অবশেষে জয়পুরে রঙ ছড়াল রাজস্থান রয়্যালস। আরো সুক্ষভাবে বললে ১৪ বছরের এক কিশোরের ব্যাট রাঙাল রাজস্থানকে, একই সাথে সমগ্র ভারতের ক্রিকেটপ্রেমীদের মনকেও। বৈভব সুরিয়াবনশি তার বিষ্ফোরণ ব্যাটিংয়ে ছড়ালেন মুগদ্ধতা ও বিষ্ময়।

এই ম্যাচটা হারলেই তার দল রাজস্থানকে ছিটকে পড়তে হতো প্লে’অফের দৌড় থেকে। এমন পরিস্থিতিতে ১৪ বছরের বৈভব গোটা দলের দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিলেন। প্রথমে ব্যাটিং করা গুজরাট ছুঁড়ে দিয়েছিল ৪ উইকেটের বিনিময়ে ২০৯ রানের বিশাল চ্যালেঞ্জ। সেই লক্ষ্যকে মামুলি বানিয়ে মাত্র ১৫.

৫ ওভারে ৮ উইকেট হাতে রেখেই গন্তব্যে পৌঁছে যায় রাজস্থান। কিশোর সুরিয়াবানশি করেন রেকর্ড গড়া এক শতক এই অসাধ্য হেসেখেই সাধন করেছে স্বাগতিকরা।
 

আরো পড়ুন:

টানা পাঁচ জয়ে দুইয়ে মুম্বাই

অসহায় চেন্নাইয়ের বিপক্ষে হায়দরাবাদের প্রথম জয়

ঢাকা/নাভিদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

বাংলাদেশে পেপ্যালসহ আন্তর্জাতিক সব পেমেন্ট গেটওয়ে চালুর দাবি ফ্রিল্যান্সারদের

বর্তমানে অনেকেই ফ্রিল্যান্সার হিসেবে দেশে বসে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপসহ বিভিন্ন দেশের গ্রাহকদের (ক্লায়েন্ট) জন্য কাজ করছেন। নিয়মিত বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিতেও অবদান রাখছেন ফ্রিল্যান্সাররা। তবে বাংলাদেশে পেপ্যাল, ওয়াইজ ও স্ট্রাইপের মতো আন্তর্জাতিক পেমেন্ট গেটওয়ে চালু না হওয়ায় গ্রাহকদের কাছ থেকে পারিশ্রমিক পেতে বেশ সমস্যায় পড়ছেন ফ্রিল্যান্সাররা। শুধু তা–ই নয়, অনেক গ্রাহক পেপ্যাল, ওয়াইজ ও স্ট্রাইপের মতো পেমেন্ট গেটওয়ে না থাকার কারণে ফ্রিল্যান্সারদের কাজ দেন না। আর তাই বাংলাদেশে দ্রুত পেপ্যালসহ বিভিন্ন পেমেন্ট গেটওয়ে চালুর জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ফ্রিল্যান্সার ও আইটি প্রফেশনাল কমিউনিটি। বিভিন্ন পেমেন্ট গেটওয়ে চালুর জন্য এরই মধ্যে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়সহ আইসিটি–বিষয়ক উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপিও দিয়েছে সংগঠনটি। আজ মঙ্গলবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে ফ্রিল্যান্সার এমরাজিনা ইসলাম বলেন, ‘বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সম্ভাবনা ও আইটি খাতের অগ্রগতির জন্য আন্তর্জাতিক পেমেন্ট গেটওয়ে চালু করা সময়ের দাবি। দেশের বিভিন্ন এলাকার ফ্রিল্যান্সাররা গেটওয়ে সমস্যার কারণে বেশি কাজ করতে পারছেন না।’ ফ্রিল্যান্সার আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘এক যুগের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশে আইটি ফ্রিল্যান্সাররা কাজ করছেন। এখনো নানা জটিলতায় দেশে পেপ্যালের মতো আন্তর্জাতিক গেটওয়ে চালু হচ্ছে না। অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার আন্তর্জাতিক গেটওয়ে চালুর জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে বলে আমরা আশা করছি। দক্ষিণ এশিয়ার প্রায় সব দেশেই এসব গেটওয়ে চালু আছে। ৩ দশমিক ২ শতাংশ গ্লোবাল মার্কেট শেয়ার নিয়ে বাংলাদেশ এখন বিশ্বের অষ্টম বৃহত্তম ফ্রিল্যান্সিং বাজার। এ কারণে গেটওয়ের বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ।’

আরও পড়ুনদেশে পেপ্যাল জরুরি কেন, বললেন ফ্রিল্যান্সাররা ১৭ জানুয়ারি ২০২৫

সংবাদ সম্মেলনে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা ফ্রিল্যান্সাররাও উপস্থিত ছিলেন। পটুয়াখালী থেকে আসা ফ্রিল্যান্সার এইচ এম আথির আল আজাদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি ২০১৭ সাল থেকে ফ্রিল্যান্সিং করছি। এখনো পেমেন্ট–সংক্রান্ত বিভিন্ন সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছি। আর তাই আমরা স্মারকলিপি প্রদানের মাধ্যমে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। দেশে পেপ্যালসহ আন্তর্জাতিক সব পেমেন্ট গেটওয়ে চালুর জন্য কয়েক মাস ধরে প্রায় ৪০ হাজার ফ্রিল্যান্সার বিভিন্ন ফোরামে সক্রিয় ভূমিকা পালন করছেন।’

সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন আতিকুর রহমান, সাজিদ ইসলাম ও আতাউর রহমান। স্মারকলিপি পড়ে শোনান এমরাজিনা ইসলাম।

আরও পড়ুনআসি আসি করে পেপ্যাল কেন আসে না০৬ জানুয়ারি ২০২২

সম্পর্কিত নিবন্ধ