কেবল বাংলা নববর্ষই নয়, যেকোনো উৎসবকে রাজনৈতিক প্রভাবের ঊর্ধ্বে রাখার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম। 

মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে "বাংলা নববর্ষ: ইতিহাস, সংস্কৃতি ও উত্তরাধিকার" শীর্ষক এক সেমিনারে বাংলা নববর্ষের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট, সাংস্কৃতিক তাৎপর্য ও সামাজিক প্রভাব নিয়ে আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ অনুরোধ করেন।

সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম বলেন, কেবল বাংলা নববর্ষই নয়, যেকোনো উৎসবকে রাজনৈতিক প্রভাবের ঊর্ধ্বে রাখা জরুরি। রাজনীতির সঙ্গে রাষ্ট্র ও সমাজের সম্পর্ক সঠিকভাবে গড়ে উঠলে কোনো উৎসবই নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত হয় না। মানুষের দৈনন্দিন জীবনে সাংস্কৃতিক চিন্তা-চেতনার যে স্বকীয়তা রয়েছে, তা অক্ষুণ্ন রাখাই আমাদের প্রধান লক্ষ্য হওয়া উচিত। বুদ্ধিভিত্তিক ও সচেতন উদ্যোগের মাধ্যমে ঐতিহ্যকে টিকিয়ে রাখা সম্ভব। বাংলা নববর্ষের প্রতি জনগণের গভীর অনুরাগ রয়েছে, তাই এটিকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত রাখতে হবে।

সেমিনারে আইআরডিসি’র সাধারণ সম্পাদক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড.

মুহাম্মদ তাজাম্মুল হকের সঞ্চালনায় সভাপতিত্ব করেন 
আইআরডিসি-এর সভাপতি ও ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বিলাল হোসাইন।

সেমিনারে ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. নাছির আহমেদ তার মূল প্রবন্ধে বাংলা নববর্ষের ঐতিহাসিক বিবর্তন এবং নববর্ষ উদযাপনের ঐতিহ্য ও উত্তরাধিকার নিয়ে দুই পর্বে বিশদ আলোচনা করেন। তিনি বলেন, বাংলা নববর্ষ কেবল বাঙালিদের উৎসব নয়, বরং এটি ধর্ম, গোত্র ও সম্প্রদায় নির্বিশেষে সকল বাংলাদেশির একটি সমন্বিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এছাড়া, বাংলা সনের উৎপত্তি, এর অর্থনৈতিক প্রাসঙ্গিকতা এবং ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক মাত্রা নিয়েও তিনি গভীরভাবে আলোকপাত করেন।

এছাড়াও ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. রইছ উদ্‌দীন এবং বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. ফজলে এলাহি চৌধুরী প্যানেল আলোচক হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেন। তাঁরা বাংলা নববর্ষের আন্তর্জাতিক ও  সামাজিক সংহতি এবং সাংস্কৃতিক বিকাশে এর ভূমিকা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ মতামত তুলে ধরেন। একইসাথে বাংলা নববর্ষের বহুমাত্রিক তাৎপর্য ও এর প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে গঠনমূলক আলোচনা করেন।

এসময় সেমিনারে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, গবেষক উপস্থিত ছিলেন।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: নববর ষ র ম হ ম মদ

এছাড়াও পড়ুন:

ফ্লোরিডায়  বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের  বর্ষবরণ 

যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের বোকা রাটন শহরে অবস্থিত ফ্লোরিডা আটলান্টিক ইউনিভার্সিটিতে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের ঈদ পুনর্মিলনী ও বাংলা নববর্ষ উৎযাপিত হয়েছে।  গত ৫ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্ট ইউনিয়ন সেন্টারে ঈদ পুনর্মিলনী ও বাংলা নববর্ষ উৎযাপন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশ স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের ফ্লোরিডা আটলান্টিক ইউনিভার্সিটির (বিএসএ-এফএইউ) ব্যানারে আয়োজিত নবীনবরণ অনুষ্ঠানটি নতুন ও পুরোনো বাংলাদেশি শিক্ষার্থী ও তাদের পরিবারের সদস্যদের মিলনমেলায় পরিণত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মিয়ামির পররাষ্ট্র বিভাগের কনস্যুলার জেনারেল সেহেলি সাবরিন। ঈদ পুনর্মিলনী ও বাংলা নববর্ষ উৎযাপন অনুষ্ঠানে ফ্লোরিডা আটলান্টিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও বাংলাদেশ স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের উপদেষ্টা হাসান মাহফুজ, অধ্যাপক খালেদ সোবহান, সহকারী অধ্যাপক আবুবকর সিদ্দিক শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। অনুষ্ঠানটি শুরু হয় বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত পরিবেশনার মাধ্যমে। এরপর আমন্ত্রিত সব অতিথিদের উপস্থিতিতে স্প্রিং ২০২৫ শিক্ষাবর্ষে  আগত নবীন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সবাইকে পরিচয় করিয়ে দেওয়া ও স্বাগত উপহার প্রদান করা হয়। এ ছাড়া ফল ২০২৪ এবং স্প্রিং ২০২৫ সেশনে মাস্টার্স সম্পন্ন করা শিক্ষার্থীদের বিদায় সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। একই অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের ফ্লোরিডা আটলান্টিক ইউনিভার্সিটির 
(বিএসএ-এফএইউ) বিদায়ী উপদেষ্টা অধ্যাপক হাসান মাহফুজ ২০২৫-২০২৬ শিক্ষাবর্ষের জন্য নতুন উপদেষ্টা হিসেবে অধ্যাপক খালেদ সোবহান, সভাপতি পদে বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি শিক্ষার্থী মো. নিয়ামত আলী, সহসভাপতি মো. আহনাফ আকিফ, কোষাধ্যক্ষ মোহাম্মাদ খান এবং কমিউনিকেশন অফিসার হিসেবে ফাহমিদা জারিনের নাম ঘোষণা করেন।  অনুষ্ঠানে বাংলাদেশি ঐতিহ্যবাহী খাবার দিয়ে মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করা হয়েছিল। খাবারের পর মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় বাংলা কবিতা, সংগীত, মঞ্চনাটকসহ দেশি বিনোদন উপভোগ করেন উপস্থিত দর্শকরা। v

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • দৃশ্যপটে ‘আনন্দ’, মঙ্গল কোথায়
  • প্রথম আলোর সম্পাদক-প্রকাশের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন, আদেশ ৪ মে
  • ফ্লোরিডায়  বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের  বর্ষবরণ