বাংলাদেশ থেকে এ বছরের প্রথম হজ ফ্লাইট ৪১৪ জন হজযাত্রী নিয়ে সৌদি আরব পৌঁছেছে। 

মঙ্গলবার সকালে সৌদি আরবের জেদ্দার কিং আবদুল আজিজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের হজ টার্মিনালে পৌঁছায় হজ ফ্লাইটটি।

সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. দেলওয়ার হোসেন বিমানবন্দরে বাংলাদেশি হজযাত্রীদের স্বাগত জানান। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন জেদ্দাস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কনসাল জেনারেল মিয়া মো.

মাইনুল কবির ও বাংলাদেশ হজ মিশনের কাউন্সিলর মো. জহিরুল ইসলাম।

এর আগে সোমবার দিবাগত রাত সোয়া ২টার দিকে বাংলাদেশি হজযাত্রী বহনকারী প্রথম প্লেনটি রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে জেদ্দার উদ্দেশে ছেড়ে যায়।

হজ যাত্রীদের জন্য ফ্লাইট চলবে ৩১ মে পর্যন্ত। এ বছর ৮৭ হাজার ১০০ হজযাত্রী বাংলাদেশ থেকে পবিত্র হজ পালনের জন্য সৌদি আরব যাবেন। এবারও ‘রোড টু মক্কা’ কর্মসূচির আওতায় ঢাকাতেই দুই দেশের ইমিগ্রেশন হবে যাত্রীদের।

বিমানবন্দরে বাংলাদেশি হজযাত্রীদের আরো স্বাগত জানান সৌদি সিভিল এভিয়েশনের উপদেষ্টা ইঞ্জিনিয়ার  মাজেন জাওয়াহার ,হজ্জ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের পরিচালক সালমান আল বেলাবী ও অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স দ আরব হজ হজয ত র

এছাড়াও পড়ুন:

মাতারবাড়ি কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ কেনার ট্যারিফ অনুমোদন  

বাস্তবায়নাধীন মাতারবাড়ি ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াট আল্ট্রাসুপার ক্রিটিক্যাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের  বিদ্যুতের ট্যারিফ নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রতি কিলোওয়াট বিদ্যুতের দাম পড়বে ৮.৪৪৭৫ টাকা। এ কেন্দ্র থেকে ৩০ বছর মেয়াদে বিদ্যুৎ কিনতে মোট ব্যয় হবে ২ লাখ ১৭ হাজার ৪ কোটি ৪০ লাখ টাকা।

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) বিকেলে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সভায় এ প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সভায় কমিটির সদস্য ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সূত্র জানিয়েছে, কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেডের (সিপিজিসিবিএল) এ প্রকল্পে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৩১ হাজার ৫৮৬ কোটি ৮৭ লাখ ৫৬ হাজার টাকা।

মাতারবাড়ি ৬০০¬X২ মেগাওয়াট আল্ট্রাসুপার ক্রিটিক্যাল কয়লাভিত্তিক বিদুৎকেন্দ্র ইতোমধ্যে বাণিজ্যিকভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করেছে। এ কেন্দ্র থেকে উৎপাদিত সম্পূর্ণ বিদ্যুৎ কিনবে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বাবিউবো)। বাবিউবোর বোর্ড সভার সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে এ কেন্দ্রে উৎপাদিত বিদ্যুৎ কেনার জন্য সিপিজিসিবিএল ও বাবিউবোর মধ্যে ৩০ বছর মেয়াদে স্বাক্ষরিতব্য পাওয়ার পারচেজ অ্যাগ্রিমেন্ট (পিপিএ) চূড়ান্ত করার লক্ষ্যে ট্যারিফ স্ট্রাকচার ও লেভেলাইজড ট্যারিফ কিলোওয়াট ঘণ্টা ৮.৪৪৭৫ টাকায় কেনার চুক্তি সম্পাদনের প্রস্তাব উপস্থাপন করা হলে কমিটি তাতে অনুমোদন দিয়েছে।

ট্যারিফ ভিত্তিতে বিদ্যুৎ কেনা হলে প্রতি বছর প্রায় ৭ হাজার ২৩৩ কোটি ৪৮ লাখ টাকা হিসাবে ৩০ বছর মেয়াদে সিপিজিসিবিএল-কে আনুমানিক ২ লাখ ১৭ হাজার ৪ কোটি ৪০ লাখ টাকা পরিশোধ করতে হবে।

বর্তমান ট্যারিফ কিলোওয়াট ঘণ্টা ৮.৪৪৭৫ টাকা। প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর শেষে চূড়ান্ত ব্যয় হিসাব করে পুনরায় ট্যারিফ নির্ধারণ করা হবে।

সিপিজিসিবিএল সরকারি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান। এর উৎপাদিত বিদ্যুৎ থেকে যে পরিমাণ লাভ হবে, তা সরকারের লাভ হিসেবে বিবেচিত হবে। 

প্রথম সংশোধিত ডিপিপি একনেকে অনুমোদিত হয় ২০২১ সালের  ২৩ নভম্বর। প্রকল্পের মেয়াদ ২০১৪ সালের ১ জুলাই থেকে ২০২৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত।

প্রকল্পটি বাংলাদেশ সরকার ও সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন এবং জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থার (জাইকা) ঋণে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জাপানের সুমিতোমো কর্পোরেশন, তোশিবা কর্পোরেশন ও আইএইচআই কর্পোরেশন।

ঢাকা/হাসনাত/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ