কানাডায় নির্বাচন: জয়ের পথে মার্ক কার্নির লিবারেল পার্টি
Published: 29th, April 2025 GMT
কানাডার বর্তমান প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নির নেতৃত্বাধীন লিবারেল পার্টি দেশটির ফেডারেল নির্বাচনে জয় পেতে যাচ্ছে।দেশটির পাবলিক ব্রডকাস্টার সিবিসি নিউজের বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।
সিবিসি নিউজ বলছে, গতকাল ভোটগ্রহণ শেষে এখনও ভোট গণনা চলছে। তাই এখনো পুরোপুরি বলা যাচ্ছে না লিবারেল পার্টি সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গঠন করতে পারবে কিনা। ৩৪৩টি আসলের মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনে যেকোনো দলকে ১৭২টি আসন নিশ্চিত করতে হবে।
সিবিসি জানিয়েছে, লিবারেলরা বর্তমানে ১৫৬টি আসন জিতেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। হাউস অফ কমন্সে লিবারেলরা সবচেয়ে বড় দল হতে পারে, কিন্তু সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজনীয় ১৭২টি আসন থেকেও পিছিয়ে থাকতে পারে। যদি এটি ঘটে তাহলে সম্ভাব্য পরিস্থিতি হল তারা মার্ক কার্নিকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়ে একটি সংখ্যালঘু সরকার গঠন করবে, যেখানে তারা অনাস্থা ভোটে টিকে থাকতে এবং সংসদে আইন পাস করার জন্য অন্যান্য দলের সঙ্গে চুক্তি করবে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক ও কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যুক্ত করার ক্রমাগত হুমকির মধ্যে দেশটিতে গতকাল নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
নির্বাচনে কানাডার নাগরিকদের ভোটে দেশটির পার্লামেন্টের ৩৪৩ জন সদস্য নির্বাচিত হবেন। সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য ১৭২টি আসনের প্রয়োজন পড়বে। কানাডার আনুমানিক ৪ কোটি ১০ লাখ নাগরিকের মধ্যে ভোটার রয়েছেন ২ কোটি ৯০ লাখ। এরই মধ্যে অগ্রিম ভোট প্রক্রিয়ায় ভোট দিয়েছেন ৭৩ লাখ কানাডীয়।
নির্বাচনের হেভিওয়েট দুই প্রার্থী হলেন লিবারেল পার্টির মার্ক কার্নি এবং কনজারভেটিভ পার্টির পিয়েরে পইলিয়েভ্রে। মার্ক কার্নে গত মাসে জাস্টিন ট্রুডো সরে দাঁড়ানোর পর প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেন। তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের আরোপিত শুল্কের মোকাবিলা করার জন্য তিনিই সবচেয়ে ভালো বিকল্প। কারণ অর্থনৈতিক টানাপোড়েনের সময় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হয়ে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে তার।
অন্যদিকে কনজারভেটিভ পার্টির নেতা পিয়েরে পইলিয়েভ্রেও ট্রাম্পের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নেওয়ার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি তিনি দাবি করেছেন, ট্রুডো নেতৃত্বাধীন লিবারেলদের অধীনে এক দশক ধরে দুর্বল হয়ে পড়েছে অর্থনীতি। আর এ কারণেই যুক্তরাষ্ট্রের আক্রমণাত্মক বাণিজ্যনীতির সামনে তা আরও নাজুক হয়ে পড়েছে।
তবে, আমেরিকার উত্তরাঞ্চলীয় প্রতিবেশীর প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্টের ক্রমাগত সমালোচনা ক্ষমতাসীন লিবারেল সরকারের প্রতি ভোটারদের জনসমর্থন বাড়িয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। বিশ্লেষকদের অনুমান সত্যি হলে, কানাডা ট্রাম্পবিরোধী একটি সরকার পেতে যাচ্ছে।
ইতিমধ্যেই এমন ইঙ্গিত পাওয়া গেছে যে, কানাডা ট্রাম্পের আমেরিকার চেয়ে ইউরোপকে একটি নির্ভরযোগ্য অংশীদার হিসেবে বেশি দেখছে। আর এমন পদক্ষেপ নিশ্চিতভাবেই মার্কিন প্রেসিডেন্টকে অস্বস্তিতে ফেলবে।
ঢাকা/ফিরোজ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র জন য সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
এই কঠিন সময়ে ঐক্য ধরে রাখা প্রয়োজন: ঢাবি উপাচার্য
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে জাতির ঐক্য রক্ষার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য নিয়াজ আহমেদ খান।
উপাচার্য বলেন, ‘আমরা একটি কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে অতিক্রম করছি। এক অর্থে জাতির জন্য এটি একটি ক্রান্তিকাল। এই সময়ে আমাদের ঐক্য ধরে রাখা একান্তই প্রয়োজন।’
আজ রোববার সকালে রাজধানীর মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সাংবাদিকদের কাছে নিয়াজ আহমেদ খান এ কথা বলেন।
ঢাবি উপাচার্য বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস জাতির জন্য পরম শ্রদ্ধা, কৃতজ্ঞতা ও মমতার দিন। এক গভীর ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, চিন্তাবিদ ও বুদ্ধিজীবীরা নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছিলেন। তাঁদের সেই চূড়ান্ত আত্মত্যাগ ইতিহাসে চিরভাস্বর হয়ে আছে।
নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, যুগে যুগে ও প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগ এ জাতিকে অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করতে ঐক্যবদ্ধ করেছে এবং সাহস জুগিয়েছে। সেই ধারাবাহিকতায় জাতি ১৯৯০ ও ২০২৪ সালের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে অগ্রসর হয়েছে।
উপাচার্য আরও বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগ আজও জাতির ঐক্য ধরে রাখার পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ আলোকবর্তিকা। একই সঙ্গে ১৯৫২, ১৯৬৮, ১৯৬৯, মহান মুক্তিযুদ্ধসহ প্রতিটি আন্দোলন–সংগ্রামে যাঁরা রক্ত ও জীবন দিয়ে দেশের স্বাধীনতা ও মর্যাদা রক্ষা করেছেন, তাঁদের সবার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা।
নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, ১৯৫২ থেকে ২০২৪—এর প্রতিটি দিন ও ঘটনাপ্রবাহ জাতির মৌলিক পরিচয়ের মাইলফলক। এর কোনো অংশ বাদ দেওয়ার সুযোগ নেই। এ ইতিহাসই যুগে যুগে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ রেখেছে, আর বর্তমান সময়ে সেই ঐক্য ধরে রাখাই সবচেয়ে বড় প্রয়োজন।