নীলফামারীর সাবেক এমপি তুহিনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ
Published: 29th, April 2025 GMT
দুর্নীতি দমন কমিশনের দায়ের করা অবৈধ সম্পদ অর্জন ও কর ফাঁকির পৃথক দুই মামলায় সাজাপ্রাপ্ত নীলফামারী-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য বিএনপি নেতা শাহরিন ইসলাম চৌধুরী তুহিনের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত।
শাহরিন ইসলাম চৌধুরী তুহিন বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার বোন সেলিমা ইসলামের ছেলে।
মঙ্গলবার ঢাকার পৃথক দুই বিশেষ জজ আদালতে তার আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহর মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করেন তিনি।
প্রথমে কর ফাঁকি মামলায় জামিন শুনানি শেষে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এর বিচারক কবির উদ্দিন প্রামাণিক তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এরপর অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৭ এর বিচারক প্রদীপ কুমার রায়ের মামলাতেও তাঁর জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়া হয়েছে।
শাহরিন ইসলাম চৌধুরী তুহিনের আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, দুই মামলায় তাকে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত সাজা দিয়েছিলেন। এ সাজার জামিন দেওয়ার এখতিয়ার আদালতের নেই। আমরা উচ্চ আদালতে তার জামিন আবেদন করবো। আশা করি উচ্চ আদালত তার জামিন মঞ্জুর করবেন।
কর ফাঁকি ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে বহুল আলোচিত ও বিতর্কিত এক এগারোর পর ২০০৭ সালে তার বিরুদ্ধে গুলশান থানায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করে দুদক। এর মধ্যে কর ফাঁকির মামলায় ২০০৮ সালে পৃথক দুটি ধারায় তিন বছর ও পাঁচ বছরসহ মোট আট বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত। দুই ধারার সাজা একত্রে চলবে বিধায় তাকে সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের সাজা ভোগ করতে হবে বলে বিচারক রায়ে উল্লেখ করেন। এ ছাড়া অবৈধ সম্পদের মামলায় ২০০৮ সালে তাকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত।
জামিনের আবেদনে শাহরিন ইসলাম উল্লেখ করেন, তিনি ১৯৯৮-১৯৯৯ কর বছর থেকে ২০০৬-২০০৭ কর বছর পর্যন্ত আয়কর রিটার্ন দাখিল করেছেন। তিনি সেখানে তার সব সম্পদের তথ্য উল্লেখ করেছেন। বিচারিক আদালত থেকে তিনি ন্যায়বিচার পাননি বলে দাবি করেন।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
মডেল মেঘনার মুক্তিতে বাধা নেই
রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় দায়ের করা প্রতারণা ও চাঁদাবাজির মামলায় জামিন পেয়েছেন মডেল মেঘনা আলম। তার ৩০ দিনের আটকাদেশ বাতিল করা হয়েছে। ফলে, মেঘনার কারামুক্তিতে আর বাধা নেই বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী।
সোমবার (২৮ এপ্রিল) ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. ছানাউল্ল্যাহর আদালত শুনানি শেষে জামিনের আদেশ দেন।
মেঘনার পক্ষে অ্যাডভোকেট মহসিন রেজা, তাহমীম মহিমা বাঁধন ও ব্যারিস্টার সাদমান সাকিব জামিন চেয়ে শুনানি করেন। শুনানি শেষে আদালত নারী বিবেচনায় মেঘনা আলমের জামিন মঞ্জুর করেন।
মেঘনার আইনজীবী তাহমীম মহিমা বাঁধন বলেছেন, মেঘনার ৩০ দিনের আটকাদেশ বাতিল হয়েছে। ধানমন্ডি থানার মামলায় জামিননামা জমা দেওয়া হয়েছে। আজকেই কারাগারে জামিনের কাগজ পৌঁছে যাবে৷ সেক্ষেত্রে তার কারামুক্তিতে কোনো বাধা নেই। আশা করছি, আজ না হলেও মঙ্গলবার কারামুক্ত হবেন মেঘনা।
গত ১০ এপ্রিল বিশেষ ক্ষমতা আইনে ৩০ দিনের আটকাদেশ দিয়ে মডেল মেঘনাকে কারাগারে পাঠানো হয়। গত ১৭ এপ্রিল এ মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, মেঘনা আলম, দেওয়ান সমিরসহ অজ্ঞাত ২-৩ জন একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সক্রিয় সদস্য। তারা সুন্দরী মেয়েদের দিয়ে বাংলাদেশে কর্মরত বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক/প্রতিনিধি ও দেশীয় ধনাঢ্য ব্যবসায়ীদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে অবৈধ সম্পর্ক স্থাপন করিয়ে কৌশলে তাদের সম্মানহানির ভয় দেখিয়ে অর্থ আদায় করে আসছে। দেওয়ান সমির কাওয়াই গ্রুপ নামের একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সিইও এবং সানজানা ইন্টারন্যাশনাল নামের একটি জনশক্তি রপ্তানি প্রতিষ্ঠানের মালিক। আগে মিরআই ইন্টারন্যাশনাল ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড নামের একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ছিল তার। আকর্ষণীয় ও স্মার্ট মেয়েদেরকে নিজের প্রতিষ্ঠানে ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে নিয়োগ দিয়ে বিদেশি কূটনীতিক ও ধনাঢ্য ব্যবসায়ীদের কাছে সহজে যাতায়াত নিশ্চিত করতেন দেওয়ান সমির। তার প্রতিষ্ঠানগুলোকে লাভজনক হিসেবে দাঁড় করানোর লক্ষ্যে সহযোগীদের সহায়তায় ও অসৎ উদ্দেশ্যে বিভিন্ন কূটনীতিককে টার্গেট করে ব্লাকমেইল করে বড় অংকের টাকা চাঁদা হিসেবে দাবি করে আদায় করেন তিনি।
এ মামলায় মেঘনা আলমের সহযোগী দেওয়ান সমির রিমান্ড শেষে কারাগারে আছেন।
ঢাকা/এম/রফিক