আলিম পরীক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন কার্ড বিতরণ ৫ দিন
Published: 29th, April 2025 GMT
আলিম পরীক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন কার্ড বিতরণ আগামী ৪ মে শুরু হয়ে চলবে ৮ মে পর্যন্ত। মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের ৮টি অঞ্চল থেকে মাদ্রাসাপ্রধান বা দায়িত্বশীল প্রতিনিধিকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ পরীক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন কার্ড সংগ্রহ এবং যথাসময়ের মধ্যে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিতরণ করতে হবে। গতকাল সোমবার (২৮ এপ্রিল) বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এসব তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে আলিম পরীক্ষা ২০২৫-এর শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন কার্ড বিতরণের জন্য বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের আঞ্চলিক কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। ঢাকা, ময়মনসিংহ, সিলেট, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, বরিশাল, খুলনা, রাজশাহী ও রংপুরের আঞ্চলিক কার্যালয় থেকে নির্দিষ্ট তারিখের মধ্যে রেজিস্ট্রেশন কার্ড বিতরণ করা হবে। ঢাকা অঞ্চলের রেজিস্ট্রেশন কার্ড মাদ্রাসা বোর্ডের রেজিস্ট্রেশন শাখা থেকে এবং অন্যান্য অঞ্চলের ক্ষেত্রে আঞ্চলিক কার্যালয় থেকে বিতরণ করা হবে। উল্লিখিত সময়সীমার মধ্যে রেজিস্ট্রেশন কার্ড সংগ্রহ করে কোনো ধরনের ভুলত্রুটি (বিভাগ, বিষয়, ছবি, দাখিল অনুযায়ী তথ্য না হওয়া) পরিলক্ষিত হলে সংশোধনের জন্য ২৫ মে পর্যন্ত প্রয়োজনীয় কাগজপত্র (আঞ্চলিক থেকে অবহিত হয়ে) বোর্ডের রেজিস্ট্রার বরাবর আবেদন করা যাবে।
রেজিস্ট্রেশন কার্ড গ্রহণসংক্রান্ত নির্দেশায় বলা হয়েছে, রেজিস্ট্রেশন কার্ড গ্রহণের জন্য রেজিস্ট্রার বরাবর মাদ্রাসার প্যাডে আবেদন করতে হবে। ঢাকা অঞ্চলের মাদ্রাসাপ্রধান অথবা প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বশীল প্রতিনিধিকে তিনটি নমুনা স্বাক্ষর সত্যায়িতসহ প্রাধিকারপত্র দিয়ে রেজিস্ট্রেশন কার্ড গ্রহণের জন্য বোর্ডের রেজিস্ট্রেশন শাখায় আসতে হবে। মাদ্রাসাপ্রধান নিজে বা পাঠনো প্রতিনিধির আবেদনে গভর্নিং বডি-ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি অথবা সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার প্রতিস্বাক্ষর অবশ্যই আনতে হবে। অন্যথায় রেজিস্ট্রেশন কার্ড করা হবে না। আঞ্চলিক কার্যালয় থেকে রেজিস্ট্রেশন কার্ড গ্রহণের ক্ষেত্রে অন্যান্য অঞ্চলের মাদ্রাসাপ্রধানের উল্লিখিত নির্দেশনা অনুসরণ করতে হবে। রেজিস্ট্রেশন কার্ড সংগ্রহ করে যথাসময়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিতরণ করতে হবে।
আরও পড়ুনআলিম পরীক্ষা ২০২৫–এর রুটিন প্রকাশ, শুরু ২৬ জুন০৯ এপ্রিল ২০২৫.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
সিঙ্গারের গ্রস প্রফিট মার্জিন কমেছে ১.৮ শতাংশ
পুঁজিবাজারে প্রকৌশল খাতে তালিকাভুক্ত কোম্পানি সিঙ্গার বাংলাদেশ লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ চলতি হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিক (জানুয়ারি-মার্চ, ২০২৫) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী আলোচ্য প্রান্তিকে কোম্পানিটির গ্রস প্রফিট (মোট মুনাফা) মার্জিন আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১.৮০ শতাংশ কমেছে। তবে ওই বছরে কোম্পানিটির টার্নওভার ৩৯.৩ শতাংশ বেড়েছে, যা ইতিবাচক দিক বলে মনে করে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ।
প্রকাশিত প্রথম প্রান্তিক অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) অনুষ্ঠিত কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে চলতি হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর তা প্রকাশ করা হয়।
প্রথম প্রান্তিক আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণে দেখা গেছে, বিভিন্ন অফার, ডিসকাউন্ট ও প্রোমোশনের কারণে পণ্যের গড় উৎপাদন ব্যয় বেড়েছে সিঙ্গার বাংলাদেশের। তবে বিক্রয়মূল্য সেই অনুপাতে সমন্বয় করা হয়নি। বরং প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে কিছু প্রধান পণ্যের মূল্য কমানো হয়েছে, যা মার্জিনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। পাশাপাশি পণ্য ও বিক্রয় চ্যানেল মিশ্রণের পরিবর্তনও গ্রস মার্জিন কমাতে ভূমিকা রেখেছে।
এদিকে, গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ২০২৫ সালের প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির পরিচালন মুনাফা ৩.৭ শতাংশ কমেছে। বিজ্ঞাপন ব্যয়, বিক্রয় প্রচারণা, ব্যাংক চার্জ এবং ওয়ারেন্টি সংক্রান্ত ব্যয় বৃদ্ধিই এর প্রধান কারণ বলে মনে করে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ। তবে, অপারেটিং খরচ ৩৮ শতাংশ বাড়লেও বিক্রয়ের তুলনায় ব্যয়ের অনুপাত কিছুটা কমেছে। তবে এটাকে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ ব্যয় ব্যবস্থাপনার উন্নতির ইঙ্গিত মনে করছে।
অর্থায়ন ব্যয় ১৪৫.১০ শতাংশ বেড়েছে। এর পেছনে স্বল্পমেয়াদী ঋণের ব্যবহার ৯ শতাংশ বৃদ্ধি এবং সুদের হার প্রায় ৩.৫০ শতাংশ বৃদ্ধির প্রভাব রয়েছে। একই সঙ্গে ন্যূনতম কর ও ডেফার্ড কর বৃদ্ধির ফলে আয়কর ব্যয় ১০৮.৪০ শতাংশ বেড়েছে।
তবে নিট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো দৃশ্যমান উন্নতি করেছে। প্রথম প্রান্তিকে নেট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো প্রতি শেয়ার দাঁড়িয়েছে ৪.৭৯ টাকা, যেখানে আগের বছর ছিল (৩.৮৪) টাকা। সরবরাহকারী অর্থপ্রদান নিয়ন্ত্রণ ও বিক্রয় আদায়ে উন্নতির ফলে ক্যাশ ফ্লো ইতিবাচক হয়েছে।
ঢাকা/এনটি/ইভা