বলিউডের প্রভাবশালী অভিনেতাদের তালিকায় অনায়াসে জায়গা করে নেবেন পরেশ। বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের মিমের জগতে পরেশের জনপ্রিয়তা অন্য মাত্রার। তাঁর অভিনীত সিনেমার দৃশ্যগুলো নিয়মিতই দেখা মেলে ফেসবুকের রিলস, মিম এমনকি টেলিভিশনের পর্দায়ও। হেরা ফেরি, দে দানা দান, আন্দাজ আপনা আপনার মতো জনপ্রিয় সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি। আর সেই পরেশই কি না একসময় টানা ১৫ দিন নিজের মূত্র পান করেছেন!

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এমনটাই দাবি করেছেন পরেশ। ঘটনার সূত্রপাত আজ থেকে প্রায় দুই দশক আগে, রাজকুমার সন্তোষীর ঘটক সিনেমার শুটিং চলাকালে। শুটিংয়ের সময় হাঁটুতে গুরুতর আঘাত পান পরেশ, তাঁকে ভর্তি করা হয় মুম্বাইয়ের নানাবতী হাসপাতালে। হাঁটুর চোটে পুরোপুরি শয্যাশায়ী হয়ে যান এই অভিনেতা। তাঁকে দেখতে আসেন অভিনেতা অজয় দেবগনের বাবা, খ্যাতনামা অ্যাকশন কোরিওগ্রাফার বীরু দেবগন। হাঁটুর চোট সামলানোর এক অদ্ভুত উপায় বাতলে দিয়ে যান তিনি।

পরেশ রাওয়ালের ভাষায়, ‘বীরু (দেবগন) একদিন হাসপাতালে এসে বললেন, “প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠে নিজের মূত্র পান করো। দেখবে সব ঠিক হয়ে যাবে। সিনেমার সব ফাইটাররাই খায়। কোনো সমস্যা হবে না। শুধু সকাল সকাল মূত্র পান করো।” সেই সঙ্গে দিয়েছিলেন খাদ্যতালিকায় পরিবর্তনের পরামর্শও। ছিল অ্যালকোহল, সিগারেট, খাসির মাংস থেকে দূরে থাকার পরামর্শ। অন্তত যতদিন “ইউরিন থেরাপি” চলে।’

বীরু দেবগনের পরামর্শ পরেশ রাওয়াল তেমন আমলে নেননি তখন। ভেবেছিলেন, এটা কখনো সম্ভব নাকি! একদিকে হাঁটুর চোটে বিছানা থেকে উঠতে পারছেন না, অন্যদিকে বীরুর পরামর্শ। অবশেষে ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে শরণাপন্ন হন নিজের মূত্রের!

পরেশের ভাষায়, ‘পরে সিদ্ধান্ত নিলাম, মূত্র যদি পান করতেই হয়, ছোট ছোট চুমুকে পান করব। একেবারে পান করব না।’

তারপর টানা ১৫ দিন নিজের মূত্র পান করেছেন পরেশ। তারপর কী হলো? পরেশের দাবি, বীরু দেবগনের পরামর্শমতো নিজের মূত্র পান করে নাকি উপকার হয়েছে! টানা ১৫ দিন ইউরিন থেরাপির তাঁর উন্নতি দেখে অবাক বনে যান খোদ চিকিৎসকও। এক্সরেতে দেখা যায়, পরেশের চোট পাওয়া হাঁটু ততদিনে সেরে উঠতে শুরু করেছে। যে হাঁটু সুস্থ হতে অন্তত দুই থেকে আড়াই মাস লাগার কথা, তা পুরোপুরি ঠিক হয়ে যায় দেড় মাসের মাথায়। পরেশ রাওয়ালের ভাষায়, ‘এ যেন ছিল ম্যাজিক।’

পরেশ রাওয়ালের এমন সাক্ষাৎকার সমালোচনার ঝড় তুলেছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। বিভিন্ন মাধ্যমে চিকিৎসকেরাও বলছেন, চিকিৎসাবিজ্ঞানে এই টোটকার কোনো ব্যাখ্যা নেই। আর পরেশের ভক্তদের অনেকেও শোনাচ্ছেন কটু কথা।

সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

আরও পড়ুনএই বলিউড তারকারা কি বুড়ো হবেন না? ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ন জ র ম ত র প ন কর ন পর শ ১৫ দ ন কর ছ ন

এছাড়াও পড়ুন:

সুদানে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের ওপর হামলার ঘটনায় জাতিসংঘ মহাসচিবের তীব্র নিন্দা

সুদানে জাতিসংঘের এক ঘাঁটিতে ড্রোন হামলায় ছয় শান্তিরক্ষী নিহত হয়েছেন। তাঁরা সবাই বাংলাদেশের নাগরিক। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।

জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ‘আমি সুদানের কাদুগলিতে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীর লজিস্টিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে নৃশংস ড্রোন হামলার তীব্র নিন্দা জানাই। জাতিসংঘের শান্তিরক্ষীদের লক্ষ্য করে হামলা আন্তর্জাতিক আইনের আওতায় যুদ্ধাপরাধ হিসেবে গণ্য হতে পারে।’

সুদানের কোরদোফান অঞ্চলের কাদুগলি শহরে অবস্থিত জাতিসংঘের ভবনটিতে গতকাল শনিবার এ হামলা হয়।

গুতেরেসের বিবৃতিতে বলা হয়, হামলায় আরও আট শান্তিরক্ষী আহত হয়েছেন। হতাহত ব্যক্তিদের সবাই বাংলাদেশের নাগরিক। তাঁরা ইউএন ইন্টারিম সিকিউরিটি ফোর্স ফর আবেইয়ের (ইউএনআইএসএফএ) হয়ে দায়িত্বরত ছিলেন।

গুতেরেস বলেন, ‘দক্ষিণ কোরদোফানে আজ (শনিবার) শান্তিরক্ষীদের ওপর যে হামলা হয়েছে, তা অগ্রহণযোগ্য। এর জন্য দায়ী ব্যক্তিদের জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে।’

হামলায় নিহত শান্তিরক্ষীদের সবাই বাংলাদেশি। তাঁরা ইউএন ইন্টারিম সিকিউরিটি ফোর্স ফর আবেইয়ের (ইউএনআইএসএফএ) হয়ে দায়িত্বরত ছিলেন। হামলায় আরও আট শান্তিরক্ষী আহত হয়েছেন।

সুদানের সেনাবাহিনী ওই হামলার দায় র‌্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) নামে দেশটির আধা সামরিক বাহিনীর ওপর চাপিয়েছে।

সুদানে দুই বছরের বেশি সময় ধরে গৃহযুদ্ধ চলছে। দেশটির সেনাবাহিনী ও আরএসএফের মধ্যে এ লড়াই চলছে।

আরএসএফ তাৎক্ষণিকভাবে হামলার বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।

সুদানের সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে বলেছে, এ হামলা বিদ্রোহী মিলিশিয়া এবং এর পেছনে যাঁরা আছেন, তাঁদের ধ্বংসাত্মক কৌশলের স্পষ্ট প্রকাশ।

সুদান সেনাবাহিনী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভিডিও পোস্ট করেছে। ভিডিওতে একটি স্থান থেকে ঘন কালো ধোঁয়া আকাশে উঠতে দেখা যাচ্ছে। তারা বলেছে, এটি জাতিসংঘের স্থাপনা।

বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী হতাহত হওয়ার এ ঘটনায় গভীর শোক ও উদ্বেগ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

দক্ষিণ কোরদোফানে আজ (শনিবার) শান্তিরক্ষীদের ওপর যে হামলা হয়েছে, তা অগ্রহণযোগ্য। এর জন্য দায়ী ব্যক্তিদের জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে।.আন্তোনিও গুতেরেস, জাতিসংঘ মহাসচিব

যেখানে হামলা হয়েছে, সেই তেলসমৃদ্ধ অঞ্চল আবেই নিয়ে সুদান ও দক্ষিণ সুদানের মধ্যে বিরোধ রয়েছে। ২০১১ সালে সুদান থেকে আলাদা হয়ে দক্ষিণ সুদান একটি স্বাধীন দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। এর পর থেকে সেখানে জাতিসংঘের শান্তি রক্ষা মিশন মোতায়েন রয়েছে।

দুই দেশের সীমান্তে অবস্থিত আবেই বিশেষ প্রশাসনিক মর্যাদার অঞ্চল।

সুদানের আবেই অঞ্চলে একটি সড়কে দায়িত্ব পালন করছেন জাতিসংঘের একজন শান্তিরক্ষী

সম্পর্কিত নিবন্ধ