ব্যক্তিগত ৩৩ রানে ফিরলেন মুমিনুল। তার বিদায়ের পরের বলেই সেঞ্চুরিয়ান সাদমানকেও হারাল বাংলাদেশ। বেনেটের ডেলিভারিতে লেগ বিফোরের শিকার হয়ে ফেরার আগে ১৮১ বলে ১২০ রান করেন সাদমান। তার ইনিংসে ছিল ১৬টি চার এক ছক্কা। ক্রিজে এখন নতুন দুই ব্যাটসম্যান মুশফিক ও শান্ত। ৫৫ ওভারে বাংলাদেশের রান ৩ উইকেটে ১৯৬। এখনও ৩১ রানে পিছিয়ে বাংলাদেশ।

সাদমানের সেঞ্চুরি, দেড়শ’তে বাংলাদেশ

টেস্ট ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি তুলে নিলেন সাদমান। শুরু থেকেই ইতিবাচকভাবে খেলা সাদমান সেঞ্চুরি পেয়েছেন ১৪২ বলে, ১৬টি চারের সৌজন্যে। টেস্টে দুই সেঞ্চুরির সাথে ৫টি ফিফটি এখন তার। হারারেতে ২০২১ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে অপরাজিত ১১৫ রানের ইনিংস খেলেছিলেন সাদমান, সেটি প্রথম শতক। এদিকে আজ টেস্টে হাজার রানের মাইলফলকেও পা রেখেছেন বাঁহাতি এই ওপেনার।  চট্টগ্রামে ক্যারিয়ারের ২২তম টেস্টে নামার আগে ৪১ ইনিংস খেলে হাজার থেকে ৬১ রান দূরে ছিলেন তিনি। 

৪২ ওভারে বাংলাদেশের রান ১ উইকেটে ১৫০। ১৪৫ বলে ১০১ রানে খেলছেন সাদমান। ২৭ বলে মুমিনুল হকের রান ৯।

এনামুলের বিদায়ে ভাঙল উদ্বোধনী জুটি

লাঞ্চ বিরতির পর মাত্র ১ রান যোগ করেই সাজঘরের পথ ধরলেন এনামুল হক বিজয়। ব্লেসিং মুজারাবানির বলে লেগ বিফোর উইকেটের শিকার হন, রিভিউ নিলেও লাভ হয়নি। তিন বছর পর টেস্ট দলে ফিরে ৮০ বলে ৩৯ রান করেন এনামুল। তার বিদায়ে ভাঙে ১১৮ রানের ওপেনিং জুটি। ক্রিজে সাদমানের সঙ্গী মুমিনুল। ৩৩ ওভার শেষে ১ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ ১২০ রান।

বিজয়-সাদমানের শতরানের জুটি, প্রথম সেশন বাংলাদেশের

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: উইক ট

এছাড়াও পড়ুন:

হাসিনাকে দেশে ফিরে মামলা মোকাবিলার চ্যালেঞ্জ দিলেন ফখরুল

পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরে মামলা মোকাবিলার চ্যালেঞ্জ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। 

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) বিকালে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চিলারং ইউনিয়নে গণসংযোগকালে তিনি এ আহ্বান জানান। 

বিএনপির মহাসচিব এসময় শেখ হাসিনার শাসন আমলে বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর চালানো নির্যাতনের কথা তুলে ধরেন। গুম, খুন, ভিত্তিহীন মামলা, লুটপাট, টাকা পাচার, বাক স্বাধীনতা হরণ ও ভোট চুরিসহ নানা বিষয় নিয়ে কথা বলেন তিনি। 

আরো পড়ুন:

জুলাই গণহত্যা: শেখ হাসিনাসহ ৪০৮ জনের বিরুদ্ধে আরেক মামলা

হাসিনা-রেহানাসহ ২২ জনের গ্রেপ্তার-সংক্রান্ত প্রতিবেদন ১২ মে

শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‍“আমাদের নেতাকর্মীদের গুম করা হয়েছে। লাখ লাখ নেতাকর্মীকে মিথ্যা মামলা দিয়ে নির্যাতন করা হয়েছে, তাদের ঘরে থাকতে দেননি আপনি। আমরা তো কোথাও পালিয়ে যাইনি। আদালতে মিথ্যা মামলা আইনের মাধ্যমে ফেইস (মোকাবিলা) করেছি। উকিল ধরে জামিন নিয়েছি। আপনি (শেখ হাসিনা) পালিয়ে আছেন কেন? আপনিও মামলা লড়েন। আপনি দেশে এসে দাড়ান না দেখি।”

জনগণের উদ্দেশ্য তিনি বলেন, “আপনারা অনেকে মনে করেন শেখ হাসিনা আবারো দেশে ফিরে আসবেন। তিনি তো ১৫ বছর দেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। তার বাবা শেখ মুজিবুর রহমান একজন বিখ্যাত মানুষ ছিলেন। তার তো দেশ থেকে পালানোর কথা ছিল না। তিনি পালালেন কেন? কারণ তিনি একজন ডাইনি ছিলেন। জনগণের ওপর এমন নির্যাতন করেছেন যে তিনি পালাতে বাধ্য হয়েছেন। জনগণ যদি সেদিন তাকে পেত তাহলে ছিঁড়ে খেত।” 

তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের বলেন, “হাসিনা দেশে ফিরে রাজনীতি করলে আমাদের কিছু করতে হবে না, জনগণই তাকে দেখে নেবে।” 

মির্জা ফখরুল বলেন, “বিএনপির নেতাকর্মীরা যেন আওয়ামী লীগের মতো অন্যায় না করে। এতে মানুষ ভালোবাসবে না। দলের কোনো নেতাকর্মীরা অন্যায় করলে যেন জেলার নেতারা তাদের শক্ত হাতে দমন করেন, তারা যেন অন্যায়কারীদের পুলিশের হাতে তুলে দেন। তাই অপকর্ম বন্ধ করুন, না হলে আওয়ামী লীগের মতো অবস্থা হবে।” 

ঢাকা/মঈনুদ্দীন/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ