পুলিশের ওপর হামলা করে আটক ব্যক্তিকে ছিনিয়ে নিল জনতা, গ্রেপ্তার ৩
Published: 29th, April 2025 GMT
ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলায় পুলিশের ওপর হামলা করে আটক এক ব্যক্তিকে ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ সময় পাঁচ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। গ্রেপ্তার করা হয়েছে দুই নারীসহ তিনজনকে। গতকাল সোমবার রাতে উপজেলার মহামায়া ইউনিয়নের জয়নগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আহত ব্যক্তিরা হলেন ডিবির উপপরিদর্শক (এসআই) তানভীর মেহেদী, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) খোকন হোসেন ও রিংকু বড়ুয়া, কনস্টেবল জাহাঙ্গীর হোসেন ও মুজিবুর রহমান। তাঁদের ছাগলনাইয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। গ্রেপ্তার তিনজন হলেন জয়নাল আবদীন (২০), রুজিনা আক্তার (৩২) ও মোসাম্মৎ রূপধন (৪৮)। তাঁরা জয়নগর গ্রামেরই বাসিন্দা।
পুলিশ জানায়, রাতে ওই এলাকায় মোহাম্মদ আলমগীর নামের এক মাদক কারবারিকে ধরতে তারা অভিযান চালায়। আলমগীরকে আটক করা হলে স্থানীয় প্রায় অর্ধশত বাসিন্দা জড়ো হয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালান। একপর্যায়ে তাঁকে ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করেন।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মর্ম সিংহ ত্রিপুরা বলেন, এ ঘটনায় আহত এসআই তানভীর মেহেদী বাদী হয়ে ছাগলনাইয়া থানায় মামলা করেছেন। সেই মামলায় গ্রেপ্তার তিনজনকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
খুলনায় কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ১
খুলনা মহানগরীতে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী তিনজনকে আসামি করে মামলা করেছেন। পুলিশ মামলার প্রধান আসামি জ্যোতির বন্ধু হুমায়ুনকে গ্রেপ্তার করেছে।
মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) মামলা ও গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন খুলনা সদর থানার ওসি হাওলাদার সানোয়ার হুসাইন মাসুম।
তিনি বলেন, “ধর্ষণের ঘটনায় তিনজনকে আসামি করে থানায় মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় হুমায়ুন নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার হুমায়ুন প্রধান আসামি জ্যোতির বন্ধু। তিনি রূপসা ষ্ট্যান্ড রোডের বাসিন্দা আব্দুল মজিদের ছেলে।”
আরো পড়ুন:
কুড়িগ্রামে ছুরিকাঘাতে মসলা বিক্রেতা নিহত
৫১৭ মামলা প্রত্যাহারের সুপারিশ, তালিকা প্রকাশ করবে আইন মন্ত্রণালয়
ভুক্তভোগী কলেজ ছাত্রী ও মামলার বর্ণনা থেকে জানা যায়, খুলনা জেলার একটি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী তিনি। দুই মাস আগে খুলনা সিটি করপোরেশন মার্কেটে নগরীর সুলতান আহমেদ রোডের হুমায়ুন কবির হিমুর ছেলে জ্যোতির সঙ্গে তার পরিচয় হয়। এরপর তাদের মধ্যে প্রেমালাপ শুরু হয়। পরে তারা বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন।
জ্যোতির যে আগে বিয়ে আছে তা ওই কলেজ ছাত্রী জানতেন না। জ্যোতি তাকে বিয়ের প্রলোভন দেন। গত ২৬ এপ্রিল তাকে নগরীর রূপসা ষ্ট্যান্ড রোডে বন্ধু জাহিদের পাঁচতলা ভাড়াবাড়িতে ডেকে নেন জ্যোতি।
বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করেন জ্যোতি। এরপর জ্যোতি তাকে ফোন করে তার অপর দুই বন্ধুর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের জন্য চাপ দিতে থাকেন। রাজি না হওয়ায় ছাত্রীর সঙ্গে যোগযোগ বন্ধ করে দেন জ্যোতি। তাদের একান্ত সময় কাটানো মুহুর্তের কথা সবাইকে জানিয়ে দেওয়ার হুমকি দেন জ্যোতি।
গত সোমবার রাতে বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে তিনি জ্যোতির বাড়ি সুলতান আহমেদ রোডে যান। সেখানে গেলে জ্যোতি তাকে রাস্তার ওপর ফেলে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেন। পরবর্তীতে এমন দাবি নিয়ে বাড়ির সামনে এলে তাকে হত্যার হুমকি দেন জ্যোতি। পরে ভুক্তভোগী বিষয়টি পুলিশকে জানান। পুলিশ জ্যোতির বাড়িতে গিয়ে তাকে পাইনি। পরে পুলিশ রূপসা ষ্ট্যান্ডের ওই পাঁচতলা বাড়িতে অভিযান চালিয়ে হুমায়ুনকে গ্রেপ্তার করে।
ঢাকা/নূরুজ্জামান/মাসুদ