে উদ্ধার করে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। গুরুতর আহত অবস্থায় পারভেজকে উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকেও মৃত ঘোষণা করেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক শহীদুল ইসলাম এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, নবীনগরের সঙ্গে জেলা সদরে যাতায়াতের জন্য প্রায় ৪০০ কোটি টাকা ব্যয়ে দুই বছর আগে নির্মিত এই রাধিকা সড়কটি চালু হওয়ার পর থেকে প্রায় প্রতি মাসেই একাধিক ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেই চলছে। এতে মৃতের সংখ্যা দিনদিন বাড়লেও স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে এর প্রতিকারে তেমন কোনো উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না।
নবীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রাজ্জাক বলেন, দুর্ঘটনায় দুইজন মারা যাওয়ার খবর পেয়েছি। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
নবীনগরের ইউএনও রাজীব চৌধুরী বলেন, সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে আমরা শিগগিরই ওই সড়কে চলাচলরত যানবাহনের চালক ও যাত্রীদের নিয়ে জনসচেতনতামূলক একাধিক উঠান বৈঠক করার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: সড়ক দ র ঘটন ব র হ মণব ড় য় দ র ঘটন উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
বিএসইসির ২২ কর্মকর্তাকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত
মামলার আসামিসহ ২২ জন কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এ সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে জানা গেছে। বরখাস্ত করা কর্মকর্তাদের মধ্যে ১৪ জন মামলার আসামি। তবে বিএসইসি এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো আদেশ জারি করেনি। বুধবার (৩০ এপ্রিল) অফিস আদেশ জারি করা হতে পারে বলে জানা গেছে।
মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) কমিশন সভায় কর্মকর্তাদের এ বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিএসইসির একাধিক কর্মকর্তা এ বিষয়টি রাইজিংবিডি ডটকমকে জানিয়েছেন।
তবে এ বিষয়ে জানতে বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ ও মুখপাত্র আবুল কালামের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তারা ফোন ধরেননি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিএসইসির একজন কর্মকর্তা রাইজিংবিডি ডটকমকে বলেন, “শুনেছি ২২ বা ২৩ জনকে বরখাস্ত করা হয়েছে। তাদের মধ্যে মামলার আসামিরাও রয়েছেন। তবে এ বিষয়ে আগে থেকে কোনো এজেন্ডা ঠিক করা হয়নি।”
বিএসইসির আরেক কর্মকর্তা রাইজিংবিডি ডটকমকে বলেন, “আজকের কমিশন সভায় কর্মকর্তাদের বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে শুনেছি। তবে এখন পর্যন্ত কোনো আফিস আদেশ জারি করা হয়নি। বুধবার এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করা হতে পারে।”
গত ৪ মার্চ বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক সাইফুর রহমানকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠায় খন্দকার রাশেদ মাকসুদের কমিশন। এতে বিএসইসির কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মধ্যে চরম ক্ষোভ তৈরি হয়। ওই ঘটনার জেরে ৫ মার্চ বিএসইসির চেয়ারম্যান ও কমিশনারদের অবরুদ্ধ করে দাবি আদায়ের চেষ্টা করেন সেখানকার কর্মকর্তা–কর্মচারীরা। একপর্যায়ে তারা কমিশনের মূল ফটকে তালা দেন; সিসি ক্যামেরা, ওয়াই-ফাই, লিফট বন্ধ করে দেন এবং বৈদ্যুতিক সংযোগ বন্ধ করে মারাত্মক অরাজকতা ও ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে গুরুতর জখমের প্রচেষ্টা করেন। পরে সেনাবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তাদের উদ্ধার করেন।
তবে পরের দিন ৬ মার্চ সেনা ও কোস্টগার্ড সদস্যদের নিরাপত্তায় মধ্যে দিয়ে কার্যালয়ে প্রবেশ করেন বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের নেতৃত্বাধীন কমিশন। ওই দিন বিকেল ৫টায় রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় বিএসইসির ১৬ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা করেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের গানম্যান (পুলিশ সদস্য) মো. আশিকুর রহমান।
মামলার আসামিরা হলেন-বিএসইসির সাবেক নির্বাহী পরিচালক সাইফুর রহমান, নির্বাহী পরিচালক মাহবুবুল আলম ও রেজাউল করিম, পরিচালক আবু রায়হান মো. মোহতাছিন বিল্লা, অতিরিক্ত পরিচালক নজরুল ইসলাম, যুগ্ম পরিচালক রাশেদুল ইসলাম, উপ-পরিচালক বনী ইয়ামিন, আল ইসলাম, শহিদুল ইসলাম ও তৌহিদুল ইসলাম, সহকারী পরিচালক জনি হোসেন, রায়হান কবীর, সাজ্জাদ হোসেন ও আব্দুল বাতেন, লাইব্রেরিয়ান মো. সেলিম রেজা বাপ্পী এবং ব্যক্তিগত কর্মকর্তা আবু ইউসুফ।
তবে এর মধ্যে সাইফুর রহমানকে আগেই অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। আরেক নির্বাহী পরিচালক মাহবুবুল আলম পদত্যাগ করেছেন। বাকি ১৪ জন কর্মকর্তা জামিন নিয়ে কাজে ফিরেছিলেন। গত ২১ এপ্রিল দ্বিতীয় দফায় সেই মামলায় কর্মকর্তাদের জামিনও হয়েছে। কিন্তু এরই মধ্যে ১৪ জনসহ আরো ৮ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করেছেন রাশেদ মাকসুদের কমিশন।
ঢাকা/এনটি/এসবি