জয়ের খুব কাছে তখন আবাহনী স্পোর্টিং ক্লাব। গ্র্যান্ড স্ট্যান্ডে এক দর্শক আবাহনীর পতাকা দোলাচ্ছিলেন, উজ্জীবিত করছিলেন দলকে। তার সঙ্গে হাতে গোণা কয়েকজন। দেশের পট পরিবর্তনের পর আবাহনীর দুনিয়াও বদলে যেতে থাকে, মাত্র এক দর্শকের পতাকা দোলানোই তার প্রমাণ।

তবে পরিবর্তন হয়নি মাঠের পারফরম্যান্সে। একাগ্রতা, দৃড়তা, হার না মানসিকতায় আবার চ্যাম্পিয়ন আবাহনী!  প্রতিপক্ষ মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবকে হারিয়ে ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের ২৪তম শিরোপা ঘরে তোলে আবাহনী। জয়ের পর ডাগআউট থেকে ক্রিকেটাররা দৌড়ে এসে উদযাপনে মেতে ওঠেন।

উৎসব বলতে এটুকুই। ছিল না ডোলের বাদ্য। অথচ আবাহনী চ্যাম্পিয়ন মানেই অন্যরকম কিছু ছিল। বলা যায় নিরবে মাঠের ক্রিকেটে দারুণ খেলে শিরোপা নিজেদের করে নিয়েছে আবাহানী। এদিকে বিগ বাজেটের তারকাবহুল দল গড়েও মোহামেডানের ট্রফি সংখ্যা এবারও দুই অঙ্কের ঘরে যেতে পারেনি!

আরো পড়ুন:

মাহমুদউল্লাহ-আরিফুলের ফিফটিতে আবাহনীকে মোহামেডানের চ্যালেঞ্জ

আবাহনীর ২৪ নাকি মোহামেডানের ১০!

মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) ট্রফির লড়াইয়ে নামে আবাহনী-মোহামেডান। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেম ৭ উইকেটে ২৪০ রান করে সাদাকালো ক্লাবটি। তাড়া করতে নেমে মাত্র ৪০.

৪ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় আবাহনী।

জয়ে দারুণ ভূমিকা রাখেন অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত-মোহাম্মদ মিথুন। দুই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার ১৩৫ রানের জুটি গড়ে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন। ম্যাচ শেষে দুজনকেই কাঁধে তোলেন সতীর্থরা। মোসাদ্দেক ৭৮ ও মিথুন ৬৬ রানে অপরাজিত ছিলেন।

অথচ প্রথম ওভারেই শাহরিয়ার কমলকে হারিয়েছিল আবাহনী। এরপর জিসান আলমকে সঙ্গে নিয়ে ফিফটির জুটি গড়ে প্রতিরোধ গড়েন পারভেজ হোসেন ইমন। ২৮ রানে ইমন আউট হলে ভাঙে জুটি। জিসান ফেরেন ৫৫ রান করে।

মাঝে মেহরব ১০ রানের বেশি করতে পারেননি। এরপর বাকি কাজ সেরে দেন মোসাদ্দেক-মিথুন। মোহামেডানের হয়ে সর্বোচ্চ ২ উইকেট নেন নাসুম আহমেদ।

এর আগে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ-আরিফুল হকের ফিফটিতে ভর করে মোহামেডান মোটামুটি চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য ছুঁড়ে আবাহনীকে।

মাহমুদউল্লাহ-আরিফুল দুজনের ব্যাট থেকেই আসে সমান ৫০ রান। দুজনের ইনিংস ছিল ধীরগতির।মাহমুদউল্লার এই রান করতে লাগে ৬২ বল আর আরিফুলের নেন ৫৭ বল। রনি তালুকদারের ব্যাটে শুরুটা ভালো হলেও নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে বড় সংগ্রহ করতে পারেনি।

রনির ব্যাট থেকে আসে ৪৫ রান। মাঝে ৪২ রান করে ফরহাদ হোসেন। শেষ দিকে নাসুম আহমেদ ৪ ও মোস্তাফিজুর রহমান ৫ রানে অপরাজিত ছিলেন। ১৫ রান করেন আনিসুল ইসলাম।

আবাহনীর হয়ে মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী ও মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত দুটি করে উইকেট নেন।

ঢাকা/রিয়াদ/নাভিদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র ন কর আর ফ ল উইক ট

এছাড়াও পড়ুন:

চ্যাম্পিয়নস লিগে ৮ বছর আগের স্মৃতি ফিরিয়ে আনলেন রোনালদো

উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের ২০১৬/১৭ মৌসুমের সেমিফাইনালের প্রথম লেগের খেলা চলছিল। রিয়াল মাদ্রিদের ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো নগর প্রতিদ্বন্দ্বী অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করার পর এলইডি এডভারটাইজিং বোর্ডের উপর বসে পড়লেন পর্তুগিজ মহাতারকা। মাঝে প্রায় ৮ বছর অতিবাহিত হয়ে গিয়েছে। এরপর আবারও সেই চ্যাম্পিয়নস লিগেই একই দৃশ্যের অবতারনা করলেন পাঁচ বারের ব্যালন ডি-অর জয়ী ফুটবলার। তবে উয়েফা না, এফসি চ্যাম্পিয়নস লিগে।

শনিবার (২৬ এপ্রিল) রাতে জাপানের ইয়োকোহামা এফ মারিনোসকে কোয়ার্টার ফাইনালে ৪-১ গোলে উড়িয়ে দেয় আল নাসর। সৌদি প্রো লিগের তৃতীয় দল হিসেবে তারা উঠে গেল এফসি চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালে।

এর আগে, রিয়াদ মাহরেজ ও রবার্তো ফিরমিনোর গোল সৌদি প্রো লিগের আল আহল থাইল্যান্ডের বুড়িরাম ইউনাইটেডের বিপক্ষে ৩-০ ব্যবধানে জয় পায়। এই টুর্নামেন্টের শেষ তিন রাউন্ড জেদ্দায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে বলে আল আহলি কার্যত স্বাগতিক হিসেবে খেলছে। ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয় কিং আবদুল্লাহ স্পোর্টস সিটিতে। এরপর একই ভেন্যুতে রিয়াদের আরেক দল আল নাসর জয় পায়।

আরো পড়ুন:

গার্দিওয়ালার ভয়, চ্যাম্পিয়নস লিগে জায়গা হারালে বড় ট্রান্সফার করতে পারবেন না

সান সিরোতে ইন্টারের বায়ার্ন পরীক্ষা

এফ মারিনোসের বিপক্ষে প্রথমার্ধের সাত মিনিট বাকি থাকতে রোনালদো গোল করেন। মার্সেলো ব্রোজোভিচের ডিফ্লেক্টেড শট গোলকিপার পার্ক ইল গিউ এক হাতে ঠেকাতে গিলে, বল উপরে উঠে যায়। রোনালদো ছয় গজ দূর থেকে চমৎকার ভলিতে সেটি জালে পাঠিয়ে দেন।

রোনালদো বর্তমানে সৌদি প্রো লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতা। এফসি চ্যাম্পিয়নস লিগে সাত ম্যাচে আট গোল করেছেন। এক গোল বেশি করে যৌথভাবে শীর্ষে আছেন রিয়াদ মাহরেজ, সালেম আল দাওসারি, অ্যান্ডারসন ও জাসির আসানি।

রোনালদো আল নাসরের প্রথম বড় সুযোগ তৈরি করেন। তিনি একটি ব্যাকহিল করে ব্রোজোভিচকে বল দেন। তবে ক্রোয়াট মিডফিল্ডারের শট পার্ক ইল গিউ প্রতিহত করেন। প্রথমার্ধের মাঝামাঝি সময়ে, শীতকালীন সাইনিং জন দুরানের একটা শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। তবে ২৭ মিনিটে এই কলম্বিয়ান প্রথম গোল এনে দেন আল নাসরকে।

মিনিট চারেক পর ওটাবিওর পাস থেকে সাদিও মানে ব্যবধান দ্বিগুন করতে ভুল করেননি। এরপর ম্যাচের ৩৮ মিনিটে রোনালদো গোল করে সেই বিখ্যাত উদযাপন করেন।

৪৯ মিনিটে রোনালদো নেতৃত্বাধীন একটি কাউন্টার অ্যাটাকে দুরান তার দ্বিতীয় গোলটি করেন। কলম্বিয়ান এই ফরোয়ার্ড রিবাউন্ড পেয়ে সহজেই গোল করেন এবং আল নাসরকে ৪-০ ব্যবধানে এগিয়ে দেন। ৬৬ মিনিটে রোনালদোকে তুলে নেন কোচ স্তেফানো পিওলি। পরে এফ মারিনোসের ওয়াতানাবে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন, ফলে ১০ জন নিয়ে ম্যাচ শেষ করে জাপানের ক্লাবটি।

আল নাসর বুধবার (৩০ এপ্রিল) সেমিফাইনালে মাঠে নামবে। তাদের প্রতিপক্ষ কাতারের আল সাদ ও জাপানের কাওয়াসাকি ফ্রন্টেলের মধ্যে জয়ী দল। অন্য সেমিফাইনাল মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হবে। যেখানে চারবারের রেকর্ড চ্যাম্পিয়ন আল হিলাল সৌদির আরেক ক্লাব আল আহলির মুখোমুখি হবে।

ঢাকা/নাভিদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করছেন রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা
  • রিয়াল ছেড়ে জুনে ব্রাজিলের দায়িত্ব নেবেন আনচেলত্তি
  • ১৫ দিন নিজের প্রস্রাব নিজে পান করেছি: পরেশ রাওয়াল
  • শিশু কবিরাজের ঝাড়ফুঁক পেতে মানুষের ভিড়, সামলাতে পরিবারে হিমশিম
  • জয়পুরহাটে ইটভাটার ধোঁয়ায় ধানখেত নষ্টের অভিযোগ, ক্ষতিপূরণের দাবিতে সড়ক অবরোধ
  • চট্টগ্রামে ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যয় বাংলাদেশের
  • ছাত্র আন্দোলনে হত্যাচেষ্টা মামলার আসামির জামিন, একদিন পর বিক্ষোভ
  • মা হতে যাচ্ছেন শিরিন
  • চ্যাম্পিয়নস লিগে ৮ বছর আগের স্মৃতি ফিরিয়ে আনলেন রোনালদো