কোনো বোলার তেমন ভয় ধরাতে পারলেন না। বাংলাদেশের ওপেনাররা সুযোগ দিলেন না জিম্বাবুয়ের ফিল্ডারদেরও। ক্রেইগ আরভিনকে তাই ২৫ ওভারের মধ্যেই বোলিংয়ে আনতে হয়েছে পাঁচ বোলার। বাংলাদেশের দুই ওপেনার এনামুল হক ও সাদমান ইসলাম তাঁদের খেলছেন স্বাচ্ছন্দ্যে—জুটির ৫০ পেরিয়ে শতরানেও পৌঁছে গেছেন তারা।

অনেক দিন ধরেই বাংলাদেশের উদ্বোধনী জুটির দুশ্চিন্তার কথা ঘুরেফিরে আসছে। এনামুল-সাদমান যখন ১০০ রান করে ফেলেছেন, তখন পেছন ফিরে তাকাতেই হয়, শেষ কবে এমন উদ্বোধনী জুটি দেখেছে বাংলাদেশ? ফিরে যেতে হয়েছে ৩২ ইনিংস আর ২৮ মাস আগে।

২০২২ সালে এই চট্টগ্রামেই জাকির হাসানকে নিয়ে উদ্বোধনী জুটিতে ১২৪ রান করেছিলেন নাজমুল হোসেন, সেটিই ছিল সর্বশেষ। ওই ম্যাচে সেঞ্চুরি করা জাকিরকে সরিয়ে একাদশে টেস্ট দলে ঢোকার পর একাদশেও জায়গা পাওয়া এনামুল এবার ১০০ পেরোনো জুটির ভাগীদার। জাকির-নাজমুলের ওই জুটির পর শতরানের দেখা বাংলাদেশ পায়নি শুরুর জুটিতে—৫০ পেরোনোর সর্বশেষ ঘটনাটিই ছিল ১২ ইনিংস আগে।


উদ্বোধনী জুটি বারবার ব্যর্থ হওয়াতেই ঘরোয়া ক্রিকেটে রানের বন্য বইয়ে দেওয়া এনামুলকে ডেকেছেন নির্বাচকেরাা। মাহমুদুল হাসানকে সরিয়ে তাঁকে নামিয়ে দেওয়া হয় সাদমানের ওপেনিং—সঙ্গী হিসেবে। আস্থার প্রতিদান এখন পর্যন্ত তিনি দিয়ে যাচ্ছেন। আগের পাঁচ টেস্টে ১০০ রান করা এই ওপেনারের সর্বোচ্চ সংগ্রহ ছিল ২৩ রান।

তা ছাড়িয়ে মধ্যাহ্নভোজের বিরতির আগেই ৬৫ বলে ৩৮ রান করেছেন তিন বছর পর টেস্ট দলে ফেরা এনামুল। তাঁর সঙ্গী সাদমান ইসলাম ইতিমধ্যেই টেস্ট ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ ফিফটি পেয়ে গেছেন। ৯১ বলে ৬৬ রান করে অপরাজিত তিনি, এনামুলের সঙ্গে তাঁর জুটি এখন ১০৫ রানের।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র ন কর

এছাড়াও পড়ুন:

পুতুলের ৫৭ লাখ টাকার ফ্ল্যাট জব্দের আদেশ

ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের ৫৭ লাখ টাকার গুলশানের একটি ফ্ল্যাট জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত। 

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিব এ আদেশ দেন।

মামলার অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক মনিরুল ইসলাম ফ্ল্যাট জব্দের আবেদন করেন।

আবেদনে বলা হয়, সায়মা ওয়াজেদ পুতুল স্থাবর সম্পদ অন্যত্র হস্তান্তর, স্থানান্তর বা বেহাত করার চেষ্টা করছেন। মামলা নিষ্পত্তির আগে এ সম্পদ হস্তান্তর বা স্থানান্তর হয়ে গেলে অনুসন্ধানে ক্ষতির সম্ভবনা রয়েছে।

এ অবস্থায় অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে অনুসন্ধান শেষ না হওয়া পর্যন্ত অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির স্থাবর সম্পদ, সম্পত্তির মালিকানা পরিবর্তন বা স্থানান্তর বা অন্য কোনো প্রক্রিয়ায় হস্তান্তর করতে না পারেন এজন্য ফ্ল্যাট জব্দ করা প্রয়োজন।

এর আগে গত ১১ মার্চ সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের নামে থাকা ধানমন্ডির সুধা সদন বাড়ি জব্দের আদেশ দেন আদালত।

একইসঙ্গে শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহেনা, তার ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি, মেয়ে টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিকের নামে থাকা জমিসহ বাড়ি ও আটটি ফ্ল্যাট জব্দের আদেশ দেওয়া হয়।

২০২৪ সালের ৫ অগাস্ট গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয় শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার। সে দিন ভারতে পালিয়ে যান তিনি। তার পরিবারের অন্যরাও দেশের বাইরে।

গত ২৬ ডিসেম্বর সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও তার পরিবারের পাঁচ সদস্যের নামে পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে ছয়টি প্লট বরাদ্দে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। এরপর গত ১৪ জানুয়ারি শেখ হাসিনা ও জয়ের বিরুদ্ধে পৃথক মামলা করে দুদক।

প্লট বরাদ্দের ক্ষেত্রে ক্ষমতার অপব্যবহার ও নিয়মের অভিযোগে ১২ জানুয়ারি শেখ হাসিনার মেয়ে পুতুলের বিরুদ্ধে প্রথম মামলা করে দুদক।

ঢাকা/এম/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ