কানাডার ৪৫তম জাতীয় নির্বাচনের জয় লাভ করেছে প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নির দল লিবারেল পার্টি।

জয় লাভের পর তিনি তার সমর্থকদের উদ্দেশে বলেন, “প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আমাদেরকে বিভক্ত করার চেষ্টা করছেন যাতে আমেরিকা আমাদের দখল করতে পারে। কিন্তু এটা কখনোই ঘটবে না।"

তিনি তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন, সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ থাকলেও কানাডাবাসীর ওপর তার বিশ্বাস আছে। কারণ কানাডা কেবল একটি জাতি না, এর চেয়েও বেশি কিছু। আমরা একসাথে আছি এবং সবসময় একটি ফেডারেশন হিসেবে থাকবে। আমরা নিখুঁত নই, তবে ভালোর জন্য চেষ্টা করি।

তিনি আরও বলেন, কানাডার শক্তি আমাদের ঐক্য এবং একসাথে কাজ করার মানসিকতায় নিহিত।

চলতি বছরের জানুয়ারিতে প্রধানমন্ত্রী ও লিবারেল পার্টির পদ থেকে সরে দাঁড়ান জাস্টিন ট্রুডো।

এরপরই তার স্থলাভিষিক্ত হন ব্যাংক অব কানাডা ও ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের সাবেক গভর্নর মার্ক কার্নি। সেই সঙ্গে এবারই প্রথমবারের মতো কোনো নির্বাচনে জয়ী হলেন কার্নি।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

কোমল পানীয় কেনাকে কেন্দ্র করে বাড়িতে আগুন, মিটিং করে দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষে নিহত ১

কোমল পানীয় কেনা নিয়ে ঝগড়ার একপর্যায়ে দুই গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে একজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৩০ জন। আহতদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আজ মঙ্গলবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলায় বাড্ডা ও বাড়াইল গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ ও সেনাবাহিনী মোতায়েন রয়েছে। 

নিহত আজিজ মিয়া (৬০) বাড্ডা গ্রামের মৃত শরিফ উদ্দিনের ছেলে। গুরুতর আহত দুজনকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। অন্যদের স্থানীয় বিভিন্ন ক্লিনিক ও হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সংঘর্ষ চলছিল। 

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা সলিমগঞ্জ বাজারে গত ৩ এপ্রিল ইসহাক মিয়ার দোকানে কোমল পানীয় ‘পেপসি’ কিনতে যান বাড্ডা গ্রামের এক যুবক। এ সময় দোকানির সাথে ওই যুবকের ঝগড়া ও মারামারি হয়। এতে বাড্ডা গ্রামের জজ মিয়ার ছেলেসহ তিনজন আহত হন। এই খবর পেয়ে বাড্ডা গ্রামের লোকজন বাড়াইল গ্রামের একটি বাড়িতে আগুন দেয় ও কয়েকটি বাড়ি ভাঙচুর করে। এই ঘটনার পর থেকে উভয়গ্রামে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। এমনকি দুই গ্রামে লোকজন আলাদা আলাদাভাবে মিটিং করে সংঘর্ষের প্রস্তুতি নেয়। যদিও  প্রশাসনের সহযোগিতায় আগামী ১ মে সমঝোতায় বসার কথা ছিল। কিন্তু বাড্ডা গ্রামের লোকজন আজ দুপুরে বাড়াইল গ্রামের লোকজনের ওপর হামলা চালায়। এতে তিনজন আহত হন। এই খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে উভয় গ্রামের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। সংঘর্ষে বাড্ডা গ্রামের আজিজ মিয়া নিহত হন। 

আহতদের মধ্যে কাইয়ুম মিয়া (৫৫), আরিফুল ইসলাম (১২), জাফর আলী, রজবআলী, ওয়াস করনি, আলী মিয়া, তাহের মিয়া, মিজান মিয়া, জুনায়েদ আহমেদ, মাসুম মিয়া, মানিক মিয়া, কামাল মিয়া প্রমুখ। 

নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আব্দুর রাজ্জাক ঘটনা সত্যতা স্বীকার করে বলেন, উভয় গ্রামের সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনতে এলাকায় পুলিশ ও সেনাবাহিনী মোতায়েন রয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি অনেকটা নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ