মোহামেডানকে হারিয়ে হ্যাটট্রিক শিরোপা আবাহনীর
Published: 29th, April 2025 GMT
কত নাটক, কূটকৌশল, এমনকি চাপ প্রয়োগের মাধ্যমে এক বছরের জন্য নিষেধাজ্ঞা স্থগিত করে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের বিপক্ষে খেলেছিলেন তাওহিদ হৃদয়। অথচ ভাগ্যের কী নির্মম পরিহাস, যে ম্যাচে তাকে সবচেয়ে বেশি দরকার ছিল, সেই শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে অধিনায়ক হৃদয়কে পেল না মোহামেডান। তার অনুপস্থিতির সুযোগ ভালো মতোই নিয়েছে আবাহনী। ৯.
মঙ্গলবার মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে শুরুতে ব্যাট করে ৭ উইকেটে ২৪০ রান তোলে মোহামেডান। ওপেনার রনি তালুকদার ৪৫ রান করেন। চারে নামা ফরহাদ হোসেন ৪২ রানের ইনিংস খেলেন। মোহামেডান ১২৪ রানে ৪ উইকেট হারায়। সেখান থেকে মাহমুদউল্লাহ ও আরিফুল ইসলাম ৯০ রানের জুটি গড়েন। তারা করে ৫০ রান তুলে আউট হন।
জবাবে ১০৮ রানে আবাহনীর ৪ উইকেট নিলেও জয়ের সুযোগ তৈরি করতে পারেনি মোহামেডান। পাঁচে নামা মোহাম্মদ মিঠুন হার না মানা ৬৬ ও অধিনায়ক মোসাদ্দেক ৬৫ বলে অপরাজিত ৭৮ রান করে দলকে জয় এনে দেন। তিনি ছয়টি চার ও পাঁচটি ছক্কা মারেন। এর আগে তিনে নামা জিসান আলম ৫৩ বলে ৫৫ রানের ইনিংস খেলেন।
এই ম্যাচের আগে ১৫ রাউন্ড শেষে ২৬ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলে শীর্ষে ছিল আবাহনী। সমান ম্যাচে ২৪ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে ছিল মোহামেডান। জিতেই ৪ পয়েন্টে এগিয়ে তাই ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগে চ্যাম্পিয়ন হয়ে গেল আবাহনী। মোহামেডান জিতলে দুই দলের পয়েন্ট সমান হতো। সেক্ষেত্রে মুখোমুখি লড়াইয়ে এগিয়ে থাকায় শিরোপা জিতত মোহামেডান।
শেষ হওয়া মৌসুমে আবাহনীর হেড কোচের দায়িত্ব পালন করেছেন জাতীয় দলের সাবেক টপ অর্ডার ব্যাটার হান্নান সরকার। তিনি আবাহনীর কোচের দায়িত্ব নেওয়ার আগে বিসিবির নির্বাচক প্যানেলের সদস্য ছিলেন। কিন্তু ওই চাকরি ছেড়ে কোচিংয়ে নাম লেখান তিনি। দায়িত্ব নেওয়ার প্রথম মৌসুমেই দলকে চ্যাম্পিয়ন করলেন হান্নান সরকার।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
বিএসইসির ২২ কর্মকর্তাকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত
মামলার আসামিসহ ২২ জন কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এ সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে জানা গেছে। বরখাস্ত করা কর্মকর্তাদের মধ্যে ১৪ জন মামলার আসামি। তবে বিএসইসি এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো আদেশ জারি করেনি। বুধবার (৩০ এপ্রিল) অফিস আদেশ জারি করা হতে পারে বলে জানা গেছে।
মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) কমিশন সভায় কর্মকর্তাদের এ বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিএসইসির একাধিক কর্মকর্তা এ বিষয়টি রাইজিংবিডি ডটকমকে জানিয়েছেন।
তবে এ বিষয়ে জানতে বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ ও মুখপাত্র আবুল কালামের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তারা ফোন ধরেননি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিএসইসির একজন কর্মকর্তা রাইজিংবিডি ডটকমকে বলেন, “শুনেছি ২২ বা ২৩ জনকে বরখাস্ত করা হয়েছে। তাদের মধ্যে মামলার আসামিরাও রয়েছেন। তবে এ বিষয়ে আগে থেকে কোনো এজেন্ডা ঠিক করা হয়নি।”
বিএসইসির আরেক কর্মকর্তা রাইজিংবিডি ডটকমকে বলেন, “আজকের কমিশন সভায় কর্মকর্তাদের বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে শুনেছি। তবে এখন পর্যন্ত কোনো আফিস আদেশ জারি করা হয়নি। বুধবার এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করা হতে পারে।”
গত ৪ মার্চ বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক সাইফুর রহমানকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠায় খন্দকার রাশেদ মাকসুদের কমিশন। এতে বিএসইসির কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মধ্যে চরম ক্ষোভ তৈরি হয়। ওই ঘটনার জেরে ৫ মার্চ বিএসইসির চেয়ারম্যান ও কমিশনারদের অবরুদ্ধ করে দাবি আদায়ের চেষ্টা করেন সেখানকার কর্মকর্তা–কর্মচারীরা। একপর্যায়ে তারা কমিশনের মূল ফটকে তালা দেন; সিসি ক্যামেরা, ওয়াই-ফাই, লিফট বন্ধ করে দেন এবং বৈদ্যুতিক সংযোগ বন্ধ করে মারাত্মক অরাজকতা ও ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে গুরুতর জখমের প্রচেষ্টা করেন। পরে সেনাবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তাদের উদ্ধার করেন।
তবে পরের দিন ৬ মার্চ সেনা ও কোস্টগার্ড সদস্যদের নিরাপত্তায় মধ্যে দিয়ে কার্যালয়ে প্রবেশ করেন বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের নেতৃত্বাধীন কমিশন। ওই দিন বিকেল ৫টায় রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় বিএসইসির ১৬ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা করেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের গানম্যান (পুলিশ সদস্য) মো. আশিকুর রহমান।
মামলার আসামিরা হলেন-বিএসইসির সাবেক নির্বাহী পরিচালক সাইফুর রহমান, নির্বাহী পরিচালক মাহবুবুল আলম ও রেজাউল করিম, পরিচালক আবু রায়হান মো. মোহতাছিন বিল্লা, অতিরিক্ত পরিচালক নজরুল ইসলাম, যুগ্ম পরিচালক রাশেদুল ইসলাম, উপ-পরিচালক বনী ইয়ামিন, আল ইসলাম, শহিদুল ইসলাম ও তৌহিদুল ইসলাম, সহকারী পরিচালক জনি হোসেন, রায়হান কবীর, সাজ্জাদ হোসেন ও আব্দুল বাতেন, লাইব্রেরিয়ান মো. সেলিম রেজা বাপ্পী এবং ব্যক্তিগত কর্মকর্তা আবু ইউসুফ।
তবে এর মধ্যে সাইফুর রহমানকে আগেই অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। আরেক নির্বাহী পরিচালক মাহবুবুল আলম পদত্যাগ করেছেন। বাকি ১৪ জন কর্মকর্তা জামিন নিয়ে কাজে ফিরেছিলেন। গত ২১ এপ্রিল দ্বিতীয় দফায় সেই মামলায় কর্মকর্তাদের জামিনও হয়েছে। কিন্তু এরই মধ্যে ১৪ জনসহ আরো ৮ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করেছেন রাশেদ মাকসুদের কমিশন।
ঢাকা/এনটি/এসবি