নড়াইলে প্রতিপক্ষের বাড়ির পেছনে হত্যা মামলার আসামির পা বাঁধা মরদেহ
Published: 29th, April 2025 GMT
নড়াইলের কালিয়া উপজেলার কাঞ্চনপুর গ্রামে প্রতিপক্ষের বাড়ির পেছন থেকে রফিকুল ইসলাম (৩৫) নামে একজন হত্যা মামলার আসামির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় মরদেহটি পা বাঁধা অবস্থায় ছিল।
মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কাঞ্চনপুর গ্রামের প্রতিপক্ষ রিকাইল শেখের বাড়ির পেছন থেকে রফিকুল ইসলামের মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত রফিকুল ইসলাম কাঞ্চনপুর গ্রামেরই আজিজুল মোল্যার ছেলে। তিনি স্থানীয় ফরিদ মোল্যা হত্যা মামলার আসামি ছিলেন।
পুলিশ ও স্থানীয়দের থেকে জানা গেছে, কাঞ্চনপুর গ্রামে মিলন মোল্যা ও আফতাব মোল্যার মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। গত ১১ এপ্রিল দু’পক্ষের লোকজনের মধ্যে ঘণ্টাব্যাপি সংঘর্ষে আফতাব মোল্যার পক্ষের ফরিদ মোল্যা (৫৮) নিহত হন। এ ঘটনায় কালিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়। এ মামলায় এজারভুক্ত আসামি রফিকুল ইসলাম এরপর থেকে পলাতক ছিলেন। আজ (মঙ্গলবার) সকালে প্রতিপক্ষ আফতাব মোল্যা পক্ষের রিকাইল শেখের বাড়ির পেছনে তার পা বাঁধা মরদেহ দেখতে পায়। পরে স্থানীয় লোকজন পুলিশকে খবর দেয়।
কালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, “হত্যা মামলার আসামি রফিকুল ইসলামের মরদেহটি ময়না তদন্তের জন্য নড়াইল সদর আধুনিক হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে এ ঘটনা কে বা কারা ঘটিয়েছে তার তদন্ত চলছে।”
ঢাকা/শরিফুল/টিপু
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ক ঞ চনপ র গ র ম মরদ হ
এছাড়াও পড়ুন:
কানাডায় ট্রাম্পের কড়া বিরোধী মার্ক কার্নির দল নির্বাচনে জয় পেল
জাতীয় নির্বাচনে নিজ দলের বিজয়ের ঘোষণা দিয়ে কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি বলেছেন, তাঁর দেশ কখনো যুক্তরাষ্ট্রের কাছে নতিস্বীকার করবে না।
এ নিয়ে টানা চতুর্থবার কানাডার ক্ষমতায় বসতে যাচ্ছে লিবারেল পার্টি। তবে কার্নির দল একক সরকার গঠন করতে সক্ষম হবে, নাকি জোট সরকার গঠন করতে হবে, তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
কানাডার ৩৪৩ আসনের হাউস অব কমন্সে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে ১৭২ আসনে জিততে হবে।
আজ মঙ্গলবার স্থানীয় সময় গভীর রাতে লিবারেল পার্টির নেতা কার্নি বলেন, ‘আমি কয়েক মাস ধরে যে বিষয়ে সতর্ক করে যাচ্ছি—যুক্তরাষ্ট্র আমাদের ভূমি, আমাদের সম্পদ, আমাদের পানি, আমাদের দেশ নিয়ে নিতে চায়। এগুলো কেবল নিষ্ক্রিয় হুমকি নয়। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আমাদের ভেঙে ফেলার চেষ্টা করছেন, যেন যুক্তরাষ্ট্র আমাদের কিনে নিতে পারে। এমনটা কোনো দিনই হবে না।’
যেসব মানুষ কানাডাকে নিজেদের বাড়ি মনে করেন, তাঁদের সবার নেতা হওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী কার্নি।
কানাডার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্কারোপ এবং দেশটিকে যুক্তরাষ্ট্রের ৫১তম অঙ্গরাজ্য বানানোর ইচ্ছা প্রকাশ করার পর থেকে দুই মিত্র প্রতিবেশী দেশের মধ্যে সম্পর্কের টানাপোড়েন শুরু হয়।
কানাডার সাধারণ নাগরিকদের মধ্যেও ট্রাম্পের বক্তব্যের তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। তাদের মধ্যে তীব্র দেশপ্রেমের জোয়ার ওঠে। এতে ভোটের আগমুহূর্তে কানাডার নির্বাচনী পরিবেশ পুরোপুরি বদলে যায়। ভোটের আগে ট্রাম্পের বক্তব্য এবং তাঁর কর্মকাণ্ড কানাডায় প্রধান আলোচ্য বিষয় হয়ে ওঠে।
ট্রাম্পের বক্তব্যের জেরে নিজের নির্বাচনী প্রচারে কার্নি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কানাডার সম্পর্কের ব্যাপক পরিবর্তন আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। এতে লিবারেল পার্টির প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী কার্নির প্রতি জনসমর্থন বেড়ে যায়। ভোটের দিনও যার প্রতিফলন দেখা গেছে।
মঙ্গলবার কার্নি বলেছেন, ‘আমরা যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্বাসঘাতকতার ধাক্কা কাটিয়ে উঠেছি। কিন্তু আমাদের কখনই এ থেকে পাওয়া শিক্ষা ভুলে যাওয়া উচিত হবে না। আমাদের নিজেদের দিকে নজর দিতে হবে। সর্বোপরি আমাদের একে অপরের যত্ন নিতে হবে।’
সিএনএনের সহযোগী প্রতিষ্ঠান সিটিভি সংখ্যাগরিষ্ঠ সরকার গঠনের পূর্বাভাস দিয়েছে। যদিও সিবিসি বলেছেন, এখনো এ বিষয়ে কথা বলার সময় আসেনি।
কানাডার প্রধান বিরোধী দল কনজারভেটিভ পার্টির প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী পিয়েরে পলিয়েভর নিজের হার মেনে নিয়েছেন। তিনি বলেছেন, খুবই সামান্য ব্যবধানে হলেও কার্নি সংখ্যাগরিষ্ঠ সরকার গঠনের জন্য যথেষ্ট আসনে জিতে গেছেন।
আরও পড়ুনকানাডায় ভোটগ্রহণ শুরু১৯ ঘণ্টা আগেআরও পড়ুনকানাডায় নির্বাচন: মার্ক কার্নির লিবারেল সদর দপ্তরে উৎসব শুরু৪ ঘণ্টা আগে